আমার পথ প্রবন্ধের (MCQ) বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার পথ প্রবন্ধের (MCQ) এই টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আমার পথ প্রবন্ধের (MCQ) গুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আমার পথ প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের সুবিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রুদ্র-মঙ্গল’ থেকে সংকলিত হয়েছে। ‘‘আমার পথ’’ প্রবন্ধে নজরুল এমন এক ‘আমি’র আবাহন প্রত্যাশা করেছেন যার পথ সত্যের পথ; সত্য প্রকাশে তিনি নির্ভীক অসংকোচ। তাঁর এই ‘আমি’- ভাবনা বিন্দুতে সিন্ধুর উচ্ছ্বাস জাগায়। নজরুল প্রতিটি মানুষকে পূর্ণ এক ‘আমি’র সীমায় ব্যাপ্ত করতে চেয়েছেন; একইসঙ্গে, এক মানুষকে আরেক মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে ‘আমরা’ হয়ে উঠতে চেয়েছেন। স্বনির্ধারিত এই জীবন-সংকল্পকে তিনি তাঁর মতো আরও যারা সত্যপথের পথিক হতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্য ছড়িয়ে দিতে চান। এই সত্যের উপলদ্ধি কবির প্রাণপ্রাচুর্যের উৎসবিন্দু। তিনি তাই অনায়াসে বলতে পারেন, ‘আমার কর্ণধার আমি।
আমার পথ দেখাবে আমার সত্য।’ রুদ্র-তেজে মিথ্যার ভয়কে জয় করে সত্যের আলোয় নিজেকে চিনে নিতে সাহায্য করে নজরুলের এই ‘আমি’ সত্তা। তাঁর পথনির্দেশক সত্য অবিনয়কে মেনে নিতে পারে কিন্তু অন্যায়কে সহ্য করে না। সমাজ ও সমকাল পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে প্রাবন্ধিক দেখেছেন যে, সুস্পষ্টভাবে নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না জানলে তৈরি হয় পরনির্ভরতা, আহত হয় আমাদের ব্যক্তিত্ব। নজরুলের কাছে এই ভগ্ন আত্মবিশ্বাসের গ্লানি গ্রহণযোগ্য নয়। এর পরিবর্তে তিনি প্রয়োজনে দাম্ভিক হতে চান; কেননা তাঁর বিশ্বাস সত্যের দম্ভ যাদের মধ্যে রয়েছে তাদের পক্ষেই কেবল অসাধরণ সাধন করা সম্ভব। নজরুল এই প্রবন্ধে দেখিয়েছেন যে, তিনি ভুল করতে রাজি আছেন কিন্তু ভণ্ডামি করতে প্রস্তুত নন।
ভুল জেনেও তাকে ঠিক বলে চালিয়ে দেবার কপটতা কিংবা জেদ তাঁর দৃষ্টিতে ভণ্ডামি। এই ভুল ব্যক্তির হতে পারে, সমাজের হতে পারে কিংবা হতে পারে কোনো প্রকার বিশ্বাসের। তবে তা যারই হোক আর যেমনই হোক এর থেকে বেরিয়ে আসাই নজরুলের একান্ত প্রত্যাশা। তিনি জানেন, এই বেরিয়ে আসা সম্ভব হলেই মানুষের সঙ্গে মানুষের প্রাণের সম্মিলন ঘটানো সম্ভব হবে। মনুষ্যত্ববোধে জাগ্রত হতে পারলেই ধর্মের সত্য উন্মোচিত হবে, এক ধর্মের সঙ্গে অপর ধর্মের বিরোধ মিটে যাবে। সম্ভব হবে গোটা মানব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা; আর এই ঐক্যের মূল শক্তি হলো সম্প্রীতি। এই সম্প্রীতির বন্ধন শক্তিশালী হলে মানুষের মধ্য সহনশীলতা বাড়ে। ভিন্ন ধর্ম-মত-পথের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগে। আর এই সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে উৎকৃষ্ট মানব সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
আমার পথ প্রবন্ধের (MCQ
১. কাজী নজরুল ইসলাম কোনটিকে নমস্কার জানিয়েছেন?
ক. তারুণ্যকে খ. সত্যকে
গ. রাজভয়কে ঘ. লোকভয়কে
উত্তর: সত্যকে।
২. ভুলের মধ্যে দিয়ে কীভাবে সত্যকে পাওয়া যায়?
ক. বারবার ভুল করে খ. ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে
গ. ভুলে চেপে রেখে ঘ. ভুল স্বীকার করে
উত্তর: খ. ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে।
৩. বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে?
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ. কাজী নজরুল ইসলাম
গ. সুফিয়া কামাল ঘ. শামসুর রহমান
উত্তর: খ. কাজী নজরুল ইসলাম।
৪. কাজী নজরুল ইসলাম কত বঙ্গাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৩০১ সালে খ. ১৩০২ সালে
গ. ১৩০৫ সালে ঘ. ১৩০৬ সালে
উত্তর: ঘ. ১৩০৬ সালে।
৫. কাজী নজরুল ইসলাম কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন?
ক. চুরুলিয়া খ. তাম্বুলখানা
গ. পায়রাবন্দ ঘ. কাঁঠালতলা
উত্তর: ক. চুরুলিয়া।
৬. কত সালে কাজী নজরুল ইসলাম দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়?
ক. ১৯৪১ সালে খ. ১৯৪২ সালে
গ. ১৯৪৩ সালে ঘ. ১৯৪৪ সালে
উত্তর: খ. ১৯৪২ সালে।
৭. বাংলা সাহিত্য ও সংগীতকে সমৃদ্ধতর করে তুলতে কার অবদান সবচেয়ে বেশি?
ক. জীবনানন্দ দাশ খ. ডি.এল.রায়
গ. কাজী নজরুল ইসলাম ঘ. বুদ্ধদেব বসু
উত্তর: গ. কাজী নজরুল ইসলাম।
৮. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে কোন কবির সমাধিস্থল রয়েছে?
ক. শামসুর রহমান খ. সুফিয়া কামালের
গ. কাজী নজরুল ইসলামের ঘ. আহসান হাবীবের
উত্তর: গ. কাজী নজরুল ইসলামের।
৯. কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস হিসেবে সমর্থনযোগ্য?
ক. কুহেলিকা খ. ব্যথার াদন
গ. শিউলিমালা ঘ. রাজবন্দির জবানবন্দি
উত্তর: ক. কুহেলিকা।
১০. রাজবন্দির জবানবন্ধি কাজী নজরুল ইসলামের কোন ধরনের রচনা?
ক. উপন্যাস খ. নাটক
গ. ছোটগল্প ঘ. প্রবন্ধ
উত্তর: ঘ. প্রবন্ধ।
১১. কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেছেন?
ক. ১৯৭৪ সালে খ. ১৯৭৫ সালে
গ. ১৯৭৬ সালে ঘ. ১৯৭৭ সালে
উত্তর: গ. ১৯৭৬ সালে।
১২. কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় মৃত্যেুবরণ করেছেন?
ক. ঢাকায় খ. কলকাতায়
গ. চট্টগ্রামে ঘ. বর্ধমানে
উত্তর: ক. ঢাকায়।
১৩. কে প্রাবন্ধিকের পথ দেখাবে?
ক. সত্য খ. গুরু
গ. পথিক ঘ. নেতা
উত্তর: ক. সত্য।
১৪. কে মিথ্যাকে ভয় পায়?
ক. যার মন অস্থির খ. যার মনে মিথ্যা
গ. যে দ্বিধাগ্রস্ত ঘ. যে কাপুরুষ
উত্তর: খ. যার মনে মিথ্যা।
১৫. প্রাবন্ধিক নতুন পথে যাত্রা করলেন কেন?
ক. যে সমাজে পচন ধরছে তাকে ভেঙ্গে দিতে খ. মিথ্যাকে ধ্বংস করতে
গ. তরুণদের উৎসাহিত করতে ঘ. সত্যের বাণীকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিতে
উত্তর: ক. যে সমাজে পচন ধরছে তাকে ভেঙ্গে দিতে।
১৬. আমার যাত্রা-শুরুর আগে আমি সালাম জানাচ্ছি-নমস্কার করছি আমার সত্যকে। আলোচ্য বাক্য কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে?
ক. সত্যনিষ্ঠ খ. ন্যায়পরায়ণতা
গ. অসাম্প্রদায়িক চেতনা ঘ. নীতিবোধ
উত্তর: গ. অসাম্প্রদায়িক চেতনা।
১৭. কোন ভয়ে প্রাবন্ধিক ভীত নন বলে আমার পথ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন?
ক. রাজভয় খ. শত্রুভয়
গ. ভূতের ভয় ঘ. সমাজের ভয়
উত্তর: ক. রাজভয়।
১৮. যে পথ আমার সত্যের বিরোধী, সে পথ ছাড়া আর কোনো পথই আমার বিপথ নয়। আলোচ্য উক্তির সঙ্গে নিচের কোন বক্তব্যের ভাবগত সাদৃশ্য রয়েছে?
ক. সত্যের পথে কোনো বিরোধ নেই খ. অন্তরের সত্যের বিরোধী পথই হলো বিপথ
গ. সত্যের পথে থাকলে কেউ বিপথে যায় না ঘ. সত্য. সুন্দরের পথেই মানবাত্মার জয়
উত্তর: খ. অন্তরের সত্যের বিরোধী পথই হলো বিপথ।
১৯. বাইরের ভয় কখন মানুষকে কিছু করতে পারে না?
ক. মিথ্যাকে ধ্বংস করতে পারলে খ. মিথ্যার সঙ্গে আপস করলে
গ. সত্যের পথে অবিচল থাকলে ঘ. অন্তরের সত্যকে চিনতে পারলে
উত্তর: ঘ. অন্তরের সত্যকে চিনতে পারলে।
২০. ভয় কখন মানুষকে কাবু করে ফেলে?
ক. অন্তরে মিথ্যার ভয় থাকলে খ. অন্তরের শক্তিতে বলীয়ান হলে
গ. বাইরের সত্যকে আপন করে নিলে ঘ. অশুভ শক্তির ভয়ে ভীত হলে
উত্তর: ক. অন্তরে মিথ্যার ভয় থাকলে।
২১. কে বাইরে ভয় পায়?
ক. যে মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয় খ. যার ভেতরে ভয়
গ. যার আত্মবিশ্বাস নেই ঘ. যার সাহস কম
উত্তর: খ. যার ভেতরে ভয়।
২২. কার আর কাউকে চিনতে বাকি থাকে না?
ক. যে তার সমাজকে চেনে খ. যে গোটা পৃথিবীটাকেই চেনে
গ. যে শত্রুকে চেনে ঘ. যে নিজেকে চেনে
উত্তর: ঘ. যে নিজেকে চেনে।
২৩. যার মনে মিথ্যা সে-ই মিথ্যাকে ভয় করে। আলোচ্য বাক্যের সঙ্গে নিচের কোন বক্তব্যটি সংগতিপূর্ণ?
ক. সেই মিথ্যাকে ভয় পায় যার মনে সত্যের স্থান নেই খ. মিথ্যাকে আগলে ধরে থাকলে মিথ্যাই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় গ. সত্যকে জানতে হলে মিথ্যাকে ত্যাগ করতে হয় ঘ. সেই মিথ্যাকে ভয় পায় যে মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয়
উত্তর: গ. সত্যকে জানতে হলে মিথ্যাকে ত্যাগ করতে হয়।
২৪. মানুষ কিভাবে নিজ মনের মধ্যে জোর অনুভব করে?
ক. নিজেকে চেনার মাধ্যমে খ. পুণ্যের পথকে চেনার মাধ্যমে
গ. মনুষ্যত্ববোধ অর্জনের মাধ্যমে ঘ. অপরের কল্যাণসাধনের মাধ্যমে
উত্তর: ক. নিজেকে চেনার মাধ্যমে।
২৫. যে ব্যক্তি নিজেকে চিনতে পারে সে কাকে কুর্নিশ করে?
ক. রাজাকে খ. আপন অস্তিত্বকে
গ. আপন ব্যক্তিত্বকে ঘ. আপন সত্যকে
উত্তর: ঘ. আপন সত্যকে।
২৬. কেউ তাকে ভয় দেখিয়ে পদানত রাখতে পারে না। এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
ক. সাহসী ব্যক্তি খ. দাম্ভিক ব্যক্তি
গ. আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি ঘ. আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি
উত্তর: ঘ. আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি।
২৭. আত্মাকে চেনার সহজ স্বীকারোক্তি নিচের কোনটির মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়?
ক. নিজের সত্যকে নিজের কাণ্ডারি বলে মানা খ. অনেকের ইচ্ছাকে নিজের মধ্য প্রতিফলিত করা
গ. ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে প্রাধান্য দেওয়া ঘ. নিজেকে আত্মবিশ্বাসী বলে গর্ব করা
উত্তর: ক. নিজের সত্যকে নিজের কাণ্ডারি বলে মানা।
২৮. কোনটিকে কেউ কেউ ভুল করে অহংকার বলে মনে করে?
ক. নিজেকে সত্যবাদী বলে প্রতিষ্ঠা করা খ. নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে জাহির করা
গ. সবসময় সত্য কথা বলা ঘ. নিজের সত্যকে গুরু মনে করা
উত্তর: ঘ. নিজের সত্যকে গুরু মনে করা।
২৯. হেলাল সব সময় তার অফিসের বড় কর্তার সামনে মাথা হেঁট করে থাকে। এমনকি বড়কর্তা তাকে শত অপমান করলেও সে তা গায়ে মাখে না। আবার পথ প্রবন্ধ অনুসারে উদ্দীপকের হেলাল কোনটিকে অস্বীকার করেছে?
ক. ব্যক্তিত্ববোধকে খ. বিবেকবোধকে
গ. আত্মসম্মানকে ঘ. আপন সত্যকে
উত্তর: ঘ. আপন সত্যকে।
৩০. আমার পথ প্রবন্ধ অনুসারে কিভাবে মানুষ ক্রমেই নিজেকে ছোট করে ফেলে?
ক. খুব বেশি বিনয় দেখাতে গিয়ে খ. খুব বেশি আনুগত্য প্রকাশ করতে গিয়ে
গ. খুব বেশি মহত্ত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে ঘ. খুব বেশি সহানুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে
উত্তর: ক. খুব বেশি বিনয় দেখাতে গিয়ে।
৩১. কোনটি মানুষের মাথা নিচু করে ফেলে বলে প্রাবন্ধিক আমার পথ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন?
ক. খুব বেশি বিনয় প্রকাশ খ. খুব বেশি অহংকার প্রকাশ
গ. খুব বেশি সহনশীলতা প্রকাশ ঘ. খুব বেশি নম্রতা প্রকাশ
উত্তর: ক. খুব বেশি বিনয় প্রকাশ।
৩২. ও রকম বিনয়ের চেয়ে কি অনেক ভালো বলে আমার পথ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন?
ক. আত্মঅহংকার খ. অহংকারের পৌরুষ
গ. বিদ্যার গর্ব ঘ. সত্যের গৌরব
উত্তর: খ. অহংকারের পৌরুষ।
৩৩. ও রকম বিনয় বলতে আমার পথ প্রবন্ধে কি বোঝানো হয়েছে?
ক. নারীরা যে বিনয় প্রকাশ করে খ. পুরুষেরা নারী সুলভ আচরণের প্রকাশ
গ. নিজ সত্যকে অস্বীকার করে যে বিনয় দেখানো ঘ. নিজ মর্যাদাকে অস্বীকার করে যে বিনয় দেখানো হয়
উত্তর: গ. নিজ সত্যকে অস্বীকার করে যে বিনয় দেখানো।
৩৪. কোন ধরনের কথা বলায় একটা অবিনয় নিশ্চয় থাকে?
ক. মিথ্যা খ. স্পষ্ট
গ. অসত্য ঘ. অস্পষ্ট
উত্তর: খ. স্পষ্ট।
৩৫. কার স্পষ্ট কথাটাকে কেউ যেন অহংকার বলে ভুল না করে বসেন বলে আমার পথ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন?
ক. মহারথীর খ. কর্ণধারের
গ. দিকনির্দেশকের ঘ. অভিশাপ-রথের সারথির
উত্তর: ঘ. অভিশাপ-রথের সারথির।
৩৬. কিসে কষ্ট পাওয়াটা দুর্বলতা?
ক. মিথ্যা বলায় যে অবিনয় থাকে তাতে খ. সত্যের সাথে মিথ্যার বিরোধে
গ. অস্পষ্ট কথা বলায় যে অবিনয় থাকে তাতে ঘ. স্পষ্ট কথা বলায় যে অবিনয় থাকে তাতে
উত্তর: ঘ. স্পষ্ট কথা বলায় যে অবিনয় থাকে তাতে।
৩৭. কীভাবে নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাস আনা যায়?
ক. নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে মানলে খ. নিজেকে বিশ্বাস করলে
গ. নিজেকে জানলে ঘ. নিজের মেধাকে কাজে লাগালে
উত্তর: গ. নিজেকে জানলে।
আরো পড়ুন: লালসালু উপন্যাসের MCQ
৩৮. কখন সত্যের উপর অটুট বিশ্বাস আসে?
ক. সবাইকে ভালোবাসলে খ. নিজের সত্যেকে কর্ণধার জানলে
গ. কাউকে ভয় না পেলে ঘ. নিজের মেধাকে কাজে লাগালে
উত্তর: খ. নিজের সত্যেকে কর্ণধার জানলে।
৩৯. মাহাত্ম গান্ধী সবাইকে নিজের ওপর বিশ্বাস করতে শেখাচ্ছিলেন কেন?
ক. পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করার জন্য খ. ন্যায়ের পথে চলার জন্য
গ. উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ঘ. সত্যবাদী হওয়ার জন্য
উত্তর: ক. পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করার জন্য।
৪০. কে সবাইকে নিজের ওপর বিশ্বাস করতে শেখাচ্ছিলেন বলে আমার পথ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন?
ক. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু খ. জওহরলাল নেহরু
গ. ইন্দিরা গান্ধী ঘ. মহাত্মা গান্ধী
উত্তর: ঘ. মাহাত্মা গান্ধী।
৪১. নিজের ওপর বিশ্বাস করতে শেখার তাৎপর্য হলো
ক. সত্যবাদী হওয়া যায় খ. আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করা যায়
গ. স্বাধীনচেতা হওয়া যায় ঘ. মনুষ্যত্ববোধ অর্জন করা যায়
উত্তর: খ. আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করা যায়।
৪৩. কারা বাইরের গোলামি থেকে রেহাই পায় না?
ক. যারা কপট আচরণ করে খ. যাদের অন্তরে সত্যের স্থান নেই
গ. যাদের অন্তরে গোলামির ভাব ঘ. যারা আলসেমি করে
উত্তর: গ. যাদের অন্তরে গোলামির ভাব।
৪৪. আত্মাকে চিনলে কিভাবে আত্মনির্ভরতা আসে?
ক. নিজ শক্তিকে জানার মাধ্যমে খ. নিজ অস্তিত্বকে জানার মাধ্যমে
গ. নিজ ব্যক্তিত্বকে জানার মাধ্যমে ঘ. নিজ মনকে জানার মাধ্যমে
উত্তর: ক. নিজ শক্তিকে জানার মাধ্যমে।
৪৫. আত্মাকে চিনলে কিভাবে আত্মনির্ভরতা আসে?
ক. নিজ শক্তিকে জানার মাধ্যমে খ. নিজ অস্তিত্বকে জানার মাধ্যমে
গ. নিজ ব্যক্তিত্বকে জানার মাধ্যমে ঘ. নিজ মনকে জানার মাধ্যমে
উত্তর: ক. নিজ শক্তিকে জানার মাধ্যমে।
৪৬. কোনটি না আসা পর্যন্ত আমরা স্বাধীন হতে পারব না?
ক. পর্যাপ্ত অস্ত্র খ. যোগ্য নেতৃত্ব
গ. বিদেশী সাহায্য ঘ. আত্মনির্ভরতা
উত্তর: ঘ. আত্মনির্ভরতা।
৪৭. কী লেখকের আগুনকে নেভাতে পারে?
ক. মন্ত্র সিদ্ধ জল খ. অহংকারের জল
গ. মিথ্যার জল ঘ. অসত্যের জল
উত্তর: গ. মিথ্যার জল।
৪৮. আমাদের স্বাধীনতা কীভাবে আসেবে?
ক. আত্মমর্যাদা সম্পন্ন হয়ে ওঠার মাধ্যমে খ. আত্মসচেতন হয়ে ওঠার মাধ্যমে
গ. সংগ্রামী হয়ে ওঠার মাধ্যমে ঘ. আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার মাধ্যমে
উত্তর: ঘ. আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার মাধ্যমে।
৪৯. নিজে নিক্রিয় থেকে কাকে প্রাণপণে ভক্তি করলেই দেশ উদ্ধার হয়ে যায় না?
ক. একজন অতিমানবকে খ. একজন মহাপুরুষকে
গ. একজন জননেতাকে ঘ. একজন বীর যোদ্ধাকে
উত্তর: খ. একজন মহাপুরুষকে।
৫০. ভারতবর্ষের পরাধীনতার প্রধান কারণরূপে কোনটিকে চিহ্নিত করা যায়?
ক. অজ্ঞানতা খ. অলসতা
গ. স্বার্থপরতা ঘ. নিক্রিয়তা
উত্তর: ঘ. নিক্রিয়তা।
৫১. আমার পথ প্রবন্ধ অনুসারে নিচের কোনটিকে ভারতবাসীর পরনির্ভরতা লক্ষণীয়?
ক. পরিশ্রম করতে না চাওয়া খ. অন্যের ক্ষমতার উপর নির্ভর করা
গ. নিজে নিক্রিয় থেকে মহাপুরুষকে প্রাণপণে ভক্তি করা ঘ. আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের চেষ্টা না করা
উত্তর: গ. নিজে নিক্রিয় থেকে মহাপুরুষকে প্রাণপণে ভক্তি করা।
৫২. কারা অসাধ্যকে সাধন করতে পারে?
ক. যাদের মনে তথাকথিত দম্ভ আছে খ. যাদের মনে করুণার ভাব আছে
গ. যাদের হৃদয়ে বিনয়ের ভাব আছে ঘ. যাদের হৃদয়ে শিক্ষার আলো আছে
উত্তর: ক. যাদের মনে তথাকথিত দম্ভ আছে।
৫৩. তথা কথিত দম্ভ বলতে কোনটিকে বোঝানো হয়েছে?
ক. ক্ষমতার দম্ভ খ. অর্থের দম্ভ
গ. আত্মাকে চেনা ঘ. সম্পদকে চেনা
উত্তর: গ. আত্মাকে চেনা।
৫৪. যাদের তথাকথিত দম্ভ আছে তারাই কি করতে পারে?
ক. রাজ্য জয় খ. দেশ রক্ষা
গ. দেশ শাসন ঘ. অসাধ্য সাধন
উত্তর: ঘ. অসাধ্য সাধন।
৫৫. প্রাবন্ধিক কীভাবে প্রলয় আনবেন?
ক. পচে যাওয়া সমাজকে ধ্বংস করে খ. পুরাতনকে ধ্বংস করে
গ. মিথ্যাকে ধ্বংস করে ঘ. সকল অসুন্দরকে ধ্বংস করে
উত্তর: ক. পচে যাওয়া সমাজকে ধ্বংস করে।
৫৬. নতুন জাতি গড়ে তোলা যাবে কিভাবে?
ক. জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়ে খ. পচে যাওয়া সমাজকে ধ্বংস করে
গ. বিকৃত জাতিকে ধ্বংস করে ঘ. সুস্থ মানসিকতার জাতি গড়ে তোলে
উত্তর: খ. পচে যাওয়া সমাজকে ধ্বংস করে।
৫৭. দুর্নীতি আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। আমার পথ প্রবন্ধ অনুসারে উদ্দীপকের সমাজকে কী বলা যায়?
ক. ধ্বংসপ্রাপ্ত সমাজ খ. পচে যাওয়া সমাজ
গ. ক্ষয়ে যাওয়া সমাজ ঘ. নষ্ট হয়ে যাওয়া সমাজ
উত্তর: খ. পচে যাওয়া সমাজ।
৫৮. কাদের দূর করতে আগুনের সম্মার্জনা প্রয়োজন হবে?
ক. দেশের শত্রুদের খ. দেশদ্রোহীদের
গ.কপটচারীদের ঘ. দুষ্ট লোকদের
উত্তর: ক. দেশের শত্রুদের।
৫৯. লেখক কীভাবে একটি নতুন দেশ গড়বেন?
ক. সত্যকে প্রতিষ্ঠা করে খ. মিথ্যা, ভণ্ডামি, মেকি ও শত্রুদের দূর করে
গ. মানুষে মানুষে বিভেদ দূর করে ঘ. মানুষকে সচেতন করে তুলে
উত্তর: খ. মিথ্যা, ভণ্ডামি, মেকি ও শত্রুদের দূর করে।
৬০. কারও প্রশংসা পাওয়ার লোভে কোনদিনও মিথ্যার পথে হাঁটেনি নিখিল। আমার পথ প্রবন্ধ অনুসারে নিখিলের মধ্যে কোনটি নেই?
ক. প্রশংসা পাওয়ার লোভ খ. ন্যায়নিষ্ঠা
গ. সত্যনিষ্ঠা ঘ. সততা
উত্তর: ক. প্রশংসা পাওয়ার লোভ।
৬১. কিসের লোভ প্রাবন্ধিক কোনদিনই করবেন না?
ক. ভণ্ডামি করে শ্রদ্ধা পাওয়ার লোভ খ. অর্থ উপার্জনের লোভ
গ. গুটি কয়েক মানুষের প্রশংসা পাওয়া লোভ ঘ. সকালের চেয়ে নিজেকে বড় প্রমাণ করার লোভ।
উত্তর: ক. ভণ্ডামি করে শ্রদ্ধা পাওয়ার লোভ।
৬২. কোনো ভুল করছেন তা বুঝতে পারলেই প্রাবন্ধিক কী করবেন?
ক. তা সংশোধন করবেন খ. তা স্বীকার করবেন
গ. তা আর কখনই করবেন না ঘ. সবাইকে তা জানাবেন
উত্তর: খ. তা স্বীকার করবেন।
৬৩. কোন ধর্ম সবচেয়ে বড় বলে আমার পথ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন?
ক. মানুষের ধর্ম খ. প্রকৃতির ধর্ম
গ. জীবজগতের ধর্ম ঘ. প্রাণিজগতের ধর্ম
উত্তর: ক. মানুষের ধর্ম।
৬৪. প্রাবন্ধিকের মূল উদ্দেশ্য কি?
ক. ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা খ. মানুষে মানুষে বিভেদ দূর করা
গ.হিন্দু-মুসলমানদের মিলন ঘটানো ঘ. সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা
উত্তর: গ. হিন্দু-মুসলমানদের মিলন ঘটানো।
৬৫. কোথায় মানুষে মানুষে কোনো হিংসার ভাব আনে না?
ক. যেখানে ধর্মের মিল খ. যেখানে কর্মের মিল
গ. যেখানে বর্ণের মিল ঘ. যেখানে প্রাণের মিল
উত্তর: ঘ. যেখানে প্রাণের মিল।
৬৬. কে কখনো অন্য ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না?
ক. যার নিজের ধর্মে বিশ্বাস আছে খ. যার মানবধর্মে বিশ্বাস আছে
গ. যে সব প্রাণীকে ভালোবাসে ঘ. যে সত্যকে ভালোবাসে
উত্তর: ক. যার নিজের ধর্মে বিশ্বাস আছে।
৬৭. হিন্দু-মুসলমানের কী দেখিয়ে দেয় এর গলদ দূর করা প্রাবন্ধিকের অন্যতম উদ্দেশ্য?
ক. মতের বিরোধ খ. বিশ্বাসের পরিবর্তন
গ. মিলনের অন্তরায় ঘ. ঝগড়া-বিবাদের কারণ
উত্তর: ঘ. ঝগড়া-বিবাদের কারণ।
৬৮. হাসান তার নিজের ধর্ম যথাযথভাবে পালন করে এবং অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা করে। আমার পথ প্রবন্ধ অনুসারে উদ্দীপকের হাসান কোনটিকে চিনেছে?
ক. ধর্মের বাণী খ. ধর্মের মাহাত্ম্য
গ. ধর্মের শক্তি ঘ. ধর্মের সত্য
উত্তর: ঘ. ধর্মের সত্য।
৬৯. কোনটিকে লক্ষ্য করে আমার পথ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক পথে বের হলেন?
ক. দেশের পক্ষে যা মঙ্গলকর খ. দেশের স্বাধীনতার জন্য যা অপরিহার্য
গ. দেশের মানুষের জন্য যা মুক্তির বার্তা নিয়ে আসবে ঘ. যে শক্তি সকল কুসংস্কারকে ধ্বংস করবে
উত্তর: ক. দেশের পক্ষে যা মঙ্গলকর।
৭০. প্রাবন্ধিক কাজী নজরুল ইসলাম কি করতে চান না?
ক. না বুঝে বোঝার ভণ্ডামি খ. না বুঝে বোঝার অভিনয়
গ. বুঝে না বোঝার ভণ্ডামি ঘ. বুঝে না বোঝার অভিনয়
উত্তর: ক. না বুঝে বোঝার ভণ্ডামি।
৭১.আমার পথ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কী বুলিয়ে পথে বের হলেন?
ক. ফুলের মালা খ. আগুনের ঝাণ্ডা
গ. আগুনের অস্ত্র ঘ. বিষের বাঁশি
উত্তর: খ. আগুনের ঝাণ্ডা।
৭২. নেতৃত্ব প্রদানের সামর্থ্য আছে এমন ব্যক্তিকে কি বলে?
ক. কর্নধার খ. যোগ্য ব্যক্তি
গ. প্রধানমন্ত্রী ঘ. শীর্ষ ব্যক্তি
উত্তর: ক. কর্ণধার।
৭৩. সকল অন্যায়ের সামনে কাজী নজরুল ইসলাম কি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন?
ক. যোদ্ধা খ. প্রতিশোধক
গ. প্রতিবাদী ঘ. অভিশাপ
উত্তর: ঘ. অভিশাপ।
৭৪. মেকি শব্দের অর্থ কি?
ক. অসমান খ. অসরল
গ. মিথ্যা/কপট ঘ. ছলনা
উত্তর: গ. মিথ্যা/কপট।
৭৫. আগুনের ঝাণ্ডা কি?
ক. অগ্নিকাণ্ড খ. আগ্নেয়গিরি
গ. অগ্নিদেবতা ঘ. অগ্নিপতাকা
উত্তর: ঘ. অগ্নিপতাকা।
৭৬. আমার পথ কোন ধরনের রচনা?
ক. গল্প খ. ছোট্টগল্প
গ. প্রবন্ধ ঘ. অভিভাষণ
উত্তর: গ. প্রবন্ধ।
৭৭. আমার পথ প্রবন্ধটির রচয়িতা কে?
ক. কাজী নজরুল ইসলাম খ. বেগম রোকেয়া
গ. আনিসুজ্জামান ঘ. মোতাহের হোসেন
উত্তর: ক. কাজী নজরুল ইসলাম।
৭৯. কাজী নজরুল ইসলাম এক মানুষকে অন্য মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে কি হয়ে উঠতে চেয়েছেন?
ক. আমি খ. আমরা
গ. নির্ভীক ঘ. প্রত্যয়ী
উত্তর: খ. আমরা।
৮০. আমার পথ প্রবন্ধে কাজী নজরুল েইসলাম গোটা মানবসমাজকে কি করতে চেয়েছেন?
ক. ঐক্যবদ্ধ খ. পরিশ্রমী
গ. প্রত্যয়ী ঘ. কর্মমুখী
উত্তর: ক. ঐক্যবদ্ধ।
৮১. বল বীর, বল উন্নত মম শির; এই চেতনা প্রকাশিত হয়েছে কোন লেখায়?
ক. আহ্বান খ. সাম্যবাদী
গ. আমার পথ ঘ. বিড়াল
উত্তর: গ. আমার পথ।
৮২. আমার পথ প্রবন্ধটির নামকরণে প্রাবন্ধিক কিসের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন?
ক. ভাববস্তুর উপর খ. অন্তনির্হিত তাৎপর্যের উপর
গ. বিষয়বস্তুর উপর ঘ. প্রতীকি তাৎপর্যের উপর
উত্তর: গ. বিষয়বস্তুর উপর।
৮৩. আমার পথ প্রবন্ধের লেখক কীভাবে একটি নতুন দেশ গড়বেন?
ক. সত্যকে প্রতিষ্ঠা করে খ. মানুষ মানুষে বিভেদ দূর করে
গ. মানুষেকে সচেতন করে তুলে ঘ. মিথ্যা, ভণ্ডামি, মেকি ও শত্রুদের দূর করে
উত্তর: খ. মানুষে মানুষে বিভেদ দূর করে।
৮৪. কত সালে কাজী নজরুল ইসলাম সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে যোগ দিতে করাচি যান?
ক. ১৯১৫ সালে খ. ১৯১৬ সালে
গ. ১৯১৭ সালে ঘ. ১৯১৮ সালে
উত্তর: গ. ১৯১৭ সালে।
৮৫. কিভাবে সত্যকে পাওয়া যায়?
ক. সত্য পথ অনুসরণ করলে খ. কঠোর পরিশ্রম করলে
গ. ভুলের মধ্যে দিয়ে গেলে ঘ. জ্ঞান সাধনা করলে
উত্তর: গ. ভুলের মধ্যে দিয়ে গেলে।
৮৭. কোনটি আমাদের নিক্রিয় করে ফেলে?
ক. বিনয় খ. দম্ভ
গ. পরাবলম্বন ঘ. অসত্য
উত্তর: গ. পরাবলম্বন।
৮৮. আমার পথ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম সবচেয়ে বড় ধর্ম বলে কোন ধর্মের উল্লেখ করেছেন।
ক. ইসলামধর্ম খ. বৌদ্ধধর্ম
গ. খ্রিষ্টধর্ম ঘ. মানুষ ধর্ম।
উত্তর: ঘ. মানুষ ধর্ম।
৮৯. যার মনে মিথ্য সে-ই মিথ্যাকে কি কের?
ক. জয় খ. ভয়
গ. দূর ঘ. আপন
উত্তর: খ. ভয়।
৯০. আমার পথ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম কিসের জয়গান গেয়েছেন?
ক. আগুনের ঝাণ্ডার খ. আগুনের সম্মার্জনার
গ. স্বীয় সত্যাদর্শের ঘ. জাতির স্বাবলম্বনের
উত্তর: গ. স্বীয় সত্যাদর্শের।
৯১. আমাদের দেশের তারুণ্যশক্তি জাতীয় জীবনের চালিকা শক্তি হতে পারছে না কেন?
ক. সঠিক নির্দেশনার অভাবে খ. দারিদ্যের কারণে
গ. বিভিন্ন বাধার কারণে ঘ. অপরাজনীতির কারণে
উত্তর: ক. সঠিক নির্দেশনার অভাবে।
৯২. অহংকারের পৌরুষকে বিনয়ের থেকে ভালো বলা হয়েছে কেন?
ক. পৌরুষ গৌরব বাড়ায়া খ. পৌরুষ আবশ্যকীয় গুণ
গ. পৌরুষ মাথা উচুঁ করে ঘ. পৌরুষ দাম্ভিক করে
উত্তর: গ. পৌরুষ মাথা উচুঁ করে।
৯৩. আমার পথ বলতে কাজী নজরুল ইসলাম কোন পথকে বুঝিয়েছেন?
ক. সত্যের পথ খ. অহংকারের পথ
গ. বিজয়ের পথ ঘ. মহাপ্রলয়ের পথ
উত্তর: ক. সত্যের পথ।
৯৪. আমার পথটি প্রবন্ধটির কোন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
ক. যুগবাণী খ. রুদ্রমঙ্গল
গ. দুর্নিনের যাত্রী ঘ. বিষের বাঁশি
উত্তর: খ. রুদ্রমঙ্গল।
৯৫. কুর্নিশ শব্দটির অর্থ কি?
ক. অভিনন্দন খ. অভিবাবদন
গ. সম্ভাষণ ঘ. সম্বোধন
উত্তর: খ. অভিবাবদন।
৯৬. গান্ধীজি আছেন কথাটির মর্মার্থ কি?
ক. আত্মাকে চেনা খ. স্বাবলম্বন
গ. পরাবলম্বন ঘ. আত্মনির্ভরতা
উত্তর: গ. পরাবলম্বন।
৯৭. আমার পথ প্রবন্ধে লেখকের মতে মানুষ অনেক সময় সত্যেকে অস্বীকার করে ফেলে
ক. দম্ভ দেখাতে গিয়ে খ. বিনয় দেখাতে গিয়ে
গ. অহংকার দেখাতে গিয়ে ঘ. দ্বেষ দেখাতে গিয়ে
উত্তর: খ. বিনয় দেখাতে গিয়ে।
৯৮. সম্মার্জনা শব্দের অর্থ কি?
ক. সম্মান করা খ. ক্ষমা করা
গ. ঘষা মাজা করা ঘ. বিনয়ের সাথে বলা
উত্তর: ঘ. ঘষা মাজা করা।
৯৯. কত বছর বয়সে কাজী নজরুল ইসলাম লেটো গানের দেলে যোগ দেন?
ক. ১০ খ. ১১
গ. ১২. ঘ. ১৩
উত্তর: গ. ১২।
১০০. মিথ্যার ভয়কে জয় করার জন্য কোনটি প্রয়োজন?
ক. দুঃসাহস খ. অধ্যবসায়
গ. আত্মনির্ভরতা ঘ. নিজেকে চেনা
উত্তর: ঘ. নিজেকে চেনা।
১০১. আমার পথ প্রবন্ধের মূলসুর হিসেবে নিচের কোনটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য?
ক. যোগ্য নেতৃত্ব খ. আত্মনির্ভরশীলতা
গ. ক্ষমা ও ত্যাগ ঘ. যৌবন-বন্দনা
উত্তর: খ. আত্মনির্ভরশীলতা।
১০২. আমার পথ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কোন পথকে বিপথ বলেছেন?
ক. পাপের পথ খ. অন্যায়ের পথ
গ. সত্যের বিরোধী পথ ঘ. মিথ্যার পথ
উত্তর: গ. সত্যের বিরোধী পথ।
১০৩. বড় দাসত্ব কোনটি?
ক. পরাবলম্বন খ. নিক্রিয়তা
গ. গোলামির ভাব ঘ. মিথ্যা অবলম্বন
উত্তর: ক. পরাবলম্বন।
১০৪. স্পষ্ট কথায় অনেকে কষ্ট পায় কেন?
ক. পরনির্ভরশীলতার জন্য খ. দুর্বলতার জন্য
গ. ভদ্রতার জন্য ঘ. মূর্খতার জন্য
উত্তর: খ. দুর্বলতার জন্য।
১০৫. কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়?
ক. সত্য প্রকাশের মাধ্যমে খ. বাহুবল দ্বারা
গ. মিথ্যার মাধ্যমে ঘ. ইচ্ছাশক্তি দ্বারা
উত্তর: ক. সত্য প্রকাশের মাধ্যমে।
১০৬. ভুলের মাধ্যমে আমরা কি পেতে পারি?
ক. সত্য খ. মিথ্যা
গ. ভয় ঘ. জ্ঞান
উত্তর: ক. সত্য।
১০৭. আত্মাকে চেনার দম্ভ ভণ্ডামি নয় কেন?
ক. মিথ্যা থাকে না বলে খ. দাসত্বমুক্ত বলে
গ. অসাধারণ করতে পারে বলে ঘ. বিনয় থাকে বলে
উত্তর: ক. মিথ্যা থাকে না বলে।
১০৮. কিন্তু আমরা তাঁর কথা বুঝলাম না-আমার পথ প্রবন্ধে কার সম্পর্কে আলোচ্য কথাটি বলা হয়েছে?
ক. ভারতবাসী খ. কাজী নজরুল ইসলাম
গ. মহাত্মা গান্ধী ঘ. নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু
উত্তর: গ. মহাত্মা গান্ধী।
১০৯. আমার পথ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক কারও বাণীকে কি বলে মেনে নেবেন না?
ক. স্তৃতিবাক্য খ. বেদবাক্য
গ. অনুকরণীয়বাক্য ঘ. আদর্শবাক্য
উত্তর: খ. বেদবাক্য।
১১০. মানুষের মনের জোর অর্জিত হয়
ক. ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে খ. আত্মোপলদ্ধির মাধ্যমে
গ. প্রবল বাসনার মাধ্যমে ঘ. জোর সাহসিকতার মাধ্যমে
উত্তর: খ. আত্মোপলদ্ধির মাধ্যমে।
১১১. আমি আছি এই কথা না বলে আমরা বলতে লাগলাম গান্ধীজি আছেন। এখানে আমি আছি বলতে নজরুল বুঝিয়েছেন?
ক. পরাবলম্বন খ. স্বাবলম্বন
গ. নিজেকে ঘ. গান্ধীজিকে
উত্তর: খ. স্বাবলম্বন।
১১২. যুগবাণী কাজী নজরুল ইসলামের কোন ধরনের গ্রন্থ?
ক. নাট্যগ্রন্থ খ. কাব্যগ্রন্থ
গ. প্রবন্ধগ্রন্থ ঘ. গল্পগ্রন্থ
উত্তর: গ. প্রবন্ধগ্রন্থ।
১১৩. আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে। প্রাবন্ধিকের এই বক্ত্যব্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কোনটি?
ক. আত্মবিশ্বাস খ. সম্মার্জনা
গ. পরাবলম্বন ঘ. গল্পগ্রন্থ
উত্তর: ক. আত্মবিশ্বাস।
১১৪. কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্থগ্রন্থ কোনটি?
ক. যুগবাণী খ. সিন্ধু-হিন্দোল
গ. সঞ্চিতা ঘ. শিউলিমালা
উত্তর: ক. যুগবাণী।
১১৫. কবি কাজী নজরুল ইসলামের একহাতে রণতূর্য আরেক হাতে কি?
ক. বিদ্রোহ খ. সাম্যবাদী
গ. দুরন্তপনা ঘ. বাঁশি
উত্তর: ঘ. বাঁশি।
১১৬. আমার পথ প্রবন্ধে কী ফুঠে উঠেছে?
ক. ত্যাগের মহিমা খ. সত্যের স্বরুপ
গ. মিথ্যার প্রবঞ্চনা ঘ. দেশপ্রেম
উত্তর: খ. সত্যের স্বরুপ।
১১৭. নিম্নের কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত উপন্যাস?
ক. ব্যথার দান খ. রুদ্র মঙ্গল
গ. রিক্তের বেদন ঘ. বাঁধনহারা
উত্তর: ঘ. বাঁধনহারা।
১১৮. নিচের কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ নয়?
ক. রাজবন্দিদের জবানবন্দি খ. যুগবাণী
গ. দুর্দিদের যাত্রী ঘ. কুহেলিকা
উত্তর: ঘ. কুহেলিকা।
১১৯. কবি নজরুলের মতো সকল ধর্মের মূল বাণী
ক. মানবতাবোধ খ. সত্যনিষ্ঠা
গ. অসাম্প্রদায়িকতা ঘ. কর্তব্যনিষ্ঠা
উত্তর: ক. মানবতাবোধ।
১২০. আমার পথ প্রবন্ধের মূল উপজীব্য কোনটি?
ক. সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা খ. সমাজতান্ত্রিক চেতনা
গ. আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করা ঘ. শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
উত্তর: গ. আত্মবিশ্বাস জাগ্রত করা।
১২১. কাজী নজরুল ইসলামকে পথ দেখাবে কোনটি?
ক. আগুনের সম্মার্জনা খ. আপন সত্য
গ. মহাপুরুষের বাণী ঘ. ধর্মের বাণী
উত্তর: খ. আপন সত্য।
১২২. কাজী নজরুল ইসলামের মতে অভিশাপ রথের সারথি কে?
ক. যিনি ন্যায়ের পথে দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যান খ. যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অভিশাপ হয়ে আবির্ভূত হন
গ. যিনি মঙ্গল শোভাযাত্রার রথচালকের আসনে বসেন ঘ. যিনি মানুষধর্ম প্রচারে ব্যাপৃত থাকেন
উত্তর: খ. যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অভিশাপ হয়ে আবির্ভূত হন
১২৩. কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
ক. মৃত্যেু-ক্ষুধা খ. ব্যথার দান
গ. রিক্তের বেদন ঘ. রুদ্র মঙ্গল
উত্তর: ক. মৃত্যেু-ক্ষুধা।
১২৪. কোন ধর্ম সবচেয়ে বড় বলে আমার পথ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন?
ক. মানুষের ধর্ম খ. প্রকৃতির ধর্ম
গ. জীবজগতের ধর্ম ঘ. প্রাণিজগতের ধর্ম
উত্তর: ক. মানুষের ধর্ম।
১২৫. শিউলিমালা কোন জাতীয় গ্রন্থ?
ক. গল্পগ্রন্থ খ. উপন্যাস
গ. নাটক ঘ. প্রবন্ধ
উত্তর: ক. গল্পগ্রন্থ।
১২৬. মিথ্যা, ভন্ডামি ও মেকি দূর করতে কিসের প্রয়োজন?
ক. আদর্শ খ. সততা
গ. আগুনের সম্মার্জনা ঘ. বিশ্বাস
উত্তর: গ. আগুনের সম্মার্জনা।
১২৭. আমাদের দেশের তারুণ্য ও যৌবনশক্তি জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হতে পারছে না কেন?
ক. সঠিক নির্দেশনার অভাবে খ. দারিদ্র্য
গ. মাদকাসক্তি ঘ. রাজনীতি
উত্তর: ক. সঠিক নির্দেশনার অভাবে।
১২৮. কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা কোনটি?
ক. সওগাত খ. কালি ও কলম
গ. ধূমকেতু ঘ. প্রগতি
উত্তর: গ. ধূমকেতু।
১২৯. কাজী নজরুর ইসলমা কিসের পূজারী?
ক. ধূমকেতুর খ. প্রলয়ের
গ. দুর্গার ঘ. সত্যের
উত্তর: ঘ. সত্যের।
১৩০. মহাত্মা গান্ধী মানুষকে কি শিখিয়েছেন?
ক. স্বাবলম্বন ও অটুট বিশ্বাস খ. পরাবলম্বন ও অটুট বিশ্বাস
গ. দাসত্ব ঘ. অটুট বিশ্বাস
উত্তর: ক. স্বাবলম্বন ও অটুট বিশ্বাস।
১৩১. ব্যথার দান কাজী নজরুলের কি ধরণের রচনা?
ক. নাট্যগ্রন্থ খ. গল্পগ্রন্থ
গ. প্রবন্ধ গ্রন্থ ঘ. কাব্যগ্রন্ধ
উত্তর: খ. গল্পগ্রন্থ।
১৩২. নিজেকে জানো উক্তিটি আমার পথ প্রবন্ধের কোন দিকটিকে নির্দেশ করে?
ক. আত্মবিশ্বাস খ. আত্মঅহংকার
গ. স্বাবলম্বন ঘ. পরাবলম্বন
উত্তর: ক. আত্মবিশ্বাস।
১৩৩. কাজী নজরুল ইসলামকে কোথায় সমাহিত করা হয়?
ক. কলকাতায় খ. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
গ. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
উত্তর: ঘ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
১৩৪. আমার পথ প্রবন্ধের সাহিত্যকুলে মূলত কোন পরিচয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন?
ক. প্রাবন্ধিক খ. ঔপন্যাসিক
গ. কবি ঘ. গীতিকার
উত্তর: গ. কবি।
১৩৫. কাজী নজরুল ইসলাম আমার পথ প্রবন্ধে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না পারলে আমাদের ব্যক্তিত্ব হয়?
ক. দুর্বল খ. পরমুখাপেক্ষী
গ. আত্মনির্ভরশীল ঘ. পরনির্ভরশীল
উত্তর: ঘ. পরনির্ভরশীল।
১৩৬. মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হলে কোন বিরোধ মিটে যাবে বল প্রাবন্ধিক কাজী নজরুল ইসলাম মনে করেন?
ক. মানুষের সঙ্গে মানুষের খ. সমাজের সঙ্গে সমাজের
গ. ধর্মের সঙ্গে ধর্মের ঘ. রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের
উত্তর: গ. ধর্মের সঙ্গে ধর্মে।
১৩৭. আমার পথ প্রবন্ধ পাঠ শেষে কী সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করা যায়
i. আপন সত্য
ii. নিজের ভুল
iii. নিজের অবিশ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii।
১৩৮. কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস হলে
i. মৃত্যেুক্ষুধা
ii. দুর্দিনের যাত্রী
iii. কুহেলিকা
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii।
১৩৯. তাহলে আমার আগুন সেই দিনই নিভে যাবে - এখানে আগুন যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
i. আত্মবিশ্বাস
ii. সত্যের অবিচলতা
iii. দাম্ভিক হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii।
১৪০. ভুলের মধ্যে সত্যকে পাওয়ার উপায় হলো
i. ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া
i. বিনয়ী হওয়া
ii. আত্মসচেতন হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii।
১৪১. সত্য যেভাবে পথ দেখায়
i. ত্যাগী করে
ii. আত্মনির্ভরশীল করে
iii. আত্মাকে চিনিয়ে দেয়
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii।
১৪২. আত্মাকে চেনা, নিজের সত্যকে বড় মনে করার, দম্ভের মধ্যে প্রকাশ পায়
i. আত্ম অহংকার
ii. আত্মনির্ভরতা
iii. স্বাবলম্বন
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii ।
১৪৩. কাজী নজরুল ইসলামের মতে দম্ভ করা কাদের সাজে?
i. যারা সত্যকে বড় মনে করে
ii. সত্যের জোরে যার মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়
iii. সত্যের জোরে যাদের মধ্যে ডোন্টকেয়ার ভাব থাকে
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: ঘ. i ii ও iii।
১৪৪. আগুনের সম্মার্জনা প্রয়োজন
i. মিথ্যাকে দূর করতে
ii. মেকি দূর করতে
iii. ভণ্ডামি দূর করতে
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: ঘ. i ii ও iii।
১৪৫. আমার পথ প্রবন্ধানুসারে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হতে পারলেই
i. ধর্মের বৈষম্য লোপ পাবে
ii. ধর্মের সত্য উন্মোচিত হবে
iii. মানুষে মানুষে প্রাণের সম্মিলন ঘটবে
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: ঘ. i ii ও iii।
১৪৬. আমি আছি দ্বারা গান্ধীজি যা বোঝাতে চেয়েছেন
i. আমি বেঁচে আছি
ii. আমরা প্রত্যেকে আছি
iii. আমরা আত্মবিশ্বাসে অটুট আছি
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii।
১৪৭. আমার পথ প্রবন্ধ পাঠ শেষে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে
i. আপন সত্য সম্পর্কে
ii. নিজের ভুল সম্পর্কে
iii. নিজের অবিশ্বাস সম্পর্কে
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii।
১৪৮. বাইরের ভয় নজরুলকে কিছু করতে না পারার কারণ
i. নজরুল আপন সত্যকে চেনেন
ii. অন্তরে মিথ্যার ভয় না থাকা
iii. অন্যের সত্যকে অনুধাবন
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii।
১৪৯. আত্মাকে চেনার সহজ স্বীকারোক্তি কোনটি?
i. নিজেকে চেনা
ii. আপনার সত্যকে আপনার গুরু বলে জানা
iii. আপনার সত্যকে কাণ্ডারি বলে জানা
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: ঘ. i ii ও iii।
১৫০. আমার পথ প্রবন্ধ পাঠ করে শিক্ষার্থীরা
i. আত্মপ্রত্যয়ী হবে
ii. দায়িত্ববান হবে
iii. সংগ্রামী হবে
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i ii ও iii
উত্তর: ঘ. i ii ও iii।
আত্মাকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে ব্যাখ্যা কর।
সত্য জানা ও আত্মশক্তির বিকাশের মাধ্যমে আত্মনির্ভরতা আসে। অন্যের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকাকে বলা হয় পরনির্ভরতা। যার নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাস নেই, যে আত্মশক্তি ও সত্যকে জানে না সে-ই পরনির্ভর। প্রাবন্ধিকের মতে, পরনির্ভরশীলতাকে বর্জন করতে হলে নিজের সত্যকে জানতে হবে, নিজের শক্তির ওপর আস্থা স্থাপন করতে হবে। আর তা হলেই মানুষ হয়ে উঠবে আত্মনির্ভরশীল। এভাবেই আত্মনির্ভরতা আসে।
যে নিজের ধর্মের সত্যকে চিনেছে, সে কখনো অন্য ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না। ব্যাখ্যা কর।
আলোচ্য উক্তিটির দ্বারা প্রাবন্ধিক সাম্প্রদায়িকতার প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রাবন্ধিক অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী। হিন্দু-মুসলমানের মিলনের অন্তরায় কোথায় তা দেখিয়ে দেওয়া এবং জটিলতা দূর করাই তাঁর উদ্দেশ্য। মানুষে মানুষে যেখানে প্রাণের মিল সত্যের মিল থাকে সেখানে কোনো ধর্মের বৈষম্য বা হিংসার ভাব থাকতে পারে না। দেশের পক্ষে যা ভালো বা সত্য তা লক্ষ্য করেই প্রাবন্ধিকের এ যাত্রা। তাঁর বিশ্বাস, যার নিজের ধর্মের ওপর বিশ্বাস আছে, যে নিজের সত্যকে চিনেছে, সে অন্যের ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না।
প্রাবন্ধিকের মতে সত্যকে কিভাবে পাওয়া যায়?
প্রাবন্ধিকের মতে, একমাত্র ভুলের মধ্যে দিয়েই প্রকৃত সত্যকে পাওয়া যায়। ভুল বুঝতে পারা মাত্রই প্রাণ খুলে সেটাকে স্বীকার করে নেওয়া উচিত। তবে তা না বুঝে নয় বা ভয়ে নয়। জেনে, বুঝে ভুলকে কখনো ধরে রাখা উচিত নয়। তাই প্রাবন্ধিক সত্য আবিষ্কারে ভুলের বা মিথ্যার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে রাজি আছেন।
সবচেয়ে বড় দাসত্ব বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
সবচেয়ে বড় দাসত্ব বলতে পরাবলম্বন বা পরনির্ভরশীলতাকে বোঝানো হয়েছে। নিজ শক্তি, সাহস আর সত্যের ওপর বিশ্বাস স্থাপনই হলো স্বনির্ভরতা। আর যার নিজের সাহস, শক্তি আর সত্যের প্রতি বিশ্বাস নেই, আস্থা নেই সে-ই কেবল অন্যের দাসত্ব করে। এই পরনির্ভরশীতার কারণে ধীরে ধীরে সে আত্মশক্তি হারিয়ে ফেলে। এ কারণে পরনির্ভরশীলতাকে লেখক সবচেয়ে বেশি দাসত্ব বলে মনে করেন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার পথ প্রবন্ধের (MCQ) সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। এ রকম আরো তথ্য মূলক পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা সবসময় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url