আমার পরিচয় কবিতার (MCQ) বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আমার পরিচয় কবিতার (MCQ) গুলো বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আমার পরিচয় কবিতার (MCQ) গুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সৈয়দ শামসুল হকের কিশোর কবিতা সমগ্র থেকে আমার পরিচয় শীর্ষক কবিতাটি সম্পাদিত আকারে চয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ। আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন এই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ও জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার পশ্চাতে আছে সমৃদ্ধ এক ইতিহাস। সৈয়দ শামসুল হক গভীর মমত্বের সঙ্গে কবিতার আঙ্গিকে চিত্রিত করেছেন সমৃদ্ধ সেই ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পটভূমি। সহজিয়াপন্থী বৌদ্ধ কবিদের সৃষ্ট চর্যাপদের মধ্যে বাঙালি জাতিসত্তার যে অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধের পরিচয় মুদ্রিত হয়ে আছে - যুগে যুগে নানা আন্দোলন, বিপ্লব-বিদ্রোহ, আর মতাদর্শের বিকাশ হতে হতে আমরা এসে পৌঁছেছি আজকের বাংলায়।
সৈয়দ শামসুল হক এই বিবর্তনের বিচিত্র বাঁক ও মোড় তাৎপর্যময় করে তুলেছেন। চাঁদ-সওদাগরের বাণিজ্য যাত্রা, কৈবর্তবিদ্রোহ, পাল যুগের চিত্রকলা আন্দোলন, বৌদ্ধবিহারের জ্ঞানচর্চা, মুসলিম ধর্ম ও সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশ, বারোভূঁইয়াদের উত্থান, ময়মনসিংহ গীতিকার জীবন, তিতুমীর আর হাজী শরীয়তের বিদ্রোহ, রবীন্দ্র-নজরুলের কালজয়ী সৃষ্টি, ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং পরিশেষে স্বাধীন বাংলাদেশ আমার পরিচয় কবিতার মধ্যে এই বিপুল বাংলাদেশ অনবদ্যরূপ লাভ করেছে।
আমার পরিচয় কবিতার (MCQ)
১। আমার পরিচয় কবিতায় উল্লেখিত নদীর সংখ্যা কত?
ক. ১২০০ খ. ১৩০০
গ. ১৪০০ ঘ. ১৫০০
উত্তর: খ. ১৩০০।
২। আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে এখানে চর্যাপদের অক্ষরগুলো বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
ক. অতীত ঐতিহ্য খ. সাংস্কৃতিক রূপ
গ. ঐতিহাসিক পটভূমি ঘ. সাংস্কৃতিক পরিচয়
উত্তর: ঘ. সাংস্কৃতিক পরিচয়।
৩। আমার পরিচয় কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
ক. ধুলি ও সাগর দৃশ্য খ. কড়ি ও কোমল
গ. চাষাভূষার কাব্য ঘ. কিশোর কবিতা সমগ্র
উত্তর: ঘ. কিশোর কবিতা সমগ্র।
৪। নূরুলদীনের সারা জীবন নাটকটির রচয়িতা কে?
ক. সিকানদার আবু জাফর খ. মততাজউদ্দিন আহমদ
গ. সৈয়দ শামসুল হক ঘ. মুনীর চৌধুরী
উত্তর: গ. সৈয়দ শামসুল হক।
৫। কবি সৈয়দ শামসুল হক কোন শহরে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. নীলফামারী খ. পঞ্চগড়
গ. লালমনিরহাট ঘ. কুড়িগ্রাম
উত্তর: ঘ. কুড়িগ্রাম।
৬। আমার পরিচয় কবিতায় কবি হাজার চরণচিহ্ন কোথায় ফেলে এসেছেন?
ক. সামনে খ. রাজপথে
গ. পলিমাটিতে ঘ. পেছনে
উত্তর: ঘ. পেছনে।
৭। আমার পরিচয় কবিতায় কমলার দীঘি ও মহুয়ার পালা প্রসঙ্গ এনে কবি কী বুঝিয়েছেন?
ক. সাহিত্যিক ঐতিহ্য খ. সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
গ. সংগ্রামী চেতনা ঘ. অসাম্প্রদায়িক চেতনা
উত্তর: ক. সাহিত্যিক ঐতিহ্য।
৮। বরেন্দ্রভূমি সোনা মসজিদ কোথায় অবস্থিত?
ক. নাটোরে খ. ঈশ্বরদীতে
গ. সিরাজগঞ্জে ঘ. চাঁপাইনবাবগঞ্জে
উত্তর: ঘ. চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
৯। তিতুমীর কত সালে শহীদ হন?
ক. ১৭৮১ খ. ১৭৮২
গ. ১৮৩১ ঘ. ১৮৪০
উত্তর: গ. ১৮৩১।
১০। মুক্তিযুদ্ধকালে বাঙালির প্রেরণার বাতিঘর ছিল কোনটি?
ক. গ্রাম-বাংলার অপার সৌন্দর্য খ. ভাষার জন্য রক্তদানের ইতিহাস
গ. দেশমাতৃকার প্রতি ভালোবাসা ঘ. বিশ্বযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপট
উত্তর: খ. ভাষার জন্য রক্তদানের ইতিহাস।
১১। আমার পরিচয় কবিতার শেষ চরণে কবি কীসের ছবি আাঁকার প্রতিজ্ঞা করেছেন?
ক. দেশমাতৃকার খ. সাম্যের
গ. শান্তির ঘ. কল্যাণের
উত্তর: খ. সাম্যের।
১২। আমার পরিচয় কবিতায় বাঙালি জাতি কীসের ছবি আঁকবে?
ক. স্বাধীনতার খ. সাম্যের
গ. স্বদেশের ঘ. জন্মভূমির
উত্তর: খ. সাম্যের।
১৩। একসাথে আছি একসাথে বাঁচি - কথাটি কবির কোন চেতনার বহিঃপ্রকাশ?
ক. সাম্যের খ. ঐক্যের
গ. শৌর্যের ঘ. প্রতিবাদের
উত্তর: খ. ঐক্যের।
১৪। প্রকৃত পক্ষে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য কত সালে অস্তমিত হয়?
ক. ১৭৫৭ খ. ১৮৫৭
গ. ১৯৪৮ ঘ. ১৯৫২
উত্তর: ক. ১৭৫৭।
১৫। আমার পরিচয় কবিতায় কবি বাঙালি জাতির বিদ্রোহের ঐতিহ্য নিম্নের কোন পঙক্তির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন?
ক. আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে খ. আমি তো এসেছি সার্বভৌম বার ভূঁইয়ার থেকে
গ. এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্য সেনের থেকে ঘ. আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে
উত্তর: ক. আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে।
১৬। আমার পরিচয় কবিতায় কবি বীজমন্ত্র বলতে কী বুঝিয়েছেন?
ক. মন্ত্রের বীজ খ. মূল প্রেরণা
গ. প্রাণের আকাঙ্ক্ষা ঘ. মনের আনন্দ
উত্তর: খ. মূল প্রেরণা।
১৭। আমার পরিচয় কবিতায় খুঁজে পাওয়া যায়?
ক. মানুষের ইতিহাস খ. দেবালয়ের ইতিহাস
গ. বাঙালির ইতিহাস ঘ. কবিতার ইতিহাস
উত্তর: গ. বাঙালির ইতিহাস।
১৮। আমার পরিচয় বলতে কবি বুঝয়েছেন?
ক. বাঙারির ইতিহাস খ. জাতি-সত্তার সামগ্রিক রূপ
গ. বাঙারির ঐতিহ্য ঘ. বাঙালির শিল্পকলা
উত্তর: খ. জাতি-সত্তার সামগ্রিক রূপ।
১৯। আমার পরিচয় কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে বাঙালির
i. ঐক্য চেতনা
ii. ঐতিহ্যবোধ
iii. অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii।
২০। আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে - এ বাক্য প্রকাশ পেয়েছে বাঙালির
i. ঐতিহ্য
ii. সংস্কৃতি
iii. সভ্যতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii।
২১। আমার পরিচয় কবিতায় আউল বলতে বোঝানো হয়েছে?
i. পথিককে
ii. আউলিয়াকে
iii. সংসার বিরাগী ব্যক্তিকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. ii ও iii।
২২। এক সাথে আছি এক সাথে বাঁচি, আজও এক সাথে থাকবই এতে প্রকাশ পেয়েছে বাঙালি জাতির
i. অসাম্প্রদায়িকতা
ii. স্বাজাত্যবোধ
iii. সাম্যবাদিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii।
২৩। চর্যাপদের মধ্যে বাঙালি জাতিসত্তার যে পরিচয়টি পাওয়া যায়
i. কৈবর্ত বিদ্রোহ
ii. ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন
iii. অসাম্প্রদায়িক চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: গ. iii।
২৪। কে চর্যাপদ এর পান্ডুলিপি সংগ্রহ করেন?
ক. সৈয়দ শামসুল হক খ. জসীমউদ্দীন
গ. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঘ. মনিরুজ্জামান
উত্তর: গ. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
২৫। নুরুলদীনের সারাজীবন কী জাতীয় রচনা?
ক. উপন্যাস খ. কবিতা
গ. শিশুতোষ ঘ. নাটক
উত্তর: ঘ. নাটক।
২৬। সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই এটি হলো বাঙালির
ক. চেতনা খ. ঐতিহ্য
গ. মূলমন্ত্র ঘ. বীজমন্ত্র
উত্তর: ঘ. বীজমন্ত্র।
২৭। বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা কে?
ক. গোপাল খ. ধর্মপাল
গ. লক্ষণ সেন ঘ. বিজয় সেন
উত্তর: খ. ধর্মপাল।
২৮। কোথা থেকে তুমি এলে? আমার পরিচয় কবিতায় জিজ্ঞাসাটি কার?
ক. পলিমাটির খ. অবন ঠাকুরের
গ. তেরোশ নদীর ঘ. বার ভূঁইয়ার
উত্তর: গ. তেরোশ নদীর।
২৯। আমার পরিচয় কবিতায় প্রাচীনকালের ঘটনার উপমা দিয়ে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলো?
ক. বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকের বাস বাংলাদেশে খ. ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেয়
গ. শিল্পসৌন্দর্য, স্থাপত্যকর্ম সম্পর্কে ধারণা দেন ঘ. বাঙালি জাতি ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আজকের বাঙালি রয়েছে
উত্তর: ক. বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকের বাস বাংলাদেশে।
৩০। বাঙালির জনজীবনের বিভিন্ন বাঁকে কীসের ঐতিহ্য আছে?
ক. অতীত ও ইতিহাসের খ. ভীরুতা ও বীরত্বের
গ. সংগ্রাম ও প্রতিরোধের ঘ. মুক্তিযুদ্ধ ও আন্দোলনের
উত্তর: গ. সংগ্রাম ও প্রতিরোধের।
৩১। কত সালে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিলো?
ক. আনুমানিক ১০৭০-১০৭৭ খ্রিষ্টাব্দে খ. আনুমানিক ১০৬০-১০৬৬
গ. আনুমানিক ১১৬০-১১৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ঘ. আনুমানিক ১১৭০-১১৭৭
উত্তর: ক. আনুমানিক ১০৭০-১০৭৭ খ্রিষ্টাব্দে।
৩২। আমার পরিচয় কবিতায় কবি নজরুলের কোন কাব্যগ্রন্থের নাম উল্লেখ আছে?
ক. অগ্নিবীণা খ. বিশের বাঁশি
গ. ছায়ানট ঘ. চক্রবাক
উত্তর: ক. অগ্নিবীণা।
৩৩। সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবই - কথাটি কার?
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ. নজরুল ইসলাম
গ. চন্ডীদাস ঘ. সৈয়দ শামসুল হক
উত্তর: ঘ. সৈয়দ শামসুল হক।
৩৪। আমি তো এসেছে সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
ক. মধ্যযুগের সাহিত্য খ. মধ্যযুগের বাণিজ্যিক অবস্থা
গ. আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ঐতিহ্য ঘ. লোককাহিনির ঐতিহ্য
উত্তর: গ. আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ঐতিহ্য।
৩৫। আমার পরিচয় কবিতায় কোন যুগের চিত্রকলার কথা বলা হয়েছে?
ক. সেন যুগের খ. কৈবর্ত যুগের
গ. বৌদ্ধ যুগের ঘ. পাল যুগের
উত্তর: ঘ. পাল যুগের।
৩৬। সৈয়দ শামসুল হক কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৯৩৫ সালে ২৭ ডিসেম্বর খ. ১৯৩৫ সালে ২৮ ডিসেম্বর
গ. ১৯৩৫ সালে ২৯ ডিসেম্বর ঘ. ১৯৩৫ সালে ৩০ ডিসেম্বর
উত্তর: ক. ১৯৩৫ সালে ২৭ ডিসেম্বর।
৩৭। রক্তগোলাপ সৈয়দ শামসুল হকের কোন জাতীয় রচনা?
ক. প্রবন্ধ খ. গল্প
গ. নাটক ঘ. উপন্যাস
উত্তর: খ. গল্প।
৩৮। সীমান্তের সিংহাসন কোন ধরনের গ্রন্থ?
ক. শিশুতোষ খ. নাটক
গ. কাব্য ঘ. উপন্যাস
উত্তর: ক. শিশুতোষ।
৩৯। ঈর্ষা সৈয়দ শামসুল হকের কোন ধরনে রচনা?
ক. কাব্যগ্রন্থ খ. গল্পগ্রন্থ
গ. উপন্যাস ঘ. নাটক
উত্তর: ঘ. নাটক।
৪০। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় কোন জাতীয় রচনা?
ক. প্রবন্ধ খ. গল্প
গ. নাটক ঘ. ছোটগল্প
উত্তর: গ. নাটক।
৪১। আনন্দের মৃত্যু সৈয়দ শামসুল হকের কোন জাতীয় রচনা?
ক. প্রবন্ধ খ. গল্প
গ. নাটক ঘ. উপন্যাস
উত্তর: খ. গল্প।
৪২। সৈয়দ শামসুল হক কোন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন?
ক. সাংবাদিকতা খ. সরকারি চাকরি
গ. অধ্যাপনা ঘ. আইনজীবি
উত্তর: ক. সাংবাদিকতা।
৪৩। সৈয়দ শামসুল হক রচিত বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ কী রচনা?
ক. নাটক খ. কবিতা
গ. উপন্যাস ঘ. গল্প
উত্তর: গ. উপন্যাস।
৪৪। সৈয়দ শামসুল হক রচিত নাটক কোনটি?
ক. একদা এক রাজ্যে খ. রক্তগোলাপ
গ. শীত বিকেল ঘ. ঈর্ষা
উত্তর: ঈর্ষা।
৪৫। সৈয়দ শামসুল হক কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
ক. ২০১৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর খ. ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর
গ. ২০১৬ সালের ২৭শে নভেম্বর ঘ. ২০১৬ সালের ২৭শে ডিসেম্বর
উত্তর: ক. ২০১৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর।
৪৬। আমার পরিচয় কবিতায় চর্যাপদের কোন উপকরণ থেকে এসেছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন?
ক. ভাব খ. ছন্দ
গ. অক্ষর ঘ. পঙক্তি
উত্তর: গ. অক্ষর।
৪৭। ধর্মকে আশ্রয় করে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে হাজী শরীয়তউল্লার যে আন্দোলন তাকে কী বলে?
ক. ফরায়েজী আন্দোলন খ. ওহাবি আন্দোলন
গ. শরীয়তউল্লাহ আন্দোলন ঘ. ফকির আন্দোলন
উত্তর: ক. ফরায়েজী আন্দোলন।
৪৮। ডিঙার বহর কোন ব্যঞ্জনাবাহক?
ক. ডিঙার সমাবেশ খ. নদীমাতৃক বাংলা
গ. বাণিজ্য-ঐতিহ্য ঘ. প্রবল ব্যক্তিত্ব
উত্তর: গ. বাণিজ্য-ঐতিহ্য।
৪৯। আমার পরিচয় কবিতায় কোন কাহিনীর উল্লেখ আছে?
ক. মহুয়ার পালা খ. বেহুলা লখিন্দর
গ. সাত ভাই চম্পা ঘ. দেওয়ানা মদিনা
উত্তর: ক. মহুয়ার পালা।
৫০। আমার পরিচয় কবিতায় কয়টি আন্দোলন-বিদ্রোহের উল্লেখ আছে?
ক. ৩টি খ. ৪টি
গ. ৫টি ঘ. ৬টি
উত্তর: ক. ৩টি।
৫১। আমার পরিচয় কবিতায় আমার বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
ক. বাঙালির নৃতত্ব খ. বাঙালির ইতিহাস
গ. পারিবারিক ঐতিহ্য ঘ. জাতিসত্তার সামগ্রিক রূপ
উত্তর: ঘ. জাতিসত্তার সামগ্রিক রূপ।
৫২। আমার পরিচয় কবিতায় সার্বভৌম কারা?
ক. আউল-বাউলরা খ. কৈবর্তরা
গ. সওদাগরেবা ঘ. বারো ভূঁইয়ারা
উত্তর: ঘ. বারো ভূঁইয়ারা।
৫৩। সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। উক্তিটিকে কবি বাঙালির কী বলে অভিহিত করেছেন?
ক. অনুপ্রেরণা খ. চেতনা
গ. বীজমন্ত্র ঘ. প্রাণের কথা
উত্তর: গ. বীজমন্দ্র।
৫৪। কবি বরেন্দ্রভূমের কোন মসজিদ থেকে এসেছেন?
ক. শিয়া মসজিদ খ. ষাট গম্বুজ মসজিদ
গ. আদী মসজিদ ঘ. সোনা মসজিদ
উত্তর: ঘ. সোনা মসজিদ।
৫৫। কবি কীরূপ দেউল থেকে এসেছেন?
ক. রৌপ্যের খ. মাটির
গ. কাঠের ঘ. স্বর্ণের
উত্তর: খ. মাটির।
৫৬। কার বিরুদ্ধে কৈবর্ত বিদ্রোহ হয়?
ক. মহীপাল খ. ধর্মপাল
গ. রামপাল ঘ. চন্দ্রগুপ্ত
উত্তর: ক. মহীপাল।
৫৭। কবি বাংলার আলপথ দিয়ে কত বছর চলেন?
ক. হাজার বছর খ. শত বছর
গ. লক্ষ বছর ঘ. কোটি বছর
উত্তর: ক. হাজার বছর।
৫৮। আমার পরিচয় কবিতার কবি চলার চিহ্ন ফেলে কোথায় চলেন?
ক. পলিমাটিতে খ. নদীতীরে
গ. ধানখেতে ঘ. আঙিনায়
উত্তর: ক. পলিমাটিতে।
৫৯। আমার পরিচয় কবিতার কতটি নদী কবিকে তাঁর আগমনের স্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে?
ক. এগারোশত খ. রারোশত
গ. তেরোশত ঘ. চৌদ্দশত
উত্তর: গ. তেরোশত।
৬০। আমার পরিচয় কবিতার কবি চর্যাপদের কোন উপকরণ থেকে এসেছেন?
ক. ভাব খ. ছন্দ
গ. অক্ষর ঘ. পঙক্তি
উত্তর: গ. অক্ষর।
৬১। আমার পরিচয় কবিতার ডিঙার বহরের মালিক কে?
ক. অবন ঠাকুর খ. জয়নুল
গ. হাজী শরীয়ত ঘ. সওদাগর
উত্তর: ঘ. সওদাগর।
৬২। কবি কোথাকার মন্দির-বেদি থেকে এসেছেন?
ক. জোড়বাংলার খ. পাহাড়পুরের
গ. কমলার দীঘির ঘ. বরেন্দ্রভূমের
উত্তর: ক. জোড়বাংলার।
৬৩। আমার পরিচয় কবিতায় কবি পাল যুগের কীসের কথা বলেছেন?
ক. কৈবর্ত বিদ্রোহের খ. বৌদ্ধবিহারের
গ. সোনা মসজিদের ঘ. চিত্রকলার
উত্তর: ঘ. চিত্রকলার।
৬৪। আমার পরিচয় কবিতায় আউল-বাউল বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ক. সংসারী মানুষকে খ. সংসার ত্যাগীকে
গ. বিদ্রোহী নেতাকে ঘ. বারো ভূঁইয়াকে
উত্তর: খ. সংসার ত্যাগীকে।
৬৫। বাঙালির আগমন স্থল জোড়াবাংলার কোথা হতে?
ক. মন্দির-বেদী খ. বৌদ্ধবিহার
গ. সোনা মসজিদ ঘ. পলিমাটি
উত্তর: ক. মন্দির-বেদি।
৬৬। আমার পরিচয় কবিতায় বারো ভূঁইয়াদের কেমন ক্ষমতার অধিকারী বলা হয়েছে?
ক. স্বাধীন খ. পরাধীন
গ. সাময়িক ঘ. সার্বভৌম
উত্তর: ঘ. সার্বভৌম।
৬৭। কেন কবি বাংলার বারো ভূইয়াদের সার্বভৌম বলেছেন?
ক. মোঘলদের অধীনস্থ ছিলেন বলে খ. স্বাধন রাজ্যের পত্তন করেন বলে
গ. আজীবন সংগ্রামী ছিলেন বলে ঘ. নবাবকে কর দিতে রাজি ছিলেন বলে
উত্তর: খ. স্বাধীন রাজ্যের পত্তন করেন বলে।
৬৮। সৈয়দ শামসুল হক সওদাগরের ডিঙার বহরের কথাটি কেন বলেছেন?
ক. বাঙালির বাণিজ্যের ঐতিহ্য বোঝাতে খ. বাঙালির শান্ত স্বভাব বোঝাতে
গ. বাঙালির বিট্রিশবিরোধী মানসিকতা বোঝাতে ঘ. বাঙালির অবাধ্যতা বোঝাতে
উত্তর: ক. বাঙালির বাণিজ্যের ঐতিহ্য বোঝাতে।
৬৯। কৈবর্ত বিদ্রোহের নেতা কে?
ক. দিব্য খ. সাধু
গ. কানু ঘ. চারু
উত্তর: ক. দিব্য।
৭০। কবি পেছনে কী ফেলে এসেছেন?
ক. বীজমন্ত্র খ. পলিমাটি
গ. বিভেদ ঘ. চরণচিহ্ন
উত্তর: ঘ. চরণচিহ্ন।
৭১। কবি বাংলার কোন পথ দিয়ে চলেন?
ক. রাজপথ খ. জলপথ
গ. আলপথ ঘ. মেঠোপথ
উত্তর: গ. আলপথ।
৭২। চর্যাপদের পদগুলোর মধ্যে কাদের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে?
ক. উচ্চবিত্ত শ্রেণির খ. মধ্যবিত্ত শ্রেণির
গ. অতি সাধারণ মানুষের ঘ. ভবঘুরে মানুষের
উত্তর: গ. অতি সাধারণ মানুষের।
৭৩। বৌদ্ধবিহার কোথায় অবস্থিত?
ক. পাহাড়পুড় খ. বরেন্দ্রভূমে
গ. সোনা মসজিদে ঘ. জোড়াবাংলায়
উত্তর: ক. পাহাড়পুরে।
৭৪। আমার পরিচয় কবিতায় কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম কথাটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক. বাঙালির সংগ্রামী চেতনা অর্থে খ. বাঙালির নিরীহ স্বভাব বোঝাতে
গ. বাঙালির ঐতিহ্য প্রকাশ করতে ঘ. বাঙালিরা বারো ভূঁইয়া বলে
উত্তর: ক. বাঙালির সংগ্রামী চেতনা অর্থে।
৭৫। কমলার দীঘি কী?
ক. কাব্যগ্রন্থ খ. লোককাহিনী
গ. চিত্রজল ঘ. উপন্যাস
উত্তর: খ. লোককাহিনী।
৭৬। বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন কে?
ক. ক্ষুদিরাম খ. সূর্য সেন
গ. হাজী শরীয়ত উল্লাহ ঘ. তিতুমীর
উত্তর: ঘ. তিতুমীর।
৭৭। আমার পরিচয় কবিতাটি রচনা করেছেন কে?
ক. সৈয়দ শামসুল হক খ. শামসুর রহমান
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ. কাজী নজরুল ইসলাম
উত্তর: ক. সৈয়দ শামসুল হক।
৭৮। আমার পরিচয় কবিতার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কী?
ক. বাঙালি জাতি সত্তার সমগ্র ঐতিহ্য খ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
গ. বাঙালির বিদ্রোহী ঐতিহ্য ঘ. বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্য
উত্তর: ক. বাঙালি জাতি সত্তার সমগ্র ঐতিহ্য।
আমার পরিচয় কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
১। বৌদ্ধবিহার কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: পাহাড়পুরে অবস্থিত।
২। বাংলাদেশে শিল্পকলা আন্দোলনের পথিকৃৎ কে?
উত্তর: শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
৩। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন কি?
উত্তর: চর্যাপদ।
৪। কবি কোন যুগের চিত্রকলা থেকে আসার কথা বলেছেন?
উত্তর: পালযুগের।
৫। বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ সৈয়দ শামসুল হকের কোন ধরনের রচনা?
উত্তর: উপন্যাস।
৬। আমার পরিচয় কবিতায় কীসের ছবি আঁকার কথা বলো হয়েছে?
উত্তর: সাম্যের।
৭। আমার পরিচয় কবিতায় কমলার দীঘি ছাড়া আর কোন লোককাহিনীর কথা আছে?
উত্তর: মহুয়ার পালা।
৮। আমার পরিচয় কবিতাটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
উত্তর: কিশোর কবিতা সমগ্র থেকে।
৯। সৈয়দ শামসুল হক কোথায় জন্মগ্রহন করেন?
উত্তর: কুড়িগ্রামে।
১০। নূরুলদীনের সারাজীবন কোন ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর: একটি নাট্যগ্রন্থ।
১১। বাঙালি জাতির বীজমন্ত্র কোনটি?
উত্তর: সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
১২। রক্তগোলাপ কোন ধরনের রচনা?
উত্তর: গল্পগ্রন্থ জাতীয় রচনা।
১৩। কবি কোথায় জন্মেছেন বলে কবিতায় উল্লেখ আছে?
উত্তর: বাংলায়।
১৪। কবি কোন পথ দিয়ে হাজার বছর পথ চলার কথা বলেছেন?
উত্তর: আলপথ দিয়ে।
১৫। রাষ্ট্রভাষার রাজপথ কোন রঙের?
উত্তর: লাল রঙের।
১৬। তিতুমীরের প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: মীর নিসার আলী।
১৭। কমলার দীঘি কি?
উত্তর: ময়মনসিংহ গীতিকার একটি পালা।
১৮। জয়নুল আবেদীন কী হিসেবে খ্যাতি অজর্ন করেন?
উত্তর: শিল্পাচার্য।
১৯। আলপথ কী?
উত্তর: আলপথ অর্থ হলো জমির সীমানার পথ।
২০। শীত বিকেল কোন ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর: একটি গল্পগ্রন্থ।
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই - কবি একথা বলেছেন কেন?
কবি মনুষ্যত্বকে বড় করে মানবতার জয়গান গাওয়ার জন্যই সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই একথা বলেছেন। মনুষ্যত্বই মানুষের পরম গুণ, এই গুণের বাইরে মানুষের ভিন্ন কোনো পরিচয় নাই। আত্মবিভেদ ভুলে তাই পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন। এ কারণে বহু বছর পূর্বেই কাব্যে মনুষ্যত্বকে সর্বোচ্চ স্থান দেওয়া হয়েছে। আলোচ্য লাইনটি উদ্ধৃত করে কবি মানবতার জয়গান করেছেন। এবং বলেছেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
বাঙালি জাতির বীজমন্ত্র বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
বাঙালি জাতি মানুষ, মানবতা তথা মনুষ্যত্বকে সর্বোচ্চ স্থান দেয় বলেই কবি বাঙালির বীজমন্ত্র হিসেবে মানবতাকে উল্লেখ করেছেন। মধ্যযুগে পদাবলির এক বাঙালি কবি বড়ু চন্ডীদাস অসাধারণ এক উক্তির মাধ্যমে বাঙালির চিন্তা ও জীবনযাপনের দর্শনকে উন্মুক্ত করে গেছেন সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। কবি এ পঙক্তিকে বাঙালির বীজমন্ত্র বলে মনে করেন। কারণ মানুষ, মানবতা ও মনুষ্যত্বকে এ জাতি সব যুগে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেছে। এ কারণেই জাতি হিসেবে বাঙালি সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছে।
আমার পরিচয় কবিতায় কবি পাল যুগের উদাহারণ টেনেছেন কেন?
আমার পরিচয় কবিতার কবি আমাদের শিল্পের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য বোঝাতে পাল যুগের চিত্রকলার উল্লেখ করেছেন। ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে গোলাপের রাজ্য শাসনের মধ্য দিয়ে বঙ্গে পাল যুগের সূচনা হয়। তারপর চারশত বছর পাল বংশের রাজত্ব টিকে ছিল। এ সময়ে শিল্প সাহিত্যের অসামান্য বিকাশ সাধিত হয়। কবি নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে তাই বাঙালির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের কথা বলতে পাল যুগের উদাহারণ টেনেছেন।
সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকাই ব্যাখ্যা করো
বিভেদ মানুষকে সবসময় ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে। এ কারণে কবি তা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকতে চান। বিভেদ কখনোই মানুষের কল্যাণে আসে না বরং তা হিংসাদ্বেষ ইত্যাদি বাড়িয়ে তোলে। তাই কবি স্বপ্ন দেখেন একটি সুখী পৃথিবীর, যেখানে সবাই একসাথে অবস্থান করবে এবং ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যময় এক জাতি গড়ে তুলবে।
আমি বাংলায় কথা বলি চরণটি ব্যাখ্যা করো
আমি বাংলায় চরণে কবি বাংলা ভাষাকে বাঙালি জাতিসত্তার সঙ্গে মিশে থাকার কারণ গুরুত্ব দিয়েছেন। পৃথিবীতে ভাষার জন্য আত্মত্যাগের মতো ঘটনা সত্যিই বিরল। সংগ্রামের মাধ্যমে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কারণে বাংলা ভাষা বাঙালির মনে স্থায়ী আসন লাভ করেছে। তাছাড়া ভাষা যেকোনো সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ কারণে কবি বাঙালি পরিচয়ের ভিত্তি হিসেবে বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন।
আমি তো এসেছি কমলার দীঘি মহুয়ার পালা থেকে একথা দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?
প্রদত্ত কথাটি দ্বারা কবি বাংলার প্রাচীন লোকসাহিত্য থেকে বাঙালির উত্থানের বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছেন। কমলার দীঘি ও মহুয়ার পালা মৈমনসিং গীতিকার উল্লেখযোগ্য দুটি পালা। আবহমান বাংলার প্রচলিত পল্লিসাহিত্যের নিদর্শন এগুলো। বাংলার মানুষ প্রাচীনকাল থেকে মুখে পুঁথি, লোকছড়া ইত্যাদির মাধ্যমে গড়ে তুলেছে যে লোকসাহিত্য তার থেকেই নির্যাস নিয়ে জন্মলাভ করেছে বাঙালি। কবি আমি তো এসেছি কমলার দীঘি, মহুয়ার পালা থেকে কথাটি দ্বারা বাংলার প্রাচীন লোকসাহিত্য থেকে বাঙালির উত্থানের বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছেন।
কবি বারো ভূঁইয়াদের প্রসঙ্গ এনেছেন কেন?
কবি বাঙালির সংগ্রামের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে স্মরণ করেই বারো ভূঁইয়ার প্রসঙ্গ এনেছেন। আবহমানকাল থেকেই বাঙালি সংগ্রামী জাতি হিসেবে পরিচিত। ইতিহাসই সেই সাক্ষ্য দিয়েছে বার বার। বাংলার বারো ভূঁইয়ারা ছিলেন সেই সংগ্রামী ইতিহাসেরই অংশ, যাঁরা মোগলদের অধীনতাকে অস্বীকার করেছিলেন। কবি সেই সংগ্রামী ঐতিহ্যের মধ্যে নিজের অস্তিত্বকে টের পান বলেই কবিতায় বারো ভূঁইয়াদের প্রসঙ্গ এনেছেন।
কবি সওদাগরের ডিঙার বহর বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
কবি আমার পরিচয় কবিতায় ব্যবসা-বাণিজ্য বাঙালির ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য সওদাগরের ডিঙার বহর কথাটি উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলকাব্যে চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্যের কথা আছে। চাঁদ সওদাগর নদীতে ডিঙার বহর ভাসিয়ে বাণিজ্যের উদ্দেশ্য যাত্রা করেছিলেন। এই লোককাহিনী আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পৃক্ততায় প্রমাণ বহন করে। কবি বাঙালির সেই ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য কথাটি বলেছেন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আমার পরিচয় কবিতার (MCQ) সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। এ রকম আরো তথ্য মূলক পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। প্রিয় পাঠক, এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url