পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধের (MCQ) গুলো জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধের MCQ গুলো বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধের MCQ গুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধের (MCQ) গুলো জেনে নিন
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে কিশোরগঞ্জ জেলায় পূর্ব ময়মনসিংহ সাহিত্য সম্মিলনীর একাদশ অধিবেশনে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। এ সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে তিনি যে অভিভাষণ দেন, তারই পুনর্লিখিত রূপ এই পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধটি। আলোচ্য প্রবন্ধে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলার পল্লিসাহিত্যের বিশেষ কয়েকটি দিক সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। লেখক এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে, একদিন এক বিরাট পল্লিসাহিত্য বাংলাদেশে ছিল, আজ উপযুক্ত গবেষক এবং বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং প্রসারের জন্য পল্লিসাহিত্যের বিচিত্র সম্পদ বিশেষ যত্নের সঙ্গে আহরণ করা একান্ত আবশ্যক

পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধের MCQ

১। আধুনিক শিক্ষার কর্মনাশা স্রোতের অতল গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে কি?
ক. উপকথা খ. প্রবাদ
গ. ছড় ঘ. পল্লিগান
উত্তর: ক. উপকথা।

২। কিন্তু হায়। এ কাজের জন্য স্বেচ্ছোসেবক দল কই? মুহম্মদ শহীদুল্লাহর এ হতাশা দূর হতে পারে কীভাবে?
ক. স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে খ. সভা-সমিতিতে যথাযথ উপস্থাপন করে
গ. ফোকলোর সোসাইটি স্থাপন করে ঘ. জনসাধারণকে সচেতন করে
উত্তর: গ. ফোকলোর সোসাইটি স্থাপন করে।

৩। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কবে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জুলাই খ. ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুলাই
গ. ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুলাই ঘ. ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুলাই
উত্তর: খ. ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুলাই।

৪। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক. মুর্শিদাবাদ খ. চব্বিশ পরগণা
গ. উত্তর দিনাজপুর ঘ. পশ্চিম মেদিনীপুর
উত্তর: খ. চব্বিশ পরগণা।

৫। মুহম্মদ শহীদুল্লার গ্রামের নাম কি?
ক. পেয়ারা খ. বনগাঁ
গ. কল্যাণী ঘ. কালনা
উত্তর: পেয়ারা।

৬। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোন কলেজ থেকে বিএ অনার্স পাস করেন?
ক. কলকাতা সিটি কলেজ খ. কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ
গ. কলকাতা বঙ্গবাসী কলেজ ঘ. কলকাতা সংস্কৃত কলেজ
উত্তর: ক. কলকাতা সিটি কলেজ।

৭। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাতত্বে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন?
ক. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় খ. বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়
গ. বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ঘ. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তর: ঘ. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

৮। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্যারিসের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্বে ডিপ্লোমা ও ডি.লিট ডিগ্রি অর্জন করে?
ক. নানসেট বিশ্ববিদ্যালয় খ. সোরবন বিশ্ববিদ্যালয়
গ. বুর্গোইন বিশ্ববিদ্যালয় ঘ. দেকার্ত বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তর: খ. সোরবন বিশ্ববিদ্যালয়।


৯। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন?
ক. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য খ. ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য
গ. ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ঘ. ইসলামের ইতিহাস
উত্তর: ক. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য।

১০। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোন অসামান্য পান্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন?
ক. প্রাচীন শিল্পকলা খ. প্রাচীন ভাষা ও সাহিত্য
গ. প্রাচীন নৃত্যকলা ও সংগীত ঘ. প্রাচীন নৃতত্ব ও লোকসাহিত্য
উত্তর: খ. প্রাচীন ভাষা ও সাহিত্য।

১১। বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান গ্রন্থটি কে সম্পাদনা করেন?
ক. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ খ. মোতাহের হোসেন চৌধুরী
গ. হুমায়ুন আজাদ ঘ. সিকানদার আবু জাফর
উত্তর: ক. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।

১২। নিচের কোন পত্রিকাটি মুহম্মদ শহীদুল্লার সম্পাদনায় বের হতো?
ক. আঙুর খ. কবিতা
গ. প্রগতি ঘ. সমকাল
উত্তর: ক. আঙুর।

১৩। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কবে মৃত্যুবরণ করেন?
ক. ১৯৬৯ সালের ১০ই জুলাই খ. ১৯৬৯ সালের ১১ জুলাই
গ. ১৯৬৯ সালের ১২ জুলাই ঘ. ১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই
উত্তর: ঘ. ১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই।

১৪। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
ক. ঢাকা খ. রাজশাহী
গ. দিনাজপুর ঘ. বরিশাল
উত্তর: ক. ঢাকা।

১৫। কোনটি নষ্ট হয়ে অতীতের সঙ্গে আমাদের লোপ করে দিচ্ছে?
ক. পল্লিগান খ. প্রবাদ প্রবচন
গ. ছড়াগান ঘ. রূপকথা
উত্তর: ঘ. রূপকথা।

১৬। এ কাজরে জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল কই - এ বাক্য প্রকাশিত লেখকের হতাশার কারণ
ক. পল্লিসাহিত্য অনাদূত হচ্ছে বলে খ. পল্লিসাহিত্য হারিয়ে যাচ্ছে বলে
গ. ফোকালোর সোসাইটি গঠিত হচ্ছে বলে ঘ. লোক সাহিত্য প্রাচুর্য নেই বলে
উত্তর: খ. পল্লিসাহিত্য হারিয়ে যাচ্ছে বলে।

১৭। প্রাচীন ভারতের প্রখ্যাত মহিলা জ্যেতিষী কে?
ক. মদিনা বিবি খ. রোমাঁ রোঁলা
গ. বিসমার্ক ঘ. খনা
উত্তর: ঘ. খনা।

১৮। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা - এটি কী?
ক. প্রবাদ বাক্য খ. ডাক
গ. গৎ ঘ. খানার বচন
উত্তর: ক. প্রবাদ বাক্য।

১৯। আজ দরকার হয়েছে শহরে সাহিত্যের বালাখানার পাশে গেঁয়ো সাহিত্যের জোড়বাংলা ঘর তুলতে - এ মন্তব্যের মধ্য দিয়ে লেখক কোনটিকে গুরুত্ব দিয়েছেন?
ক. বিদেশি সাহিত্য খ. পল্লিসাহিত্য
গ. শহুর সাহিত্য ঘ. পল্লি ও শহুরে উভয় সাহিত্য
উত্তর: খ. পল্লিসাহিত্য।


২০। ফোকলোর সোসাইটি সর্ব প্রথম কত সালে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক. ১৮৮৪ সালে খ. ১৮৮৫ সালে
গ. ১৮৬৪ সালে ঘ. ১৮৪৮ সালে
উত্তর: ঘ. ১৮৪৮ সালে।

২১। ফোকলোর সোসাইটি সর্বপ্রথম কোথায় গঠিত হয়েছিলো?
ক. ফ্রান্সে খ. জার্মানিতে
গ. আমেরিকায় ঘ. লন্ডনে
উত্তর: ঘ. লন্ডনে।

২২। রোমাঁ রোলাঁ কার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন?
ক. কাজল রেখার খ. মহুয়ার
গ. মদিনা বিবির ঘ. বেহুলার
উত্তর: গ. মদিনা বিবির।

২৩। জাঁ ক্রিস্তফ গ্রন্থের রচয়িতার নাম কি?
ক. রোমাঁ রোলাঁ খ. শেক্সপিয়ার
গ. বায়রন ঘ. মিল্টন
উত্তর: ক. রোমাঁ রোলাঁ।

২৪। ফোকলোর সোসাইটি কি?
ক. পুরোনো সমাজ খ. বিদ্বানদের সমাজ
গ. ফকিরদের সমাজ ঘ. শহরের সমাজ
উত্তর: খ. বিদ্বানদের সমাজ।

২৫। পল্লিসাহিত্যের কোন ধারাকে অমূল্য রত্নবিশেষ বলা হয়?
ক. পল্লিগীতি খ. প্রবাদ-বচন
গ. মৈমনসিংহ গীতিকা ঘ. খনার বচন
উত্তর: ক. পল্লিগীতি।

২৬। কেবলি ভুয়া, কেবলি ফক্কিকার - কোনটি?
ক. সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা খ. লোকসাহিত্য বিষয়ক আলোচনা
গ. লোকসাহিত্য পরিচিতি ঘ. লোকসাহিত্যের মূল্যায়ন
উত্তর: খ. লোকসাহিত্য বিষয়ক আলোচনা।

২৭। গানের অফুরন্ত ভান্ডার আছে কোথায়?
ক. শহরের অলিতে-গলিতে খ. পল্লির আনাচে-কানাচে
গ.শি্ক্ষিত লোকের মধ্যে ঘ. বিদেশী বইয়ের পাতায়
উত্তর: ক. পল্লির আনাচে-কানাচে।

২৮। লেখক কেন পল্লিসাহিত্য সংগ্রহ জরুরি মনে করেন?
ক. জাতীয় সাহিত্য সমৃদ্ধির জন্য খ. জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য
গ. বিদেশি সাহিত্যের সঙ্গে তুলনা করার জন্য ঘ. শহুরে সাহিত্যের আগ্রাসন থেকে বাঁচার জন্য
উত্তর: খ. জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য।

২৯। জাতির পুরোনো ইতিহাসের অনেক গোপন কথা কোথায় পাওয়া যায়?
ক. প্রবাদবাক্যে খ. ছড়াগানে
গ. রূপকথায় ঘ. উপকথায়
উত্তর:ক. প্রবাদবাক্য।

৩০। বাংলার লোকগাথা ও রূপকথার রূপক কে?
ক. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার খ. মনসুর বয়াতি
গ. দীনেশচন্দ্র সেন ঘ. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
উত্তর: ক. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।

৩১। কীসের পরিবর্তনের ফলে পল্লিসাহিত্যগুলো অনাদূত হয়ে ধ্বংসের পথে দাঁড়িয়েছে?
ক. যুগ ও মানবধর্মের খ. সময় ও রুচির
গ. সাহিত্য ও জীবনের ঘ. মন ও মানসিকতার
উত্তর: খ. সময় ও রুচির।

৩২। লেখক পল্লিসাহিত্যের কোন দিকটিকে মনোহর এবং চমকপ্রদ বলে মন্তব্য করেছেন?
ক. উপকথা খ. ছড়া
গ. পল্লিগান ঘ. প্রবাদ প্রবচন
উত্তর: ক. উপকথা।

৩৩। ধরি মাছ না ছুঁই পানি - এটা কি?
ক. প্রবাদবাক্য খ. খনার বচন
গ. পল্লিগানের কলি ঘ. উপকথা
উত্তর: ক. প্রবাদবাক্য।

৩৪। পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধে নিম্নলিখিত কোন স্থান ও দেশের নাম পাওয়া যায়?
ক. সিংহল, সুমাত্রা, কম্বোডিয়া খ. লিথোয়ানিয়া, সুমাত্রা, জাভা
গ. সুমাত্রা, ওয়েলস, জাভা ঘ. সুমাত্রা, ভারত, বার্মা
উত্তর: ক. সিংহল, সুমাত্রা, কম্বোডিয়া।

৩৫। কলগান শব্দের অর্থ কি?
ক. পাখির গুঞ্জন খ. সমবেত কণ্ঠস্বর
গ. শ্রুতিমধুর ধ্বনি ঘ. সংগীতের সুর
উত্তর: গ. শ্রুতিমধুর ধ্বনি।

৩৬। পরতে পরতে শব্দগুলোর অর্থ কি?
ক. স্তরে স্তরে খ. থোকা থোকা
গ. ঝোপা ঝোপা ঘ. সারি সারি
উত্তর: ক. স্তরে স্তরে।

৩৭। নিচের কোন ব্যক্তি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক ছিলেন?
ক. প্রমথ চৌধুরী খ. হায়াৎ মামুদ
গ. কবীর চৌধুরী ঘ. দীনেশচন্দ্র সেন
উত্তর: ঘ. দীনেশচন্দ্র সেন।

৩৮। ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৮৬৩ খ. ১৮৬৪
গ. ১৮৬৬ ঘ. ১৮৬৭
উত্তর: গ. ১৮৬৬।

৩৯। ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক. মানিকগঞ্জ খ. সিরাজগঞ্জ
গ. গোপালগঞ্জ ঘ. কিশোরগঞ্জ
উত্তর: ক. মানিকগঞ্জ।

৪০। ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন রচিত বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থটি কত বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়?
ক. ১৩৩৩ খ. ১৩৩৪
গ. ১৩৩৫ ঘ. ১৩৩৬
উত্তর: খ. ১৩৩৪।

৪১। মৈমনসিং গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা গ্রন্থটি কে সম্পাদনা করেন?
ক. ডক্টর সুকুমার সেন খ. ডক্টর গোপাল হালদার
গ. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঘ. ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন
উত্তর: ঘ. ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন।

৪২। পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধটি কে লিখেছেন?
ক. প্রমথ চৌধুরী খ. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
গ. কাজী নজরুল ইসলাম ঘ. মোতাহের হোসেন চৌধুরী
উত্তর: খ. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।

৪৩। পূর্ব ময়মনসিং সাহিত্য সম্মিলনীর কততম অধিবেশন ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন?
ক. দশম খ. একাদশ
গ. দ্বাদশ ঘ. ত্রয়োদশ
উত্তর: খ. একাদশ।

৪৪। পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধে কোন বিষয় আলোচিত হয়েছে?
ক. ক. পল্লিসাহিত্যের গুরুত্ব খ. পল্লিসাহিত্যর শ্রেণিবিভাগ
গ. পল্লিসাহিত্যের প্রয়োজনীয়তা ঘ. পল্লিসাহিত্য সংরক্ষণের গুরুত্ব
উত্তর: ঘ. পল্লিসাহিত্য সংরক্ষণের গুরুত্ব।

৪৫। পল্লিসাহিত্য সংরক্ষণের জন্য কী প্রয়োজন?
ক. উপযুক্ত পরিবেশ খ. ব্যক্তিগত উদ্যোগ
গ. সম্মিলিত প্রচেষ্টা ঘ. আগ্রহী সাহিত্যিকদের উদ্যোগ
উত্তর: ঘ. আগ্রহী সাহিত্যিকদের উদ্যোগ।


৪৬। পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধে লেখকের মানসিকতার কী প্রতিফলন ঘটেছে?
ক. নাগরিক সাহিত্যের প্রতি তাচ্ছিল্য খ. লোক সাহিত্যের প্রতি গুরুত্বারোপ
গ. লোক সাহিত্য সংগঠনের আকাঙ্ক্ষা ঘ. জাতীয় সাহিত্যের বুনিয়াদ গঠনের অভিপ্রায়
উত্তর: খ. লোক সাহিত্যের প্রতি গুরুত্বারোপ।

৪৭। বালাম শব্দের অর্থ কি?
ক. বইয়ের স্তুপ খ. বইয়ের খণ্ড
গ. বইয়ের পাতা ঘ. বইয়ের সম্ভার
উত্তর: খ. বইয়ের খণ্ড।

৪৮। বালাখানা শব্দের অর্থ কি?
ক. প্রাসাদ খ. সরাইখানা
গ. রাজগৃহ ঘ. অট্টালিকা
উত্তর: ক. প্রাসাদ।

৪৯। ফক্কিকার অর্থ কি?
ক. কৌশলী খ. বুদ্ধিজীবি
গ. চতুরতা ঘ. ফাঁকিবাজি
উত্তর: ঘ. ফাঁকিবাজি।

৫০। পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধে ঘুম পাড়ানি গান ও ছড়া সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য এগুলো সরস প্রাণের জীবন্তু উৎস। কারণ এগুলো
i. ভাষা ও ছন্দে প্রাণবন্ত
ii. অর্থ তাৎপর্যপূর্ণ
iii. বিষয়বস্তু বৈচিত্র্যপূর্ণ

নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: খ. i ও iii।

৫১। পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধে উল্লেখিত পাখির নাম
i. দোয়েল, কোকিল
ii. কোকিল, পাপিয়া
iii. ময়না, টিয়া

নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii।

৫২। পল্লিসাহিত্য চর্চা ও সংরক্ষণ জরুরি। কারণ এটি
i. আত্মপরিচয় বিধৃত করে
ii. নৃতাত্বিক উপাদানে সমৃদ্ধ
iii. শতকরা সিংহ ভাগ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে

নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ঘ. i, ii ও iii।

৫৩। পল্লিসাহিত্যকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজন
i. পল্লিসাহিত্য ব্যবহারের উপর বের করা
ii. ফোকলোর সোসাইটি গঠন করা
iii. শিক্ষিত সমাজ গড়ে তোলা

নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
উত্তর: ক. i ও ii।

পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধের জ্ঞান মূলক প্রশ্নোত্তর

১। সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস কোনটি?
উত্তর: মায়ের ঘুমপাড়ানী গান ও খোকা-খুকির ছড়া হচ্ছে সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস।

২। কোন খেলার সঙ্গে ছেলেরা বাঁধা বুলি ব্যবহার করত?
উত্তর: কপাটি খেলার সঙ্গে।

৩। পাড়াগাঁয়ে কীসের উপকরণ ছড়িয়ে আছে?
উত্তর: সাহিত্য ও সাহিত্যের উপকরণ।

৪। পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধে লেখকের মতে শহুরে সাহিত্য কয় আনা?
উত্তর: পনেরো আনা।

৫। ময়মনসিংহ গীতিকায় মদিনা বিবির গীতিকায় সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন কোন সাহিত্যিক?
উত্তর: রোমাঁ রোলাাঁ।

৬। দেওয়ানা-মদিনা লোকগাথার নায়িকার নাম কি?
উত্তর: মদিনা বিবি।

৭। দেওয়ানা মদিনার রচিয়তা কে?
উত্তর: মনসুর বয়াতি।

৮। পল্লিসাহিত্য কাদের অধিকার সমান?
উত্তর: হিন্দু মুসলমান সকলের।

৯। মৈমনসিংহ গীতিকার সম্পাদনা করেন কে?
উত্তর: ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেন।

১০। পল্লিজননীর বুকের কোণে কী লুকিয়ে আছে?
উত্তর: সাহিত্যের এক অমূল্য খনি।

১১। মনসুর বয়াতি কি রচনা করেন?
উত্তর: পালাটি রচনা করেন।

১২। জাঁ ক্রিস্তফ কার অমূল্য কীর্তি?
উত্তর: রোমাঁ রোলাঁর অমূল্য কীর্তি।

১৩। রোমাঁ রোলাঁ কে?
উত্তর: ফরাসি কালজয়ী সাহিত্যিক ও দার্শনিক।

১৪। পল্লিগ্রামের চারিদিকে কোন কোন পাখির কলগান শোনা যায়?
উত্তর: কোকিল, দোয়েল, পাপিয়া প্রভৃতি।


১৫। পল্লির কোথায় কোথায় সাহিত্য ছড়িয়ে আছে?
উত্তর: মাঠে-ঘাটে আলো-বাতাসে প্রত্যেক পরতে পরতে।

১৬। মৈমনসিং গীতিকা কে সংগ্রহ করেছেন?
উত্তর: চন্দ্র কুমার দে।

১৭। কে ময়মনসিংহের মদিনা বিবির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন?
উত্তর: রোমাঁ রোলাঁ।

১৮। আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদী কি?
উত্তর: একটি আরব্য উপন্যাস।

১৯। কোনগানগুলো এখন বর্বর চাষার গান বলে ভদ্র সমাজে আর বিকায় না?
উত্তর: পল্লিগানগুলো।

২০। আমেরিকার বড় বড় বিদ্বানদের সভাকে কী বলা হয়?
উত্তর: ফোকলোর সোসাইটি।

আধুনিক শিক্ষার কর্মনাশা স্রোত বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?

আধুনিক শিক্ষার কর্মনাশা স্রোত বলতে লেখক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পল্লিগ্রামের সাহিত্যকে উপক্ষো করে আধুনিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারকে বুঝিয়েছেন। লেখক বোঝাতে চেয়েছেন একসময় গ্রামের খোকা-খুকিরা বুড়োবুড়ির মুখে কতনা চমৎকার লোককথা, রূপকথা শুনে ঘুমিয়ে পড়তো। আধুনিক শিক্ষার নামে আরব্য উপন্যাস ও ইংরেজী গল্পের অনুবাদের ফলে এখন আর শিক্ষিত মায়েরা সন্তানকে রাখালের পিঠা গাছের কথা, রাক্ষসপুরীর ঘুমন্ত রাজকন্যার কথা বা পঙ্কিরাজ ঘোড়ার কথা শোনান না। এজন্য আধুনিক শিক্ষার এমন স্রোতকে লেখক কর্মনাশা স্রোত বলে অভিহিত করেছেন। আধুনিক শিক্ষার কর্মনাা স্রোত বলতে লেখক মুহম্মদ শহীদুল্লা পল্লিগ্রামের সাহিত্যকে উপেক্ষা করে আধুনিক শিক্ষার ব্যাপক প্রসারকে বুঝিয়েছেন।

আজ দুঃখে-দৈন্যে প্রাণে সুখ নেই কেন?

গ্রামীন জীবনের দুদর্শা ও অবক্ষয়ে আজ সেখানে দুঃখে-দৈন্যে প্রাণে সুখ নেই। শহরের যান্ত্রিকতায় মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গ্রাম ভুলে গেছে। গ্রামে আগের মতো সুখ নেই, শান্তি নেই। যেভাবে শহরের মানুষের উন্নতি হচ্ছে সেভাবে পল্লিগ্রামের উন্নতি না হওয়ায় সেখানে অভাব-অনটন ও দুঃখ-দুর্দশা লেগেই আছে। তাই আজ গ্রামীণ জীবনে প্রাণে সুখ নেই বলে এখন আর মায়েরা সন্তানদের ঘুমপাড়ানী গান শোনায় না।

পল্লি গানগুলো অমূল্য রত্নবিশেষ কেন?

পল্লির গানগুলো যুগ যুদ ধরে লালিত পল্লিমানুষের জীবনালেখা বলে এগুলো আমাদের অমূল্য রত্নবিশেষ। পল্লিজীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পল্লিগানগুলো বহু যুগ ধরে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে আছে। গানগুলোর কথায়, সুরে এবং গায়কিতে কত প্রেম, কত আনন্দ, কত বেদনা, কত সৌন্দর্য, কত তত্বজ্ঞান ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তার তুলনা নেই। পল্লির প্রকৃতি, জীবন এবং মানুষের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ও দর্শনের প্রকাশ ঘটে এসব গানে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জারি, সারি, বাউল, কীর্তন, ভাটিয়ালি, রাখালি, মারফতি, মুর্শিদি, কবিগান, পালাগান ইত্যাদি বিচিত্র রকমের গান। বৈচিত্রপূর্ণ এ বিপুল সংগীত ভাণ্ডারের তুলনা সরা পৃথিবীতে নেই। অমূল্য রত্নের মতোই এগুলো আমাদের নিজস্ব সম্পদ।

পল্লিগান বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

পল্লিমানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না নিয়ে রচিত যেসব গান পল্লির মাঠে-ঘাটে ছড়ানো রয়েছে তাকেই পল্লিগান হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। পল্লিসাহিত্যের অমূল্য রত্ন হচ্ছে পল্লিগান। যখন পল্লিবাংলার প্রেম, আনন্দ, সৌন্দর্য, দুঃখ-বেদনা, দর্মকথা, তত্বজ্ঞান সুরে সুরে গাওয়া হয়, তখন তা হয়ে ওঠে পল্লিগান। বাংলার কৃষক, রাখাল, গাড়োয়ানের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মারফতি, মুর্শিদি, রাখালি নামক নানা পল্লিগান। পল্লিমানুষের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না নিয়ে রচিত যেসব গান পল্লির মাঠে-ঘাটে ছড়ানো রয়েছে তাকেই পল্লিগান হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

জাতির পুরনো ইতিহাস কীভাবে খুঁজে পাওয়া যায়?

পল্লিসাহিত্যের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে গবেষণা করে জাতির পুরোনো ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়। প্রাচীন যুগের অনেক তথ্য, ইতিহাসের অনেক উপকরণ পল্লিসাহিত্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে। প্রবাদ-প্রবচন, ছড়া, উপকথা, গান ইত্যাদির মধ্যে ছড়িয়ে আছে জাতির প্রাচীন ইতিহাসের আভাস। এসব ছাড়া-গান-উপকথা এখনো পল্লির বিভিন্ন প্রান্তে প্রচলিত আছে দাদি-নানিদের মধ্যে। এসব নিয়ে প্রত্নতাত্বিক গবেষণা করেলে জাতির পুরোনো ইতিহাসের অনেক কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে। পল্লিসাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় ও উপকরণ নিয়ে গবেষণা করে জাতির পুরোনো ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়।

পল্লিসাহিত্যকে গবেষণাধর্মী বিষয় বলা হয় কেন?

পল্লিসাহিত্য শুধু পল্লির রূপকল্পেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সেটি সমগ্র বাঙালি জাতির প্রকৃত পরিচয় বহন করে বলে একে গবেষণাধর্মী বলা হয়। পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধে লেখক পল্লিসাহিত্য নিয়ে সবাইকে গবেষণা করার জন্য আগ্রহী করে তোলার প্রয়াস চালিয়েছেন। পল্লিসাহিত্যের মধ্যে পল্লির মানুষের জীবনাচরণের সাথে সাথে রয়েছে বাঙালি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও নৃতাত্বিক পরিচয়। এজন্য পল্লিসাহিত্যকে গবেষণাধর্মী বলা হয়।

পল্লির উপকথাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

আধুনিক শিক্ষার কর্মনাশা স্রোতের ফলে পল্লির উপকথাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এখনকার শিক্ষিত জননীরা সন্তানদের পল্লিগ্রামের রাখালের পিঠার কথা, রাক্ষসপুরীর ঘুমন্ত রাজকন্যার কথা বা পাঙ্খিরাজ ঘোড়ার কথা এখন আর শোনান না। তাদেরকে শোনান আরব্য উপন্যাসের গল্প বা Lamb's Tales from Shakespeare-এর গল্পের অনুবাদ। আধুনিক শিক্ষার ফলে এসব পল্লি উপকতাগুলো চাষা ভোষার গল্প বিবেচনায় হারিয়ে যাচ্ছে।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে পল্লিসাহিত্য প্রবন্ধের (MCQ) সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। এ রকম আরো পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। প্রিয় পাঠক, এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url