বাংলা বাগধারার তালিকা ১০০০+ বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে বাংলা বাগধারার তালিকা ১০০০+ এই টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বাংলা বাগধারার তালিকা ১০০০+ বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাংলা বাগধারার তালিকা ১০০০+ বিস্তারিত জেনে নিন

বাগধারা কাকে বলে?

বাগধারা হলো কিছু নির্দিষ্ট শব্দ বা শব্দগুচ্ছ, যা আক্ষরিক অর্থে না হয়ে রূপক বা আলঙ্কারিক অর্থ প্রকাশ করে। এটি ভাষার একটি বিশেষ অলংকার, যা বাক্যের অর্থকে আরো গভীর, মজাদার ও অর্থবহ করে তোলে। বাগধারা সাধারণত প্রবাদ, লোককাহিনী বা সংস্কৃতি থেকে উদ্ভূত হয় এবং ব্যবহারকারীর ভাষাগত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে

বাংলা বাগধারার তালিকা ১০০০+

  1. কড়িকাঠ গোনা = কাজ না করে সময় ক্ষেপণ।
  2. পৃষ্ঠপ্রদর্শন = পালানো।
  3. দোহাই মানা = নজির দেখানো।
  4. বাজখাঁই = কর্কশ ও উঁচু।
  5. শিকায় তোলা = মুলতবি রাখা।
  6. চুলায় দেওয়া = গোল্লায় যেতে দেওয়া, পরিত্যাগ করা।
  7. রসাতলে গমন = অধঃপাতে যাওয়া।
  8. বাজারে কাটা = বিক্রি হওয়া।
  9. পঞ্চমুখ = প্রশংসামুখর হওয়া।
  10. কাঁটা দেওয়া = বাঁধা দেওয়া।
  11. লস্কাভাগ = স্বার্থ চিন্তা।
  12. চক্রতোলা = ফণা তোলা।
  13. দা-কুমড়া সম্বন্ধ = ভীষণ শত্রুতা।
  14. ঢাকের কাঠি = তোষামোদকারী।
  15. ঢেঁকি অবতার = নির্বোধ লোক।
  16. অবরে সবরে = সময়ে অসময়ে।
  17. বারো-সতের =খুঁটিনাটি।
  18. লোটাকম্বল = সামান্য সংগতি।
  19. হরিহর আত্মা = অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব।
  20. বিদুরের খু = শ্রদ্ধার সামান্য উপহার।
  21. টুপভুজঙ্গ = নেশাগ্রস্ত।
  22. যমের ভুল = যার সহজে মরণ হয় না।
  23. মেনিমুখো = লাজুক।
  24. পাথরে পাঁচকিল = প্রবল সৌভাগ্য।
  25. সরস্বতীর বরপুত্র = বিদ্বান লোক।
  26. কাছাআলগা = আলসেমি।
  27. অস্কুশ তাড়না = অন্তর্গত আঘাত।
  28. বিষবৃক্ষ = অনিষ্টকারী।
  29. চোদ্দবুড়ি = প্রচুর।
  30. ডিমেরোগা = চির রুগ্ণ।
  31. কুবেরের ধন = অফুরন্ত ঐশ্বর্য।
  32. চর্বিত চর্বণ = পুনরাবৃত্তি।
  33. অগত্য মধুসূদন = অনন্যোপায় হয়ে।
  34. আগাপাছতলা = আগাগোড়া, আদ্যন্ত।
  35. ডাকাবুকো = দুরন্ত/নির্ভীক।
  36. মাৎস্যন্যয় = অরাজকতা, মৎস্যের ন্যায় হানাহানি।
  37. দিগগজ পণ্ডিত = মস্তবড় পণ্ডিত।
  38. নিশপিশ বা ইশপিশ করা = অস্থির হওয়া।
  39. ছুঁচোর কেত্তন = নিরন্তর কলহ।
  40. ভেক ধরা = ভান করা।
  41. ঊনপঞ্চাশ বায়ু = পাগলামি।
  42. ভুঁইফোঁড় = অর্বাচীন।
  43. গৌরচন্দ্রিকা = ভণিতা।
  44. ঢাকের বায়া = অপ্রয়োজনীয়।
  45. তেল-নুন-লকড়ি = মৌলিক প্রয়োজন।
  46. শ্যাপে বর = অনিষ্টে ইস্টলাভ।
  47. আমি আমি করা = আত্মপ্রশংসা করা।
  48. ছাদনা তলা = বিবাহের মগুপ।
  49. ঊনকোটি চৌষট্টি = প্রায় সম্পূর্ণ।
  50. রামগরুড়ের ছানা = গোমড়ামুখো ব্যক্তি।
  51. অস্তিনাস্তি = থাকা না থাকা।
  52. আঁকুপাঁকু = অতিরিক্ত ব্যস্ততার ভাব।
  53. বচনবাগীশ = কাজে অপটু বা অনিচ্ছুক হয়েও কথায় পটু।
  54. ছাতিঠোকা = আস্ফালন করা।
  55. চিনেজোঁক = সহজে ছাড়ে না এমন লোক।
  56. চতুর্ভুজ হওয়া = অত্যন্ত উৎফুল্ল হওয়া।
  57. শকার-বকার = অশ্লীল কথা।
  58. আটকপালে = হতভাগ্য।
  59. অন্ধিসন্ধি = ফাঁকফোকর।
  60. আসরে নামা = আবির্ভূত হওয়া।
  61. আগুনে ঘি ঢালা = রাগ বাড়ানো।
  62. ইঁদুর কপালে = নিত্যন্ত মন্দ ভাগ্য।
  63. ইতর বিশেষ = পার্থক্য।
  64. ঊনপাজুরে = দুর্বল।
  65. কলুর বলদ = এক টানা খাটুনি/পরাধীন।
  66. কলির সন্ধ্যা = দৌরাত্ম্যের শুরু।
  67. কেতা দুরস্ত = পরিপাটি।
  68. কাষ্ঠ হাসি = কপট হাসি।
  69. কেঁচে গণ্ডূষ করা = পুনরায় আরম্ভ করা।
  70. কংস মামা = নির্মম আত্মীয়।
  71. গদাই লস্করি চাল = অতি ধীর গতি, আলসেমি।
  72. গয়ংগচ্ছ = ঢিলেমি।
  73. চোখের বালি = চক্ষুমূল।
  74. ছা পোষা = অত্যন্ত তুচ্ছ বস্তু।
  75. আরো পড়ুন: বিপরীত শব্দ ভান্ডার ৩০০০টি
  76. ঢাকের কাঠি = মোসাহেব/তোষামুদে।
  77. তামার বিষ = অর্থের কু প্রভাব।
  78. দহরম মহরম = ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
  79. ননীর পুতুল = শ্রমবিমুখ।
  80. নেই আঁকড়া = একগুঁয়ে।
  81. ফপর দালালি = অতিরিক্ত চালবাজি।
  82. বর্ণচোরা আম = কপট ব্যক্তি।
  83. রাবণের চিতা = চির অশান্তি।
  84. রাশভারি = গম্ভীর প্রকৃতির।
  85. লেফাফা দুরস্ত = বাইরের ঠাট বজায় রেখে চলেন যিনি।
  86. চেটেনেটে = কমবয়সী বধূ।
  87. ঢাকঢাক গুড়গুড় = লুকোচুরি।
  88. ঢি ঢি পড়া = কলঙ্ক।
  89. নারদের ঢেঁকি = বিবাদের বিষয়।
  90. পায়াভারি = অহংকার।
  91. ভাঁড়ে মা ভবানি = একেবারে দরিদ্র।
  92. মাকাল ফল = অন্তঃসারশূন্য।
  93. রাই কুড়িয়ে বেল = ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বৃহৎ।
  94. ম্যাও ধরা = দায়িত্ব গ্রহন/ঝামেলা পোহানো।
  95. শিরে সংক্রন্তি = আসন্ন বিপদ।
  96. স্বখাত সলিল = নিজে বিপদ ডেকে আনা।
  97. রাহুর দশা = দুঃসময়।
  98. উলু খাগড়া = নিরীহ প্রজা / নগন্য ব্যক্তি।
  99. নরক গুলজার = নিন্দার্থে আড্ডা।
  100. নগন চাঁদ = ভাগ্যবান।
  101. নদের চাঁদ = রূপবান কিন্তু গুনহীন লোক, অকর্মণ্য লোক।
  102. বিন্দুবিসর্গ = সামান্য।
  103. শুনশান = চুপচাপ, নীরব।
  104. হ্যাপা সামলানো = ঝামেলা পোহানো।
  105. অশ্বমেধ যজ্ঞ = বিপুল আয়োজন।
  106. আগড়ন বাগড়ম = অর্থহীন কথা।
  107. অন্তর টিপুনি = গোপন ইশারা।
  108. অষ্টবজ্র সম্মিলন = প্রতিভাবান ব্যক্তিদের একত্র সমাবেশ।
  109. আমড়াগাছি করা = অযথা প্রশংসা করা।
  110. আঠারো মাসে বছর = দীর্ঘসূত্রিতা।
  111. কাক ভূষগিু = সম্পূর্ণ ভেজা।
  112. কুবরের ভাণ্ডার = অফুরন্ত ঐশ্বর্য।
  113. খেরো খাতা = বাজে হিসাবের খাতা।
  114. গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো = পরে পরে সমাপন।
  115. চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন = নিঃসন্দেহ হওয়া।
  116. ঝরাপাতা = জীর্ণশীর্ণ লোক।
  117. ধর্মের কল = সত্য।
  118. নবমী দশা = মূর্ছা।
  119. পঞ্চত্ব প্রাপ্ত = মারা যাওয়া।
  120. বাহাত্তরে ধরা = মতিচ্ছন্ন হওয়া।
  121. ম-ম করা = সুগন্ধে ভরে যাওয়া।
  122. মণিহার ফণী = প্রিয়জনের জন্য অস্থির লোক।
  123. মৌতাত চড়ানো = নেশা করা।
  124. শ্মশান-বৈরাগ্য = সাময়িক বৈরাগ্য।
  125. সাতকাহন = প্রচুর পরিমান।
  126. হচ্ছে হবে = দীর্ঘসূত্রিতা।
  127. হাতে পাঁজি মঙ্গলবার = প্রত্যক্ষ প্রমাণ থাকা সত্বেও অনর্থক দুশ্চিন্তা।
  128. অকটকিনা = নিয়মের কড়াকড়ির অভাব, অতিরিক্ত আচার-বিচারের অভাব।
  129. অকটবিকট = ভয়ে বা বিষ্ময়ে বিকৃত আকার বা অঙ্গভঙ্গি।
  130. অকড়িয়া = টাকা পয়সা বেশি নেই এমন, ধর্মহীন।
  131. অকণ্টকে = নির্বিঘ্নে, নিরূপদ্রবে।
  132. অকাণ্ড কাণ্ড = হঠাৎ ঘটে-যাওয়া ঘটনা।
  133. অকামের গুরুঠাকুর = যে লোক অকাজ-কুকাজ করতে ওস্তাদ।
  134. অকালমুম্মাগু =অকেজো বা অকর্মণ্য লোক।
  135. আকাশকুসুম = অসম্ভব জিনিস।
  136. অকালবোধন = অসময়ে আরম্ভ করা কাজ।
  137. অকালের বাদলা = অসময়ে বা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা বা বিপদ।
  138. অকূলকাণ্ডারি = যিনি উদ্ধার করেন, বিপদ থেকে যিনি রক্ষা করেন।
  139. অকূলপাথার = সীমাহীন বিপদ, মহাসংকট।
  140. অকূলে কূল পাওয়া = বিপদে সাহায্য পাওয়া, মহাসংকট থেকে উদ্ধার পাওয়া।
  141. অকূলে ভাসা = ভীষণ সংকটে পড়ে দিশাহারা হওয়া।
  142. ইঁদুরের কলে পড়া = লোভ করতে গিয়ে ফাঁদে পড়া বা আটকে পড়া।
  143. ইকড়ি-মিকড়ি = ছোটোদের খেলাবিশেষ।
  144. ইতিকথা = কাহিনী, উপকথা, ইতিহাস।
  145. ইন্দ্রপতন = নিজ ক্ষেত্রে প্রধান বা বিখ্যাত ব্যক্তির মৃত্যু।
  146. ইন্দ্রের শচী = যিনি যখন যাঁর কাছে থাকেন তখন তাঁরই।
  147. ইয়ত্তা না থাকা = সীমা না থাকা।
  148. ইয়া ইয়া = এত বড়ো বড়ো।
  149. ইয়ারবকশি = বন্ধুবান্ধব।
  150. ইয়ারের টেক্কা = বয়স্য বা বন্ধু বান্ধবদের মধ্যে প্রধান, ইয়ারদের মধ্যে প্রধান।
  151. ইল্লতে - নোংরা ব্যাপার, নোংরা কাজ।
  152. কংসমামার আদর = নকল আদর, কৃত্রিম ভালোবাসা, ভালোবাসার ভান করে ক্ষতি করা।
  153. কচকচি = তর্ক-বিতর্ক, বাদ-প্রতিবাদ।
  154. কচাল পাড়া = তিরস্কার করা, গালাগালি দেওয়া।
  155. কচু = কিছুই না।
  156. কচাল পোড়া = কিছুই না, ঘোড়ার ডিম।
  157. কড়কে দেওয়া = শায়েস্তা করা, টিট করা।
  158. কড়া ক্রান্তি হিসাব = খুব সূক্ষ্ম হিসাব, যে-হিসাবে কিছুই বাদ দেওয়া হয় না।
  159. কড়ায় কড়া কাহনে কানা (উক্তি) = তুচ্ছ ব্যাপারে খুবই সতর্ক কিন্তু আসল ব্যাপারে বা গুরুতর ব্যাপারে মোটেই সতর্ক নয়।
  160. কড়ায় ভিখারি = অতি দরিদ্র (লোক)।
  161. খড়ের আগুন = সহজেই জ্বলে ওঠে আবার সহজেই নিভে যায় এমন আগুন।
  162. খড়মপেয়ে = যার পায়ের পাতার মাঝখান উঁচু হয়ে থাকে, অলক্ষুণে।
  163. খড়াসই = দাগ পর্যন্ত, মাপের চিহ্ন বা দাগ অবধি।
  164. খতিয়ান করা = জমির হিসাব-নিকাশ করা, জমা খরচের হিসাব তৈরি করা।
  165. খরসানি = ঘোড়া বা ওই জাতীয় পশুর খুরের খটখট শব্দ।
  166. খাকসি পেটা = গরমে বা পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলা।
  167. খাল কেটে কুমির আনা = নিজেরই কাজের ফলে বিপদ ডেকে আনা, ক্ষতি বা অনিষ্টের সুযোগ করে দেওয়া।
  168. খুঁচি দেওয়া = চালের খড় পচে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ চাল বদল না করে পুরোনো খড়ের মধ্যে নতুন খড় গুঁজে দেওয়া।
  169. শ্যামের খুুঁটি = হৃষ্টপুষ্ট ও বলিষ্ঠ লোক, মোটাসোটা লোক।
  170. খুনসুটি = ছোটোখাটো ঝগড়া; কপট ঝগড়া; প্রেমের বা স্নেহের নিশ্বাস ফেলা।
  171. খুব করে বলা = সনির্বন্ধ অনুরোধ করা, বেশ করে কথা শুনিয়ে দেওয়া।
  172. খুসুর-ফুসুর = ফিস ফিস করে কানে কানে কথা।
  173. খেউড় গাওয়া = গালাগালি দেওয়া; অশ্লীল গালাগালি দেওয়া।
  174. খোদার খাসি = চিন্তাভাবনাহীন এবং হৃষ্টপুষ্ট লোক।
  175. খোল নলচে বদলানো = আমূল পরিবর্তন করা; পুরোপুরি পালটে ফেলা।
  176. গঙ্গা পাওয়া, গঙ্গা লাভ করা = মারা যাওয়া, মৃত্যেু হওয়া।
  177. গঙ্গা-বাগে পা, গঙ্গার দিকে পা = অন্তিম দশা, শেষ অবস্থা, মরণদশা।
  178. গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো = কারও জিনিস দিয়ে তাকেই আপ্যায়ন করা।
  179. গজ-কচ্ছপের যুদ্ধ (লড়াই) = দুই বিপুলকায় বা জোয়ান লোকের ধস্তাধস্তি বা মল্লযুদ্ধ।
  180. ঘটিবাটি বিক্রি করা = যথাসর্বস্ব বিক্রি করা, শেষ সামান্য সম্বলও বিক্রি করা, সর্বস্ব বিক্রি কর নিঃস্ব হওয়া।
  181. ঘটিরাম = মূর্খ ও অযোগ্য কর্মচারী।
  182. ঘটে পটে পুজো = প্রতিমা ছাড়াই পুজো।
  183. ঘড়ি ধরে, ঘরির কাঁটায় = ঘরির সঙ্গে অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে তাল রেখে, নির্দিষ্ট সময়ে।
  184. ঘণ্টাঘরুড় = অকর্মণ্য লোক; প্রভুর আজ্ঞাসহ ও হুকুমের দাস।
  185. ঘরপোড়া গোরু = একবার বিপদে পড়েছে বলে যে বিপদের কণামাত্রা সম্ভাবনা দেখলেই সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে।
  186. ঘাই দেওয়া (মারা) = জলের নিচ থেকে উঠে লেজের ঝাপটা মেরে মাছের আবার ডুব দেওয়া।
  187. ঘাট কামানো = হিন্দুদের মৃত্যেুঘটিত অশৌচ শেষ হলে নখ চুল দাড়ি ও গোঁফ কামানো।
  188. ঘাট মারা = কর বা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া, চোরাচালানি করা।
  189. ঘাটের মড়া = অতিবৃদ্ধ লোক; যে ব্যক্তির মৃত্যেু আসন্ন।
  190. ঘাট হওয়া = অপরাধ হওয়া, ত্রুটি স্বীকার করে নত হওয়া।
  191. ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া = উপরওয়ালাকে উপক্ষো করে বা অতিক্রম করে কার্যসিদ্ধির চেষ্টা করা।
  192. ঘোড়া দেখে খোঁচা হওয়া = আরামের সম্ভাবনা দেখে চেষ্টা বা পরিশ্রম ত্যাগ করা।
  193. ঘোড়ায় জিন দেওয়া, ঘোড়ায় জিন দিয়ে আসা = অত্যধিক ব্যস্ততা দেখানো, একেবারেই অপেক্ষায় সময় নেই এই ভাব দেখানো।
  194. ঘোড়ার কামড় = কঠিন, জেদ।
  195. চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করা = অন্যের কাছে যা শোনা গেছে তা নিজের চোখে দেখে নিঃসন্দেহ হওয়া।
  196. চটকের মাংস = খুব সামান্য পরিমাণ জিনিস যা ভাগাভাগি করলে প্রায় কিছুই ভাগে পড়ে না।
  197. চাঁদ হাতে পাওয়া = দুর্লভ অথচ আকাঙ্খিত জিনিস পাওয়া।
  198. চাঁদের হাট = ধনেজনে পরিপূর্ণ সুখের সংবাদ; সুন্দর ও সুবেশ মানুষজনের সমাবেশ।
  199. চাগাড় দেওয়া = প্রবল হয়ে ওঠা; ব্যথা যন্ত্রনা উত্তেজনা মনঃকষ্ট প্রভৃতি বৃদ্ধি পাওয়া।
  200. চাপান-উতোর = তরজা বা কবিগানে দুই পক্ষের পরস্পর প্রশ্ন ও উত্তর।
  201. চিচিং ফাঁক = গোপন রহস্যের প্রকাশ; রহস্য উদঘাটিত, গোপনতা বা রহস্য অবারিত।
  202. চিটিংবাজি করা = ঠকানো, প্রতারণা করা।
  203. চিৎপটাং = চিৎ হয়ে পড়ে গেছে এমন; ধরাশায়ী, বিধ্বস্ত।
  204. চিত্রগুপ্তের খাতা = যে খাতায় সবকিছু পাওয়া যায় বা সব কিছু লেখা আছে।
  205. চিনির পুতুল = একটু পরিশ্রম বা কষ্টেই যার শরীর ভেঙ্গে পড়ে। (ননীর পুতুল)।
  206. চিনির বলদ = যে লোক অন্যের জন্য ভালো জিনিস বহন করে কিন্তু নিজে কিছুই ভোগ করতে পারে না।
  207. চুকলিখোর = চুকলি কাটে বা খায় এমন।
  208. চুক্কি দেওয়া = ধাপ্পা দেওয়া; ভড়কি দেওয়া; খেলাচ্ছলে ভয় দেখানো।
  209. চুমরে চামরে হাসিল (আদায় করা) = মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে কাজ উদ্ধার করা।
  210. চুলের টিকি না দেখা যাওয়া = একেবারে বেপাত্তা হওয়া, অদর্শন হওয়া।
  211. চেটেনেটে = কমবয়সী বা ছোটোখাটো।
  212. চেত্তা খাওয়া = বুব চিতিয়ে বা বুক ফুলিয়ে আস্ফালনের ভঙ্গিতে দাঁড়ানো।
  213. চেত্তা ভাঙ্গা = চিৎ হয়ে শুয়ে আড়মোড়া ভেঙ্গে জড়তা বা আলসেমি দূর করা।
  214. চৈতন্য-চুটকি = টিকি।
  215. চোখ-কান বুজে থাকা = নির্লিপ্ত থাকা, কিছুই না দেখার বা না শোনার ভাব করা; নীরবে দুঃখ-কষ্ট সহ্য করা।
  216. চোখে সরষে ফুল দেখা = বিপদে পড়ে দিশাহারা হয়ে পড়া, বিপদে পড়ে কর্তব্য-অকর্তব্য বুঝতে না পারা।
  217. চোখের জলে নাকের জলে করা (হওয়া) = নাস্তানাবুদ করা বা হওয়া, ভোগানো বা ভোগান্তি হওয়া।
  218. চোদ্দা পোয়া - হাত-পা ছড়িয়ে চিত হয়ে শোয়া বা শয়ন।
  219. চোদ্দোবুড়ি = অনেক, প্রচুর, সাতকাহন।
  220. চোপরা করা, চোপা করা = রুক্ষভাবে কথা বলা; দুর্বিনীতভাবে কথার জবাব দেওয়া।
  221. চোয়াল-ভাঙ্গা - শক্ত কথা, বড়ো-বড়ো শব্দ, উচ্চারণ করা কঠিন এমন শব্দ।
  222. চোরকাঁটা = ঘাটসজাতীয় গুল্ম যার কাঁটা কাপড়ে বিঁধে যায় এবং সহজে ছাড়ানো যায় না।
  223. চোরের উপর বাটপারি = চুরি করা বা চোরাই জিনিস চুরি, অন্যায় উপায়ে লব্ধ জিনিস হাতিয়ে নেওয়া।
  224. চোরের মায়ের বড়ো গলা = অসৎ লোকের হম্বিতম্বি।
  225. চৌকি হাঁকা = রাতে গৃহস্থকে সতর্ক করে দেবার জন্য চৌকিদার বা পাহারাদারের হাঁক দেওয়া।
  226. চৌপন দিন = চৌ-প্রহর, সারাদিন।
  227. চ্যাংদোলা = দুই হাত ও দুই পা ধরে ঝুলিয়ে নেওয়া, মৃতদেহের মতো বয়ে নেওয়া।
  228. চ্যাংমুড়ি = চ্যাংমাছের মতো মাথা যার, মনসাদেবী।
  229. ছক্কা-পাঞ্জা করা, ছক্কাই পাঞ্জাই করা = লম্বা-চওড়া কথা বলা, বড়াই করা, জাঁক করা।
  230. ছড়ি ঘুরানো = অশোভনভাবে বা বিরক্তিকর ভাবে সর্দারি করা, অন্যের উপর মাতব্বরি করা।
  231. ছন্দেবন্দে = কোনো-না কোনো উপায়ে; পাকে-প্রকারে।
  232. ছপ্পর ফুঁড়ে = ছাদ বা চাল ভেদ করে, আকাশ ফুঁড়ে, আশাতীতভাবে, অপ্রত্যাশিতভাবে, না চাইতেই।
  233. ছব্বা = রূপ, মুখশ্রী।
  234. ছয়কে নয় নয়কে ছয় করা = নষ্ট করা, অপচয় করা।
  235. ছরাদ করা = মৃত্যেু কামনা করে শাপ দেওয়া; শ্রাদ্ধ উপলক্ষে ভোজ খাওয়া।
  236. ছরাদ গড়ানো = ব্যাপার গুরুতর আকার ধারণ করা।
  237. ছলে বলে কৌশলে = ভালো মন্দ যে-কোনো উপায়ে, ছলে বলে।
  238. ছাইপাঁশ = ছাইয়ের মতো নগণ্য ও তুচ্ছ জিনিস, বাজে জিনিস, নেশা।
  239. ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলো = বাজে কাজের জন্য নিযুক্ত নগণ্য বা বাজে লোক।
  240. ছাঁদন-দড়ি = দুধ দোয়ার সময় গরু বা মোষের পা বাঁধবার দড়ি।
  241. ছাতি ফোলানো = আস্ফালন করা, শক্তি জাহির করা।
  242. ছারেখারে যাওয়া = ছারখার হওয়া, ধ্বংস হওয়া, একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়া।
  243. ছালন = যে বেশিদিন কোনো কাজেই লেগে থাকে না, ক্রমাগত চেখে বেড়ায় এমন।
  244. ছিঁদকাঁদুনি = কথায় কথায় কাঁদে এমন, অল্পেই যার কান্না পায়।
  245. ছিঁচকে চোর = যে চোর ছোটোখাটো জিনিস চুরি করে।
  246. ছিনিমিনি খেলা = যেমন খুশি ব্যবহার, চূড়ান্ত অপব্যয়।
  247. ছুঁট হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনো = প্রথমে অল্প একুট সুযোগ-সুবিধা পেয়ে কায়েম হয়ে বসে ক্রমে সবকিছু অধিকার করা।
  248. ছেড়ে দিয়ে তেড়ে ধরা = হাতের জিনিস হাতছাড়া করা আবার তাই পাবার জন্য আকুল হওয়া।
  249. জল দেওয়া = মৃতের চিতায় জল ঢালা; পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্য জল দিয়ে তর্পণ করা; মুমূর্ষু ব্যক্তির মুখে গঙ্গাজল দেওয়া।
  250. জলে কুমির ডাঙায় বাঘ = উভয় সংকট।
  251. জলাঞ্জলি দেওয়া = পাট চুকিয়ে দেওয়া, পুরোপুরি পরিত্যাগ করা, বিসর্জন দেওয়া।
  252. জাউ-নড়া = দুর্বল, ব্যক্তিত্বহীন।
  253. জান কয়লা হওয়া = প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়া, জীবন দুর্বিষহ হওয়া; বিধ্বস্ত হওয়া।
  254. জাবর কাটা = একই কথা বারবার বলা বা আলোচনা করা।
  255. জিরান = রসের জন্য খেজুর গাছের চাঁছা সাময়িকভাবে বন্ধ করে পরে আবার চাঁছা।
  256. জুতো সেলাই তেকে চণ্ডীপাঠ = ছোটোবড়ো সকল রকমের কাজ।
  257. জেঁচ পোয়াতি - যে স্ত্রীলোকের সব সন্তানই বেঁচে আছে।
  258. জোঁকের মুখে নুন পড়া = দম্ভকারী বা আস্ফালনকারীকে থামিয়ে বা চুপসে দিতে পারে এমন কথা বলা।
  259. জোড়ের পায়রা = সর্বদা একসঙ্গে থাকে এমন দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু; অতি ঘনিষ্ঠ এবং পরস্পরের অনুরক্ত দুই স্ত্রী-পুরুষ।
  260. জো-হুকুম = তোষামোদকারী।
  261. ঝকমারি মাশুল = বোকামি বা অপরাধের শাস্তি, পাপের ভোগ।
  262. ঝড় বয়ে যাওয়া = ঝড়ের মতো এক নিশ্বাসে অনর্গল কথা বলে যাওয়া।
  263. ঝাঁকের কই ঝাঁকে মেশা = দল ছাড়ার বা ত্যাগ করার পর আবার দলের মধ্যে ফিরে আসা।
  264. ঝাঁকি দর্শন = ক্ষণেকের জন্য দেখা; লুকিয়ে দেখা।
  265. ঝেড়ে কাপড় পরানো = যুক্তি তর্কে বা ঝগড়ায় নাজেহাল করা, বিপর্যস্ত করা, চরম অপদস্থ করা।
  266. ঝাড়ে বংশে শেষ করা = সমূলে বিনাশ বা ধ্বংস করা; মূলসুদ্ধ উৎপাটিত করা।
  267. ঝালে ঝোলে অম্বলে = সমস্ত ব্যাপারে, সর্বত্র, সর্বঘটে।
  268. টই চম্বুর = কানায় কানায় পুর্ণ।
  269. টং টং করে ঘোরা = উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরা।
  270. টসটস = রসে পূর্ণ হওয়ার ভাব; ফোঁড়া ইত্যাদি দূষিত রক্ত, পুঁজ ইত্যাদিতে পূর্ণ হওয়ার ভাব।
  271. টাইম কল = রাস্তার জলের কল যাতে নির্দিষ্ট টাইমে বা সময়ে জল আসে।
  272. টেঁকে দেওয়া = রোদে শুকানো ধান ভানবার উপযুক্ত হয়েছে কি না পরিক্ষা করে দেখা।
  273. টাল সামলানো = পড়তে পড়তে সামলে যাওয়া, বিপদ কাটিয়ে ওঠা।
  274. টিপ্পুনি কাটা = ছোটো-ছোটো বাঁকা বা ঝাঁঝালো উক্তি বা মন্তব্য করা।
  275. টুসকি মারা = তাচ্ছিল্য করা, অবজ্ঞা করা।
  276. টেংরি খুলে নেওয়া = খুর মার দেওয়া, হাঁটার ক্ষমতা থাকবে না এমন প্রচণ্ড মার দেওয়া।
  277. ট্যাকে গোঁজা = দকল করা, আত্মসাৎ করা; সহজেই কাবু করা, সহজেই আয়ত্তে আনা।
  278. ঠেলাপাতি = বনভোজন।
  279. ঠক বাছতে গাঁ উজাড় = পরিণামে শূন্য লাভ।
  280. ঠারে ঠারে = ইঙ্গিতে।
  281. ঠাণ্ডা লড়াই = গোপনে বিরোধিতা।
  282. ঠোঁট কাটা = স্পষ্টভাষী।
  283. ঠেকা মেয়ে = চিরকুমারি।
  284. ঠুঁটো জগন্নাথ = অকর্মণ্য।
  285. ঠাঁট বাজার রাখা = অভাব চাপা রাখা।
  286. ডানাকাটা পরি = পরমা সুন্দরী।
  287. ডিমে রোগা = চির-রুগণ।
  288. ডান হাতের ব্যাপার = খাওয়া।
  289. ডামাডোল = গোলযোগ।
  290. ডকে ওঠা = নষ্ট হওয়া।
  291. ডুমুরের ফুল = অদর্শনীয়।
  292. ডুবে ডুবে জল খাওয়া = গোপনে কাজ করা।
  293. ডাইনির কোলে ছেলে সঁপা = ভক্ষককেই রক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া।
  294. ডাইনে আনতে বাঁয়ে কুলোয় না = আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি।
  295. ঢেঁটরা পেটা = ব্যাপক প্রচার।
  296. ঢক্কা-নিনাদ = উচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা
  297. ঢাকের কাঠি = তোষামুদে।
  298. ঢাক ঢাক গুড় গুড় = লুকোচুরি।
  299. ঢাকের বাঁয়া = অপ্রয়োজনীয়।
  300. ঢাকে কাঠি পড়া = সূচনা হওয়া।
  301. ঢেঁকি অবতার = নির্বোধ লোক।
  302. ঢেরা সই = নিরক্ষর লোকের সই।
  303. ঢেউ গনা = বাজে কাজে সময় নষ্ট।
  304. ঢেঁকি না কুলো না ঢেঁকি না কুলো = অন্নসংস্থানের উপায় না থাকা।
  305. ঢেউগোনা = অকাজে সময় নষ্ট।
  306. ঢেঁকির কুমির = অপদার্থ।
  307. ঢি ঢি পড়া = কলঙ্ক।
  308. তয়নাত করা = স্থির করা।
  309. তেল-কাজলা = চকচকে।
  310. তক্কে তক্কে আড়াই হাত = শেষ ও সবচেয়ে কঠিন অংশ।
  311. তাল পাতার সেপাই = ক্ষীণজীবি।
  312. তাসের ঘর = ক্ষণস্থায়ী ঘর।
  313. তামার বিষ = অর্থের কুপ্রভাব।
  314. তেল-নুন-লকড়ি = মৌলিক প্রয়োজন।
  315. তীর্থের কাক = প্রতীক্ষারত।
  316. তিন মাথা এক হওয়া = খুব বৃদ্ধ হওয়া।
  317. ত্রিশঙ্কু অবস্থা = মধ্যাবস্থা।
  318. তিনঠেঙে = লাঠিহাতে বুড়ো।
  319. তুর্কি নাচল = নাজেহাল অবস্থা।
  320. তুষের আগুন = দীর্ঘস্থায়ী মানসিক যন্ত্রনা।
  321. তুলসী বনের বাঘ = সুবেশে দুর্বৃত্ত।
  322. তালকানা = বেতাল হওয়া।
  323. তাসের ঘর = ক্ষণস্থায়ী।
  324. তুবড়ি ছোটা = বেশি কথা বলা।
  325. তোলা হাঁড়ি = গম্ভীর।
  326. থুরে দেওয়া = জব্দ করা।
  327. থ হওয়া = স্তম্ভিত হওয়া।
  328. থ পাতা = স্থায়ীভাবে কিছু করা।
  329. থোড়াই কেয়ার করা = গ্রাহ্য না করা।
  330. থরহরি কম্প = ভয়ে প্রচণ্ড কাঁপা।
  331. দক্ষযজ্ঞ = ব্যাপক আয়োজন।
  332. দানোয় পাওয়া = ভুতে পাওয়া।
  333. দিগধেড়েঙ্গা = বেমানান রকমের লম্বা।
  334. দক্ষিণ হস্তের ব্যাপার = ভোজন।
  335. দড়ি-কলসি = আত্মহত্যার উপায়।
  336. দফা নিকেশ = সমূহ সর্বনাশ।
  337. দহলা-নহলা = ইতস্তত করা।
  338. দহরম মহরম = অন্তরঙ্গতা।
  339. দা-কুমড়ো সম্বদ্ধ = শত্রুতা।
  340. দাঁতে দড়ি দিয়ে পড়ে থাকা = অনাহারে থাকা।
  341. দাঁড়কাকের ময়ূরপুচ্ছ = অনুকরণের হাস্যকর চেষ্টা।
  342. দুধে ভাতে থাকা = সুখে থাকা।
  343. দেঁতো হাসি = কৃত্রিম হাসি।
  344. দুধ-ঘিয়ের শ্রাদ্ধ করা = অপব্যয়।
  345. দোজবরে = দ্বিতীয়বার যে ছেলে বিয়ে করতে চায়।
  346. দুধের সাধ ঘোলে মিটানো = ভালোর অভাব মন্দ।
  347. দিন ফুরানো = আয়ু শেষ।
  348. দুধের মাছি = সুসময়ে বন্ধু।
  349. দু নৌকায় পা = উভয় সংকট।
  350. আরো পড়ুন: সমার্থক শব্দ ১০০০টি
  351. দক্ষিণার জোরে = টাকা পয়সা দিয়ে।
  352. ধোয়া তুলসীপাতা = নির্দোষ।
  353. ধুয়ো তোলা = অজুহাত বের করা।
  354. ধর্মের কল = সত্য।
  355. ধরতাই বুলি = চালু কথা।
  356. ধড়া-চূড়া = সাজ পোশাক।
  357. ধর্মের ষাঁড় = যথেচ্ছাচারী।
  358. ধামাধরা = তোষামোদকারী।
  359. ধেয়ে নাচনি = ধিঙ্গি মেয়ে।
  360. ধোপা নাপিত বন্ধ করা = একঘরে করা।
  361. ধোপার গাথা = পরের জন্য খাটা।
  362. ধড়ে প্রাণ আসা = বিপদ থেকে উদ্ধার।
  363. ধরাকে সরা জ্ঞান করা = অহঙ্কারে সব কিছুকে তুচ্ছ মনে করা।
  364. ধান ভানতে শিবের গীত = অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতরণা।
  365. ধান দিয়ে লেখাপড়া শেখা = নামমাত্র খরচ।
  366. ধনুক ভাঙ্গা পণ = সুকঠিন প্রতিজ্ঞা।
  367. ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির = ধার্মিক।
  368. ধরি মাছ নাই ছুঁই পানি = কৌশলে কার্যোদ্ধার।
  369. নাড়াবুনে = মূর্খ।
  370. নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা = নিজের অনিষ্ঠ করেও পরের ব্যাপার ক্ষতি করা।
  371. নখদর্পণে = পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আয়ত্তে।
  372. নবমী দশা = মূর্ছা।
  373. নমাসে-ছমাসে = কালে-ভদ্রে।
  374. নয়-দুয়ারি (ন-দুয়ারি) = দ্বারে দ্বারে।
  375. নরক গুলজার = অনেকে জুটে সরগরম।
  376. নাচতে নেমে ঘোমটা = বৃথা লজ্জা।
  377. নারদের ঢেঁকি = বিবাদের বিষয়।
  378. নিজের ঢাল নিজে পেটানো = আত্মপ্রকাশ।
  379. নুড়ো জ্বেলে দেওয়া = মৃত্যেু কামনা করা।
  380. নোলা বাড়ানো = লোভ করা।
  381. নকড়া ছকড়া করা = হেলা ফেলা করা।
  382. নগদ নারয়ণ = নগদ অর্থ।
  383. নজর দেওয়া = কুদৃষ্টি।
  384. ননির পুতুল = সহজে কাতর, আদুরে দুলাল।
  385. নয় ছয় = অপব্যয়।
  386. নিরানব্বুইয়ের ধাক্কা = সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি।
  387. নিজের চরকায় তেল দেওয়া = নিজের কাজে মন দেওয়া।
  388. নেই আঁকড়া = একগুঁয়ে স্বভাবের।
  389. নিমরাজি = আংশিক স্বীকার করা।
  390. পড়ে-পাওয়া চোদ্দ আনা = বিনা পরিশ্রমে প্রাপ্ত।
  391. পয়লানম্বর = অতি চমৎকার।
  392. পুকুর-চুরি = বড় রকমের চুরি।
  393. পঞ্চত্ব প্রাপ্ত = মারা যাওয়া।
  394. পই পই করে = বার বার স্মরণ করিয়ে দেওয়া।
  395. পরঘড়ি পান্তা মারি = হাড়হাভাতে লোক।
  396. পর্বতের মূষিক প্রসব = বিরাট সম্ভাবনার সামান্য।
  397. পশ্চিমদিকে সূর্য ওঠা = অসম্ভব ব্যাপার।
  398. পায়ে রাখা = আশ্রয় দেওয়া।
  399. পাকে-প্রকারে = কলে-কৌশলে।
  400. পাণ্ডবর্জিত = সভ্য লোকের বাসের অযোগ্য।
  401. পাথরে পাঁচ কিল = অদৃষ্ট সুপ্রসন্ন।
  402. পান থেকে চুন খসা = সামান্য ত্রুটি হওয়া।
  403. পান্তা ভাতে ঘি = অপব্যবহার।
  404. পায়াভারি = অহংকার।
  405. পাষাণ ভাঙ্গা = দাঁড়িপাল্লায় ফের ভাঙ্গা।
  406. পিঁপড়ের পেট টেপা = অত্যাধিক হিসাব করে চলা।
  407. পুঁটি মাছের প্রাণ = ক্ষীণজীবি লোক।
  408. পুথি বাড়ানো = ফেনিয়ে বর্ণনা করা।
  409. পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটা = অপ্রীতিকর আলোচনা।
  410. পঞ্চমুখ হওয়া = অতিরিক্ত কথা বলা।
  411. পটল তোলা = মারা যাওয়া।
  412. পটের বিবি = সুসজ্জিত।
  413. পত্রপাঠ = তৎক্ষণাৎ।
  414. পালের গোদা = দলপতি।
  415. পগারপার = পালানো।
  416. ফেকলু পার্টি = কদরহীন লোক।
  417. ফোপর-দালাল = উপযাচক হয়ে অন্যের ব্যাপারে কথা বলা।
  418. ফতো নবাব = সম্ভলহীনের বড়লোকিভাব।
  419. ফুটিফাটা = চৌচির।
  420. ফুলের গায়ে মূর্ছা যাওয়া = সামান্য পরিশ্রমে কাতর।
  421. ফোঁস মনসা = ক্রোধী লোক।
  422. ফপর দালালি = অতিরিক্ত চালবাজি।
  423. বাস্তুঘুঘু = অতি ধূর্ত লোক।
  424. বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা = বিপদের ঝুঁকি নেওয়া।
  425. বিন্দু বিসর্গ = সামান্য অংশ।
  426. বউ-কাঁটকি = পুত্রবধূকে যন্ত্রণা দেয়।
  427. বচনবাগীশ = কথায় পটু।
  428. বয়সের গাছ-পাথর না থাকা = অত্যন্ত বৃদ্ধ।
  429. বইয়ের পোকা = পড়ুয়া।
  430. বর্ণচোরা আম = বহিরঙ্গ একমাত্র পরিচয় নয়/কপট ব্যক্তি।
  431. বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়া = ক্ষমতা প্রদর্শন।
  432. বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানো = সরল লোককে প্রতারণা।
  433. বাড়া ভাতে ছাই দেওয়া = সফল হওয়ার মুখে বাধা।
  434. বামন হয়ে চাঁদে হাত দেওয়া = অসম্ভব কিছু পাবার চেষ্টা।
  435. বারো সতেরো = খুঁটিনাটি।
  436. বারো মাসে ত্রিশ দিন = প্রতিদিন।
  437. বারো মাসে তেরো পার্বণ = উৎসবের আধিক্য।
  438. বালির বাঁধ = ক্ষণস্থায়ী।
  439. বাহাত্তরে ধরা = মতিচ্ছন্ন হওয়া।
  440. বিড়াল-তপস্বী = ভণ্ড লোক।
  441. বিড়ালের আড়াই পা = ক্ষণস্থায়ী রাগ।
  442. বিনা মেঘে বজ্রপাত = অপ্রত্যাশিত বিপদ।
  443. বিরাশি সিক্কা ওজন = বিপুল ওজন।
  444. বেনাবনে মুক্তো ছড়ানো = অপাত্রে মূল্যবান।
  445. বোঝার উপর শাকের আঁটি = অতিরিক্তের অতিরিক্ত।
  446. ব্যাঙের আধুলি = সামান্য পুঁজি হলেও যা গর্বের।
  447. ব্যাঙের লাথি = নগন্য লোকের দ্বারা অপমান।
  448. ব্যাঙের সর্দি = অসম্ভব ব্যাপার।
  449. বকধার্মিক = ভণ্ড।
  450. বগল বাজানো = আনন্দ প্রকাশ করা।
  451. বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো = বাইরে আড়ম্বর ভেতের শূণ্যতা।
  452. বয়ে যাওয়া = ক্ষতিবৃদ্ধি জ্ঞান না করা।
  453. বসন্তের কোকিল = সুদিনের বন্ধু।
  454. ভূতের মুখে রাম নাম = স্বপ্রকৃতি বিরুদ্ধকর্ম।
  455. ভয়ে কেঁচো হয়ে থাকা = ভয়ে জড়সড় হওয়া।
  456. ভাঁড়ে মা ভবানী = একেবারে দরিদ্র।
  457. ভিমরুলের চাকে খোঁচা দেওয়া = উস্কানি দেওয়া।
  458. ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা = অনড় সংকল্প।
  459. ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ = অপচয়জনক ব্যাপার।
  460. ভূষাণ্ডির কাক = বিচক্ষণ ব্যক্তি।
  461. ভস্মে ঘি ঢালা = নিস্ফল কাজ।
  462. ভাদ্র মাসের তাল = প্রচণ্ড কিল।
  463. ভানুমতির খেল = অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
  464. ভিজে বিড়াল = কপটচারী।
  465. ভিটে ঘুঘু চরানো = সর্বস্বান্ত করা।
  466. ভূত ঝাড়া = নির্দয়ভাবে প্রহার বা গালি দেওয়া।
  467. ভূতের বেগার খাটা = নিস্ফল পরিশ্রম করা।
  468. ভরাডুবি = সর্বনাশ।
  469. ভেরেন্ডা ভাজা = অকাজে সময় নষ্ট করা।
  470. ভুঁইফোড় = নতুন আগমন।
  471. মুখে ফুল-চন্দন পড়া = ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়িত হওয়ার কামনা।
  472. মামদোবাজি = প্রতারণা ।
  473. ম-ম করা = সুগন্ধে ভর যাওয়া।
  474. মকশো করা = অভ্যাস করা।
  475. মণিকাঞ্চন যোগ = উপযুক্ত মিলন।
  476. মণিহারা ফণী = প্রিয়জনের জন্য অস্থির লোক।
  477. মন উচাটন হওয়া = অস্থির হওয়া।
  478. মশা মারতে কামান দাগা = সামান্য কাজে বিরাট আয়োজন।
  479. মাছের তেলে মাছ ভাজা = পরে পরে কার্যোদ্ধার।
  480. মাছের মায়ের পুত্রশোক = লোক-দেখানো শোক।
  481. মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়া = আকস্মিক বিপদে।
  482. মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল = ভীষণ বিপদে অস্থির হওয়া।
  483. মানের গুড়ে বালি = সম্মানহানি।
  484. মাদ্ধাতার আমল = অতি প্রাচীনকাল।
  485. মিছরির ছুরি = আপাতমধুর কিন্তু তীক্ষ্ণ ও মর্মভেদী।
  486. মেঘ না চাইতে জল = আশাতীত ফল।
  487. মেঘে মেঘে বেলা হওয়া = বয়স বাড়া
  488. মৌতাত চড়ানো = নেশা করা।
  489. মগের মুলুক = অরাজক ব্যাপার।
  490. মড়াকান্না = উচ্চকণ্ঠে শোক প্রকাশ।
  491. মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা = বিপন্ন লোকের উপর অত্যাচার।
  492. যখন তখন অবস্থা = মমূর্ষ অবস্থা।
  493. যশুরে কই = স্ফীত মস্তক শীর্ণ দেহী।
  494. যাহা বাহান্ন তাহা তিপ্পান্ন = খুব সামান্য তফাত।
  495. যক্ষের ধন = কৃপণের ধন।
  496. যমের অরুচি = যে সহজে মরে না।
  497. যম যন্ত্রণা = খুব কষ্ট।
  498. যমের দোসর = নিষ্ঠুর ব্যক্তি।
  499. যমের ভুল = যার মরণ হয় না।
  500. রথ দেখা কলা বেচা = উভয় কর্ম সাধান।
  501. রাম ভজি কি রহিম ভজি = উভয় সংকট।
  502. রক্তের অক্ষরে লেখা = সংগ্রামের কাহিনী।
  503. রগচটা=অল্পেই রাগ।
  504. রাঙা শুক্রবার = কোনো দিনই নয়।
  505. না রাম না গঙ্গা = ভালো মন্দ কিছুই না।
  506. রাম রাজত্ব = শান্তিশৃঙ্খলাযুক্ত রাজ্য।
  507. রামগরুড়ের ছানা = গোমড়ামুখো লোক।
  508. রুই-কাতলা = প্রতিপত্তিশালী লোকজন।
  509. রাই কুড়িয়ে বেল = ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বৃহৎ।
  510. রাঘব বোয়াল = সর্বগ্রাসী ব্যক্তি।
  511. রাঙা মুলো = প্রিয়দর্শন কিন্তু গুনহীন।
  512. রাজা উজির মারা = আড়ম্বরপূর্ণ গালগল্প।
  513. রাবণের গোষ্ঠী = বড় পরিবার।
  514. রাবণের চিতা = চির অশান্তি।
  515. রাশভারি = গম্ভীর প্রকৃতির।
  516. লবেজান করা = নাজেহাল করা।
  517. লক্কা পায়রা = ফুল বাবু।
  518. লঘুচাপে গুরুদণ্ড = সামান্য অপরাধে গুরুতর।
  519. লোটাকম্বল = সামান্য সংগতি।
  520. লোহার কার্তিক = কালো কুৎসিত লোক।
  521. লগন চাঁদা = ভাগ্যবান।
  522. লেজে পা পড়া = স্বার্থহানি হওয়া।
  523. লেফাফা দুরস্ত = বাইরে পরিপাটি।
  524. গুঁড়ির সাক্ষী মাতাল = অসৎ লোকের অসৎ বন্ধু।
  525. শবরীর প্রতীক্ষা = দীর্ঘকাল ধরে প্রতীক্ষা।
  526. লালগ্রামের শোয়া বসা = নির্বিকারে লোকের মনের অবস্থা।
  527. শিবরাত্রির সলতে = একমাত্র বংশধর।
  528. শিয়রে শমন = মৃত্যেু আসন্ন।
  529. শিয়ালের মুক্তি = অসম্ভব চুক্তি।
  530. শিরে সংক্রন্তি = সামনেই বিপদ।
  531. গুঁড় বার করা = লোভ করা।
  532. শুয়ারের গোঁ = ভয়ানক।
  533. শাক দিয়ে মাছ ঢাকা = দোষ গোপনের বৃথা চেষ্টা।
  534. শাপে বর = অনিষ্টে ইষ্ট লাভ।
  535. শ্রীঘর = জেলখানা।
  536. শিকায় তোলা = স্থগিত।
  537. ষাঁড়ের গোবর = অপদার্থ লোক।
  538. সপ্তমে চড়া = প্রচণ্ড উত্তেজনা।
  539. সবুরে মেওয়া = ধৈর্যে সুফল।
  540. সাজ করতে দোল ফুলানো = প্রস্তুতির জন্য অত্যাধিক সময় নেওয়া।
  541. সাপের ছুঁচো গেলা = উভয়সংকটে পড়া।
  542. সাতকাহন = প্রচুর পরিমাণ।
  543. সাপের পাঁচ পা দেখা = অহংকারের বাড়াবাড়ি।
  544. সুখে থাকতে ভূতে কিলানো = অকারণে দুঃখ ডেকে আনা।
  545. সুলুক-সন্ধান = খোঁজখবর।
  546. সোনার কাঠি ‍রুপোর কাঠি = বাঁচামরার উপায়।
  547. সোনার পাথর বাটি = অলীক বস্তু।
  548. স্বর্গে বাতি দেওয়া = বংশ রক্ষা করা।
  549. সাক্ষিগোপাল = ব্যক্তিত্বহীন নিষ্ক্রিয় দর্শক।
  550. সাত খুন মাফ = অত্যধিক প্রশ্রয়।
  551. সাত সতের = বিচিত্র রকমের।
  552. সোনায় সোহাগা = সুন্দর মিল।
  553. সের দরে = নামমাত্র মূল্যে/সস্তায়।
  554. হরিষে বিষাদ = আনন্দে হঠাৎ দুঃখ।
  555. হাতের লক্ষী পায়ে ঠেলা = সুযোগ নষ্ট করা।
  556. হরিহর আত্মা = অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব।
  557. হলুদের হাঁড়ি ভাঙ্গা = গোপন কথা ফাঁস করে দেওয়া।
  558. হাড়ে মাসে জ্বালানো = অত্যন্ত উত্যক্ত করা।
  559. হাড়ে বাতাস লাগা = স্বস্তি পাওয়া।
  560. হাতে আকাশ পাওয়া = অভাবিতভাবে কিছু লাভ।
  561. হাতে পাঁজি মঙ্গলবার = প্রকৃত প্রমাণ দেওয়া।
  562. হাতির গলায় ঘণ্টা = বয়স্ক বরের বালিকা বধ।
  563. হুঁকো -নাপিত বন্ধ করা = সমাজচ্যুত করা।
  564. হদিস পাওয়া = সঠিক সংবাদ পাওয়া।
  565. আরো পড়ুন: প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
  566. হ য ব র ল = বিশৃঙ্খল।
  567. হরি ঘোষের গোয়াল = বহু অপদার্থ ব্যক্তির সমাবেশ।
  568. হরিলুট = অপচয়।
  569. হস্তিমূর্খ = ভীষণ বোকা।
  570. হাঁটুর বয়স = নিতান্ত শিশু।
  571. হেস্তনেস্ত = মীমাংসা।
  572. হাতে খড়ি = শিক্ষার সূচনা।
  573. হাপিত্যেশ = ব্যাকুল কামনা।
  574. হা-ঘরে = গৃহহীন।
  575. হাতটান = চুরির অভ্যাস।
  576. হাড় হাভাতে = হতভাগ্য।
  577. হালে পানি পাওয়া = সুবিধা করা।

বিগত বছরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নাবলি

১. রাজা উজির মারা বাগধারা অর্থ কি?
ক. রাজা ও উজিরকে মার দেওয়া খ. রাজা ও উজিরকে হত্যা করা
গ. বাগাড়ম্বের বাহাদুরি প্রকাশ ঘ. তাস খেলা
উত্তর: গ. বাগাড়ম্বের বাহাদুরি প্রকাশ।

২. বকধার্মিক বাগধারার অর্থ হলো
ক. বকের মত ধার্মিক খ. চতুর শিকারি
গ. তাপস ঘ. ভণ্ড
উত্তর: ঘ. ভণ্ড।

৩. আকাশ কুসুম বাগধারার অর্থ হলো
ক. আকাশের ফুটে যে কুসুম খ. তারকা
গ. নীল রং ঘ. অবাস্তব
উত্তর: ঘ. অবাস্তব।

৪. ডানাকাটা পরী বাগধারার অর্থ হলো
ক. যে পরীর ডানা কাটা খ. যে পরীর ডানা নেই
গ. যে পরীর ডানা আঘাতপ্রাপ্ত ঘ. অসম্ভব সুন্দরী
উত্তর: ঘ. অসম্ভব সুন্দরী।

৫. ইতর বিশেষ বাগধারার অর্থ হলো
ক. পার্থক্য খ. ইতরের স্বভাব
গ. সর্বসাধারণ ঘ. অসৌজন্য
উত্তর: ক. পার্থক্য।

৬. অগন্ত্যযাত্রা বাগধারাটির সঠিক অর্থ হচ্ছে
ক. বাধ্য হওয়া খ. দ্রুত হওয়া
গ. স্বপ্ন দেখা ঘ. শেষ প্রস্থান
উত্তর: ঘ. শেষ প্রস্থান।

৭. শক্তির অধিক আড়ম্বর প্রকাশ করাকে কোন প্রবাদ দিয়ে প্রকাশ করা যায়?
ক. দয়া করে দেয় নুন ভাব মারে পাঁচ গুণ খ. দেখছি কত দেখব আর ছুচোর গলায় চন্দ্রহার
গ. লোকে যদি বলে ছি তাহলে আর রইল কি ঘ. দুর্ভিক্ষ অল্পকাল, স্মরণ থাকে চিরকাল।
উত্তর: খ. দেখছি কত দেখব আর ছুচোর গলায় চন্দ্রহার।

৮. তীর্থের কাক বাগধারার অর্থ কি?
ক. যে কাক তীর্থ স্থানে থাকে খ. ধূর্ত স্বভাবের লোক
গ. কাঙালপনা ঘ. লোভী ব্যক্তি
উত্তর: গ. কাঙালপনা।

৯. ননীর পুতুল বাগধারার অর্থ হলো
ক. ননী দিয়ে তৈরি পুতুল খ. নরম পুতুল
গ. নরম দেহের লোক ঘ. ছোট ছেলের মত দেহ
উত্তর: গ. নরম দেহের লোক।

১০.অন্তর টিপুনি বলতে কি বুঝায়?
ক. বিপদ খ. গোপন কথা
গ. গভীর প্রেম ঘ. সমূহ কথা
উত্তর: খ. গোপন কথা।

১১.তামার বিষ বাগধারাটির সঠিক অর্থ কি?
ক. বাধ্য হওয়া ভীষণ বিষাক্ত খ. তামা থেকে উৎপন্ন বিষ
গ. নির্দয় ঘ. অর্থের কু-প্রভাব
উত্তর: ঘ. অর্থের কু-প্রভাব।

১২. তেলও কম, ভাজাও মচমচে এ প্রবচনের অর্থ
ক. অল্প ক্ষতিতে কাজ আদায় খ. অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো
গ. সব দিক ঠিক রাখা ঘ. সামান্য উপকরণে যথাযোগ্য ব্যবস্থা
উত্তর: গ. সব দিক ঠিক রাখা।

১৩. ভেরেঙ্গা ভাজা বাগধারার অর্থ হলো
ক. ডাল ভাজা খ. অকাজে থাকা
গ. ডিম ভাজা ঘ. বাজে কাজ করা
উত্তর: খ. অকাজে থাকা।

১৪. হাত চালাও এই বাগধারাটির অর্থ কি?
ক. মার দাও খ. সাহায্য চাও
গ. দক্ষ হও ঘ. তাড়াতাড়ি কর
উত্তর: ঘ. তাড়াতাড়ি কর।

১৫. এর মধ্যে প্রবচন কোনটি?
ক. আ মরি বাংলা ভাষা খ. অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ
গ. অন্ধজনে দাও আলো ঘ. শিক্ষকের কাজ ছাত্র পড়ানো
উত্তর: খ. অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।

১৬. মুখ তোলা বাক্যাংশের বিশিষ্ট অর্থ কি?
ক. মান রাখা খ. প্রসন্ন হওয়া
গ. গৌরব বাড়ানো ঘ. সংযত হওয়া
উত্তর: খ. প্রসন্ন হওয়া।

১৭. পান্তা ভাতে ঘি বাগবিধির অর্থ
ক. বিলাস খ. অপচয়
গ. স্বাদু ঘ. নষ্ট
উত্তর: ঘ. নষ্ট।

১৮. ঘটি ডোবে না নামে তালপুকুর-প্রবাদটির অর্থ কি?
ক. যোগ্যতা ছাড়াই অহঙ্কার দেখানো খ. সস্তা বন্ত্র
গ. স্তব্ধ হওয়া ঘ. সুযোগ সন্ধান করা
উত্তর: ক. যোগ্যতা ছাড়াই অহঙ্কার দেখানো।

১৯. গা করা বাগধারাটির সঠিক অর্থ হচ্ছে
ক. ওঠা খ. সব আত্মসাৎ করা
গ. তুলে নেওয়া ঘ. মনোযোগ দেওয়া
উত্তর: ঘ. মনোযোগ দেওয়া।

২০. ম-ম করা বাগধারাটির অর্থ কি?
ক. দুর্গন্ধে ভরে যাওয়া খ. মাছি বসা
গ. সুগন্ধে ভরে যাওয়া ঘ. পূর্ণ হওয়া
উত্তর: গ. সুগন্ধে ভরে যাওয়া।

২১. মহাভারত অশুদ্ধ হওয়া বাগধারাটির অর্থ
ক. অপত্রি হওয়া খ. বড় ক্ষতি হওয়া
গ. বড় দোষ হওয়া ঘ. বড় অপমান হওয়া
উত্তর: গ. বড় দোষ হওয়া।

২২. কুম্ভিলক শব্দের অর্থ
ক. যে অপরের লেখা চুরি করে নিজের নামে চালায় খ. কুমির ছানা
গ. মজবুদ তালা ঘ. পৌরণিক চরিত্র
উত্তর: ক. যে অপরের লেখা চুরি করে নিজের নামে চালায়।

২৩. বর্ণচোরা বাগধারাটির অর্থ
ক. পাকা আম খ. কপটাচারী
গ. কপটহীন ব্যক্তি ঘ. ভণ্ড সাধু
উত্তর: খ. কপটাচারী।

২৪. ডামাডোল বাগধারাটির সঠিক অর্থ হচ্ছে
ক. হৈ চৈ খ. চিৎকার
গ. গোলযোগ ঘ. যুদ্ধ
উত্তর: গ. গোলযোগ।

২৫. বিষ নেই তার কুলোপনা চক্কর বলতে বোঝায়
ক. যার কোনো প্রকার ক্ষমতা নেই খ. ক্ষমতাশালীর দম্ভ প্রকাশ
গ. অক্ষম ব্যক্তির বৃথা আস্ফালন ঘ. বিষ নেই, কিন্তু কুলো আছে
উত্তর: গ. অক্ষম ব্যক্তির বৃথা আস্ফালন।

২৬. খড়ম পায়ে দিয়ে গঙ্গা পার বাগধারার অর্থ কি?
ক. অসম্ভব কাজে উদ্যোগ খ. ব্যতিক্রমী কাজ
গ. দুঃসাহসিক অভিযান ঘ. দেবতাদের মধ্যে কাজ করা
উত্তর: ক. অসম্ভব কাজে উদ্যোগ।

২৭. মোগলের সঙ্গে খানা খাওয়া বাগধারার অর্থ
ক. রাজা-বাদশাহের সঙ্গে খাওয়া খ. উপরওয়ালার তোষামোদ করা
গ. অসুবিধায় পড়ে বিড়ম্বনা সহ্য করা ঘ. অভিজাতদের সঙ্গে ওঠা বসা
উত্তর: গ. অসুবিধায় পড়ে বিড়ম্বনা সহ্য করা।

২৮. আমড়া কাঠের ঢেঁকি বাগধারার অর্থ
ক. আমড়া কাঠ দিয়ে তৈরি ঢেঁকি খ. অলীক বস্তু
গ. আমড়া কাঠের মতো দুর্বল ঢেঁকি ঘ. অপদার্থ
উত্তর: ঘ. অপদার্থ।

২৯. ঘরিরাম বাগধারাটির অর্থ
ক. ভণ্ড ধার্মিক খ. ন্যাকামি
গ. বড়মুখ ঘ. বকধার্মিক
উত্তর: ঘ. বকধার্মিক।

৩০. চুলায় দেওয়ার বিশিষ্টার্থ
ক. পরিত্যাগ করা খ. সর্বনাশ করা
গ. নিশ্চিহ্ন করা ঘ. পোড়ানো
উত্তর: খ. সর্বনাশ করা।

৩১. চোখের বালি বাগধারার প্রকৃত অর্থ
ক. যে বালি চোখে পড়ে খ. চোখের পীড়া
গ. চক্ষুলজ্জা ঘ. অপ্রিয় ব্যক্তি
উত্তর: ঘ. অপ্রিয় ব্যক্তি।

৩২. বালির বাঁধ বাগধারার প্রকৃত অর্থ কোনটি?
ক. বালি দ্বারা নির্মিত বাঁধ খ. ক্ষণস্থায়ী বস্তু
গ. খেলনা ঘ. প্রতিবন্ধক
উত্তর: খ. ক্ষণস্থায়ী বস্তু।

৩৩. গরমা-গরম এর বিশিষ্টার্থ
ক. টাটকা খ. উত্তেজনাপূর্ণ
গ. সাম্প্রতিক ঘ. উত্তপ্ত
উত্তর: ক. টাটকা।

৩৪. চাঁদের হাট অর্থ
ক. বন্ধুদের সমাগম খ. আত্মীয় সমাগম
গ. প্রিয়জন সমাগম ঘ. গণ্যমান্যদের সমাগম
উত্তর: খ. আত্মীয় সমাগম।

৩৫. রাবনের চিতা এর অর্থ
ক. অনিষ্টে ইস্ট লাভ খ. চির অশান্তি
গ. অসম্ভব বিষয় ঘ. সামান্য কিছু নিয়ে ঝগড়া বাঁধানো
উত্তর: খ. চির অশান্তি।

৩৬. ইঁদুর কপালে বাগধারাটির অর্থ
ক. মন্দভাগ্য খ. ছোট কপাল
গ. সৌভাগ্যবান ঘ. কিম্ভূত চেহারা
উত্তর: ক. মন্দভাগ্য।

৩৭. আক্ষরিক অর্থ ছাপিয়ে যখন কোনো শব্দ বা শব্দগুচ্ছ বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে আমরা বলি
ক. প্রত্যয় খ. উপসর্গ
গ. শব্দগঠন ঘ. সমার্থক শব্দ
উত্তর: ঘ. সমার্থক শব্দ।

৩৮. ঢাক গুড় গুড়-এর অর্থ
ক. লুকোচুরি খ. মিথ্যা প্রবাধ
গ. পলায়ন করা ঘ. সুযোগ খোঁজা
উত্তর: ক. লুকোচুরি।

৩৯. নাকের বদলে নরুন বাগধারাটির অর্থ কোনটি
ক. যা পাপ্য তার চেয়ে কম পাওয়া খ. যা প্রাপ্য তার বেশি পাওয়া
গ. কাউকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা ঘ. গরু মেরে জুতো দান
উত্তর: ঘ. গরু মেরে জুতো দান।

৪০. শিঙে ফোঁকা এর সমার্থক বাগধারা
ক. অক্কা পাওয়া খ. ঘটি উল্টানো
গ. লালবাতি জ্বলা ঘ. রক্তগঙ্গা করা
উত্তর: ঘ. রক্তগঙ্গা করা।

৪১. হাত-ভারি বাগধারাটির অর্থ কি?
ক. দাতা খ. হাত ভরা
গ. কৃপণ ঘ. দরিদ্র
উত্তর: গ. কৃপণ।

৪২. কোন বাগধারাটি ভিন্নার্থক
ক. আদায়-কাঁচকলায় খ. অহি-নকুল
গ. রুই-কাতলা ঘ. দা-কুমড়া
উত্তর: গ. রুই-কাতলা।

৪৩. ঘর থাকতে বাবুই ভিজা বাগধারার অর্থ
ক. সুযোগ থাকতে কষ্ট করা খ. অনর্থক বৃষ্টিতে ভেজা
গ. বাসার বাইরে গিয়ে পাখির ভেজা ঘ. ঘরের বাইরে ইচ্ছেমতো ভেজা
উত্তর: ক. সুযোগ থাকতে কষ্ট করা।
৪৪. সামান্য সম্পদের জন্য প্রচুর অহমিকা বুঝাতে নিচের কোন বাগধারাটি ব্যবহার করা হয়েছে?
ক. ঠাকার কুমির খ. ব্যাঙের সর্দি
গ. টাকার গরম ঘ. ব্যাঙের আধুলি
উত্তর: ঘ. ব্যাঙের আধুলি।

৪৫. অন্ধ অনুকরণ এর বাগধারা কি
ক. গৌরচন্দ্রিকা খ. গড্ডালিকা প্রবাহ
গ. চবির্ত চর্বণ ঘ. দ্রস্বদীর্ঘ জ্ঞান
উত্তর: খ. গড্ডালিকা প্রবাহ।

৪৬. ছা-পোষা কথাটির অর্থ
ক. বোকা খ. ধনী
গ. অত্যন্ত দরিদ্র ঘ. গরিব
উত্তর: গ. অত্যান্ত দরিদ্র।

৪৭. সৌভাগ্যের বিষয় কথাটির কোন বাগধারা দিয়ে বোঝানো হয়েছে?
ক. কেউকেটা খ. একাদশে বৃহস্পতি
গ. এলাহিকাণ্ড ঘ. গোঁফ-খেজুয়ে
উত্তর: খ. একাদশে বৃহস্পতি।

৪৮. আক্কেল সেলামি বাগধারাটির অর্থ
ক. হতবুদ্ধি খ. ভুলের মাশুল
গ. অপদার্থ ঘ. পাগলামি
উত্তর: পাগলামি।

৪৯. ঘুঘু চরানো বাগধারটির অর্থ
ক. অত্যান্ত অলস খ. সর্বনাশ করা
গ. গুজব ঘ. রাখাল
উত্তর: খ. সর্বনাশ করা।

৫০. কেবলা হাকিম বাগধারাটির অর্থ
ক. অনভিজ্ঞ খ. মক্কাগামী লোক
গ. হাকিম নির্ভর ঘ. তোষামোদকারী
উত্তর: ক. অনভিজ্ঞ।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে বাংলা বাগধারার তালিকা ১০০০+ এই টপিক সহ ‍কিছু বিগত সালের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষায় আসা প্রশ্নাত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। এ রকম আরো তথ্য মূলক পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা সবসময় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহাকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url