সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? এই টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে সমাস কাকে বলে? সমাস কত প্রকার ও কি কি তা বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সমাসের প্রয়োজনীয়তা কি?
সমাস শব্দের অর্থ ‘সংক্ষেপণ’ বা এক সঙ্গে অবস্থান। সুতরাং বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে একের অধিক পদকে এক পদে পরিণত করাই সমাসের প্রথম এবং প্রধান কাজ। ‘সিংহ চিহ্নিত আসন’ না বলে সিংহাসন বললে বাক্য সংক্ষিপ্ত এবং সুন্দর হয়। তছাড়া, ভাষার সৌন্দর্য সাধন, অলস্করণ, গুন-সংযোজন ও পরিভাষা রচনা ইত্যাদির ক্ষেত্রে সমাসের যথেষ্ট প্রয়োজন আছে। উদাহারণস্বরুপ, ‘স্বর্ণের ন্যায় উজ্জল অক্ষর’ না বলে ‘স্বর্ণাক্ষর’ বললে পরিভাষা সৃষ্টির পাশাপাশি বক্তব্য সংক্ষিপ্ত ও সুন্দর হয়। অতএব, ভাষার সংক্ষিপ্ততা, সৌন্দর্য বৃদ্ধি, অলস্করণ, শ্রুতিমাধুর্য ইত্যাদির জন্য সমাসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
বাংলা ভাষায় সমাসের ব্যবহার
বাংলা ভাষায় সমাসের ব্যবহার এতটাই গভীর যে, আপনি প্রতিদিনের কথোপকথনেও অবচেতনে অনেক সমাস ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে সাহিত্য, গান, কবিতা, নাটক, সংবাদপত্রের শিরোনাম, এমনকি বিজ্ঞাপনে সমাসের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়।
কিছু ব্যবহারিক ক্ষেত্র:
- সাহিত্য: রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ দাশ—সমস্ত কবির লেখায় সমাসের দুর্দান্ত ব্যবহার।
- কথা বলার ভাষা: "জীবনমরণ", "দিনরাত্রি" ইত্যাদি শব্দ আমরা প্রায়শই ব্যবহার করি।
- সংবাদ শিরোনাম: "দুর্যোগমোকাবিলায় উদ্যোগ", "নতুনপথের সন্ধান" ইত্যাদিতে সমাসের প্রয়োগ থাকে।
- বিজ্ঞাপন: "রক্তদানের মহতী উদ্যোগ" — এখানে 'রক্তদান' শব্দটি সমাস।
- এছাড়াও, সমাস ব্যবহারের মাধ্যমে বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত ও প্রভাবশালী করে তোলা যায়। এটি ভাষার গতি ও সৌন্দর্য দুটোই বাড়িয়ে তোলে।
সমাসের গুরুত্ব
সমাসের গুরুত্ব বিশাল এবং বহুস্তরীয়। প্রথমত, ভাষাকে সংক্ষেপ এবং প্রাঞ্জল করে তুলতে সমাসের ভূমিকা অপরিসীম। একটি বিশাল বাক্যাংশকে মাত্র এক বা দুই শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা গেলে ভাষা শুধু সুস্পষ্ট হয় না, পাঠকের মনোযোগও আকর্ষিত হয়।
দ্বিতীয়ত, সাহিত্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সমাস অনন্য ভূমিকা রাখে। কবিতার ছন্দ, নাটকের সংলাপ, গল্পের বর্ণনায় সমাস ব্যবহারের ফলে বাক্যের মাধুর্য অনেক বেড়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় কিংবা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে সমাসের ব্যাপক ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: অ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম
তৃতীয়ত, ভাষার গভীরতা এবং ভাবপ্রকাশের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায় সমাসের মাধ্যমে। একটি মাত্র শব্দে যদি অনেকগুলি অর্থের ইঙ্গিত করা যায়, তাহলে ভাষা অনেক বেশি প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। তাই ভাষাগত উৎকর্ষ সাধনে এবং সাহিত্যিক সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সমাস অপরিহার্য এক ব্যাকরণিক উপাদান।
এছাড়া, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকেও সমাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সরকারী চাকরির পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা ইত্যাদিতে সমাস সম্পর্কিত প্রশ্ন প্রায়ই আসে। অতএব, ছাত্রছাত্রীদের জন্য সমাস অনুশীলন করা একান্ত প্রয়োজন।
সমাসের মূল উপাদানসমূহ
সমাসের গঠন দুটি মূল উপাদানের সমন্বয়ে সম্পন্ন হয়-১. উপপদ ও ২. সমাসবদ্ধ পদ।
উপপদ: উপপদ বলতে সমাসের প্রতিটি অংশ বা পদকে বোঝানো হয়। এগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে। উপপদগুলি হয় মূল শব্দ, যাদের একত্রে যোগ করে সমাস শব্দ গঠিত হয়। যেমন ধরুন, ‘চন্দ্র’ ও ‘কলা’ — এই দুটি উপপদ মিলে "চন্দ্রকলা" শব্দটি হয়েছে।
উপপদরা আলাদা আলাদা অবস্থায় তাদের নিজস্ব অর্থ বহন করে, কিন্তু সমাসবদ্ধ হলে তারা সম্মিলিতভাবে নতুন অর্থ বা ভাব প্রকাশ করে। কিছু ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপপদের অর্থ কিছুটা পরিবর্তিতও হতে পারে সমাসবদ্ধ অবস্থায়।
সমাসবদ্ধ পদ: সমাসবদ্ধ পদ হলো সেই নতুন শব্দ যা উপপদদের সংযোগে সৃষ্টি হয়। এটি একটি নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে এবং অনেক সময় তার পূর্ববর্তী উপপদগুলির যৌথ ভাব প্রতিফলিত করে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমাসবদ্ধ পদের অর্থ উপপদগুলির আলাদা আলাদা অর্থের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নও হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, ‘রক্ত’ ও ‘মাংস’ উপপদ দুটি মিলে "রক্তমাংস" সমাসবদ্ধ পদ গঠন করেছে। এখানে "রক্তমাংস" বলতে বোঝানো হয়েছে মানুষের শরীর বা জীবিত দেহ। উপপদদের সংযুক্তির মাধ্যমে একটি স্বতন্ত্র এবং স্পষ্ট অর্থ তৈরি হয়েছে।
সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
সমাস শব্দের অর্থ ‘সস্কোচন’ বা সংক্ষেপণ। পরস্পর অর্থ সংগতি বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক পদের এক পদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে। যেমনঃ বিলাত থেকে ফেরৎ= বিলাত ফেরৎ, অন্য গ্রাম= গ্রামান্তর ইত্যাদি।
সমাসের শ্রেনিবিভাগঃ সমাস সাধারণত ছয় প্রকার। যথা ক. অব্যয়ীভাব সমাস, খ. তৎপুরুষ সমাস, গ. কর্মধারায় সমাস, ঘ. দ্বিগু সমাস, ঙ. দ্বন্দ্ব সমাস ও চ. বহুব্রীহি সমাস। প্রিয় পাঠক, চলুন এ ছয়টি সমাস কাকে বলে তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ক. অব্যয়ীভাব সমাস: পূর্বপদে অব্যয়পদ বসে যে সমাস হয় এবং যাতে অব্যয় পদের অর্থই প্রধানরুপে প্রতীয়মান থাকে, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমনঃ কূলের সমীপে= উপকূল, ভাতের অভাব= হা ভাত ইত্যাদি।
খ. তৎপরুষ সমাস: যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পর পদের অর্থ প্রধান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমনঃ মন দ্বারা গড়া= মনগড়া, নরের অথম= নরাধম ইত্যাদি।
গ. কর্মধারায় সমাস: বিশেষ্য ও বিশেষণ পদের সমাসে পরপদের অর্থ প্রদান হলে তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: মহান যে রাজা=মহারাজা, নীল যে আকাশ=নীলাকাশ ইত্যাদি।
ঘ. দ্বিগু সমাস: সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বে বসে সমাহার বা সমষ্টি বুঝাতে যে সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন: শত অব্দের সমাহার=শতাব্দী, ত্রি ফলের সমাহার= ত্রিফলা ইত্যাদি।
ঙ. দ্বন্দ্ব সমাস: যে সমাসে প্রত্যেক পদের অর্থই প্রধান থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: মা ও বাবা= মা-বাব, বাপ ও বেটা= বাপ-বেটা ইত্যাদি।
চ. বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসে সদস্যমান পদের অর্থ প্রধান না হয়ে অন্য কোন অর্থের প্রাধান্য আসে তাকে বহুব্রীহি সামাস বলে। যেমনঃ বীণা পাণিতে যার=বীণাপাণি (স্বরস্বতি); দশ আনন যার= দশানন (রাবণ) ইত্যাদি।
কর্মধারয় সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
যে সমাসে ব্যাসবাক্যের পূর্বপদ ও পরপদ যথাক্রমে বিশেষ্য-বিশেষণ ভাবাপন্ন হয় বা পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলা হয়। যেমন: শশকের ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত।
কর্মধারয় সমাস প্রধানত তিন প্রকারঃ যেমন, ১, সাধারণ কর্মধারয়, ২. মধ্যপদলোপী কর্মধারয়, ও ৩. উপমামূলক কর্মধারয়।
১. সাধারণ কর্মধারয়ঃ বিশেষণ-বিশেষ্য ভাবাপন্ন হয়ে যে কর্মধারয় সমাস হয়, তাকে সাধারণ কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: মহৎ যে জন = মহাজন, যে খোকা সে বাবু = খোকাবাবু, যা কাঁচা তাই মিঠা = কাঁচামিঠা ইত্যাদি।
২. মধ্যপদলোপী কর্মধারয়ঃ যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাস বাক্যের মধ্যস্থিত ব্যাখ্যামূলক পদের লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় বলা হয়। যেমনঃ সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন।
৩. উপমামূলক কর্মধারয়ঃ যে কর্মধারয় সমাসে দুটি অসম জাতীয় বস্তু বা ব্যক্তির মধ্যে তুলনা বা উপমার মাধ্যমে সাদৃশ্য কল্পনা করা হয়, তাকে উপমামূলক কর্মধারয় সমাস বলা হয়। যেমনঃ চাঁদের ন্যায় সুন্দর মুখ = চাঁদমুখ।
তৎপুরুষ সামস কাকে বলে? তৎপুরুষ সমাস কত প্রকার ও কি কি?
যে সমাসে পূর্বপদের কারক ও সম্বন্ধবোধক বিভক্তি লুপ্ত হয়ে পরপদের অর্থ প্রাধান্য প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন মধুর দ্বারা মাখা = মুধুমাখা।
তৎপুরুষ সমাস প্রধানত নয় প্রকারঃ যেমন: ১, দ্বিতীয় তৎপুরুষ ২. তৃতীয়া তৎপুরুষ ৩, চতুর্থী তৎপুরুষ ৪. পঞ্চমী তৎপুরুষ ৫. ষষ্ঠী তৎপুরুষ ৬. সপ্তমী তৎপুরুষ ৭. উপপদ তৎপুরুষ ৮. নঞ্ তৎপুরুষ ও ৯, অলুক তৎপুরুষ।
১। দ্বিতীয়া তৎপুরুষ: যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদস্থিত দ্বিতীয়া বিভক্তি (কে, রে, ইত্যাদি) লুপ্ত হয়ে পরপদের অর্থ প্রাধান্য প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: শরণকে আগত = শরণাগত।
২। তৃতীয়া তৎপুরুষ: যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদস্থিত তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, সাহায্যে ইত্যাদি) লুপ্ত হয়ে পরপদের অর্থ প্রাধান্য প্রতীয়মান হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: ইন্দ্রিয়ের দ্বারা গ্রাহ্য-ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য।
৩। চতুর্থী তৎপুরুষ: যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদস্থিত সম্প্রদান চতুর্থ বিভক্তি (কে, রে, নিমিত্ত, উদ্দেশ্য) লুপ্ত হয়ে পর পদের অর্থ- প্রাধান্য প্রতীয়মান হয়, তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: শয়নের নিমিত্ত কক্ষ = শয়নকক্ষ।
আরো পড়ুন: ভাষা কাকে বলে?
৪। পঞ্চমী তৎপুরুষ: যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদস্থিত পঞ্চমী বিভক্তি (হতে, চেয়ে, থেকে, অপেক্ষা ইত্যাদি) লুপ্ত হয়ে পরপদের অর্থ প্রাধান্য প্রতীয়মান হয়, তাকে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: পাপ হতে মুক্ত = পাপমুক্ত।
৫। ষষ্ঠী তৎপুরুষ: যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদস্থিত ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর, ইত্যাদি) লুপ্ত হয়ে পরপদের অর্থ প্রাধান্য প্রতীয়মান হয়, তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন ছাত্রদের সমাজ = ছাত্রসমাজ।
৬। সপ্তমী তৎপুরুষ: যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদস্থিত সপ্তমী বিভক্তি (এ,তে, এতে, য়, ইত্যাদি) লুপ্ত হয়ে পরপদের অর্থ প্রাধান্য প্রতীয়মান হয়, তাকে সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: সত্যে নিষ্ঠ = সত্যনিষ্ঠ।
৮। উপপদ তৎপুরুষ: সমাসবদ্ধ কৃদন্ত পদের পূর্বপদকে নিষেধার্থক নঞ (না, নয়) অব্যয় থাকে, তাকে নঞ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: নধর্ম = অধর্ম।
৯। অলুক তৎপুরুষ: যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ না পেয়ে যে তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: গায়ে পড়া = গায়ে পড়া। চাঁদের আালো = চাঁদের আলো।
বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
যে সমাসে পূর্বপদ বা পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান না হয়ে তৃতীয় একটি অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমন: নীল কণ্ঠ যার = নীলকণ্ঠ।
বহুব্রীহি সমাস প্রধানত নয় প্রকারঃ যথা, ১. সমানাধিকরণ বহুব্রীহি ২. ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি ৩. ব্যতিহার বহুব্রীহি ৪. মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি ৫. অলুক বহুব্রীহি ৬. নঞ বহুব্রীহি ৭. সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি ৮. অন্ত্যপদলোপী বহুব্রীহি ৯. সহার্থক বহুব্রীহি।
১। সমানাধিকরণ বহুব্রীহিঃ যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি বলা হয়। যেমন, পীত অম্বর যার = পীতাম্বর।
২। ব্যাধিকরণ বহুব্রীহিঃ যে বহুব্রীহি সমাসে উভয় পদই বিশেষ্য কিন্ত তাদের মধ্যে একটি পদ (অধিকরণ) ৭মী বিভক্তি যুক্ত, তাকে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমন; বীণা পানিতে যার = বীণাপানি।
৩। ব্যতিহার বহুব্রীহিঃ পরস্পর সাপেক্ষ ক্রিয়া বা পরস্পরের ক্রিয়া বিনিময় বুঝাতে যে বহুব্রীহি সমাসে একই পদ দ্বিত্ব হয়ে পূর্বপদ ও পরপদরূপে বসে, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন; লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ = লাঠালাঠি।
৪। মধ্যপদলোপী বহুব্রীহিঃ যে বহুব্রীহি সমাসে ব্যাস বাক্যের ব্যখ্যামূলক মধ্যবর্তী পদটির লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমন; মৃগের নয়নের ন্যায় নয়ন যার = মৃগনয়না।
৫। অলুক বহুব্রীহিঃ যে বহুব্রীহি সমাসে বিভক্তির লোপ হয় না তাকে অলুক বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমন; গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = গায়ে হলুদ।
৬। নঞর্থক বহুব্রীহিঃ যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ নঞর্থক নিষেধার্থক অব্যয়, তাকে নঞর্থক বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমন; নাই ভুল যাতে = নির্ভুল।
৭। সংখ্যাবাচক বহুব্রীহিঃ যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদ সংখ্যাবাচক, তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমন পঞ্চমুখ যার = পঞ্চমুখ।
৮। অন্ত্যপদলোপী বহুব্রীহিঃ যে বহুব্রীহি সমাসে ব্যাস বাক্যের শেষের পদ লোপ পায় তাকে অন্ত্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমন; পাঁচ হাতি পরিমাণ যার = পাঁচহাতি।
৯। সহার্থক বহুব্রীহিঃ সহার্থক পদের সাথে বিশেষ্য পদের যে বহুব্রীহি সমাস হয়, তাকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলা হয়। যেমন; স্ত্রীর সহিত বর্তমান = সস্ত্রীক।
উপমান, উপমিত ও রূপক কর্মধারায় সমাসের পার্থক্য বা তুলনামূলক আলোচনা কর।
উপমান কর্মধারায়: উপমান পদের সাথে সাধারণ কর্মবাচক শব্দের যে সমাস হয় তাকে বলা হয় উপমান কর্মধারায়। যেমন: কুসুমের ন্যায় কোমল= কুসুমকোমল। এখানে উপমান, ‘‘কোমল’’ সাধারণ ধর্মবাচক শব্দ, কাজেই এটা উপমান কর্মধারয় সমাস।
উপমিত কর্মধারয়: উপমান পদের সাথে উপমেয় পদের সমাসকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলা হয়। যেমন: চাঁদের ন্যায় মুখ=চাঁদমুখ। এখানে চাঁদমুখ উপমান, মুখ উপমেয়: উপমান ও উপমেয়ের সমাস হয়েছে, কাজেই এটা উপমিত কর্মধারয়।
রূপক কর্মধারয়: রূপক অভেদ কল্পনা করা হয় অর্থাৎ উপমান ও উপমেয়ের ভেদাভেদ করা যায় না, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলা হয়। যেমন: মন রূপ মাঝি= মনমাঝি। এখানে মন উপমেয় ও মাঝি উপমান। মন ও মাঝির মধ্যে সাদৃশ্য এত নিবিড় হয়েছে যে, দুটি বস্তুকে পৃথক কল্পনা করা যায় না। মনে হয় দুই-ই এক ও অভিন্ন। উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে এই অভেদ কল্পনার জন্যে রূপক কর্মধারয় সমাস হয়েছে।
সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য
সন্ধি ও সমাস উভয়ের সাহায্যে নতুন শব্দ গঠিত হলেও এদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। পাশাপাশি দুই বা ততোধিক ধ্বনির মিলনের নাম সন্ধি। উচ্চারণের সুবিধার্থে সন্ধিতে কখনো ধ্বনির আংশিক বা পূর্ণভাবে মিলন হয়: আবার কখনও কোন ধ্বনি লোপ পায়। আর, পরস্পর অর্থ-সংগতি বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক পদের একপদে পরিণত হওয়ার নাম সমাস। অতএব, একাধিক ধ্বনির মিলনে হয় সন্ধি। আর, একাধিক পদের মিলনে হয় সমাস।
আরো পড়ুন: ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত বানান
যেমন: সিংহ+আসন = সিংহাসন। আর সমাসে: সিংহ চিহ্নিত যে আসন = সিংহাসন। তাছাড়া, সন্ধিতে কয়েকটি পদ মিলিত হলে ভিন্ন ভিন্ন পদই বর্তমান থাকে। যেমন: আদি+অন্ত = আদ্যন্ত, কিন্তু সমাসে অকেগুলো পদ একত্রে একটি মাত্র পদে পরিণত হয়। যেমন আদি হতে অন্ত = আদ্যন্ত। সন্ধিতে বিভক্তি লোপ হয় না। যেমন পর+অধীন = পরাধীন। কিন্তু সমাসে বিভক্তি চিহ্নের লোপ হয়। যেমন পরের অধীন = পরাধীন।
তৎপুরুষ সমাস ও বহুব্রীহি সমাসের মধ্য তুলনামূলক আলোচনা কর
- পূর্ব পদের বিভক্তি লোপের মাধ্যমে তৎপুরুষ সমাস হয়ে থাকে। এ বিভক্তি লোপের ধারণা বহুব্রীহি সমাসের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত।
- বহুব্রীহি সমাস দ্বারা তৃতীয় কোন বিষয়কে বুঝানো হয়ে থাকে। এই তৃতীয় বিষয়ের ব্যাপারটি তৎপুরুষ সমাসে কোন ক্রমেই পাওয়া যাবে না।
- তৎপুরুষ সমাসের ক্ষেত্রে পরপদের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। এ কথাটি বহুব্রীহি সমাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
- ব্যাসবাক্য গঠনের ক্ষেত্রে উভয় শ্রেণির সমাসের ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। উদাহারণ: দশ আনন যার - দশানন (রাবণ) বহুব্রীহি সমাস, এক দিকে গোঁ যার - একগুঁয়ে। তৎপুরুষের উদাহারণ: শ্রম দ্বারা লব্ধ - শ্রমলব্ধ (এইখানে দ্বারা বিভক্তি লোপ পেয়েছে)।
দ্বিগু সমাস ও সংখ্যাবাচক বহুব্রীহির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর
- দ্বিগু সমাসের সমস্তপদটি বিশেষ্য পদ হয়ে থাকে, কিন্তু সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাসের সমস্ত পদটি সাধারণত বিশেষণ আকারে থাকে।
- সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস তথা সব ধরনের বহুব্রীহি সমাস দ্বারাই তৃতীয় কোন বিষয়কে বুঝাবে। কিন্ত দ্বিগু সমাসে এই তৃতীয় বিষয়ের ধারণা একেবারেই অনুপস্থিত।
- দ্বিগু সমাস দ্বারা পরপদের অর্থের প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি তথা সব ধরনের বহুব্রীহি সমাস দ্বারাই পূর্বপদ এবং পরপদ কোনটাকেই বুঝাবে না।
- বহুব্রীহি সমাসের ক্ষেত্রে ব্যাসবাক্যের শেষের দিকে সাধারণত ‘‘যার’’ কথাটি থাকে, যেটি দ্বিগু সমাসে পাওয়া যাবে না।
- দ্বিগু সমাস হতে গেলে অবশ্যই সমাহার, সমষ্টি বা মিলনের ভাবটি উপস্থিত থাকবে। এই ধারণাটি বহুব্রীহি সমাসের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। উদাহারণ; চৌরাস্তা = চার রাস্তার সমাহার (দ্বিগু সমাস), চৌচালা = চার চালা আছে যার (ঘর) বহুব্রীহি সমাস।
অব্যয়ীভাব সমাস ও প্রাদি সমাসের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর
- অব্যয়ীভাব সমাসের সমস্ত পদের পূর্ব অংশে উপসর্গ বা অব্যয় অংশটি থাকে, প্রাদি সমাসের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
- অব্যয়ীভাব সমাসের ক্ষেত্রে উপসর্গ বা অব্যয় অংশটির অর্থগত প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু প্রাদি সমাসের ক্ষেত্রে এই ধারণাটি মুখ্য নয়।
- প্রাদি সমাস হতে গেলে সমস্ত পদের পূর্ব পদটি উপসর্গ আকারে এবং পর পদটি অবশ্যই কৃদন্ত বিশেষ্য আকারে থাকবে। কিন্তু অব্যয়ীভাব সমাসের ক্ষেত্রে এই ভাবটি থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।
- অব্যয়ীভাব সমাসের উপসর্গ দ্বারা বা অব্যয় অংশটি দ্বারা বিশেষ কয়েকটি ভাবকে বুঝানো হয়ে থাকে। দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রাদি সমাসে এই ভাবগুলো অনুপস্থিত। যেমন: প্রপিতামহ = অব্যয়ীভাব সমাস - এখানে পূর্ব পদের ‘‘প্র’’ অব্যয় দ্বারা দূরবর্তী ভাবকে বুঝানো হচ্ছে। এই অব্যয়টির প্রাধান্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ব্যাস বাক্যসহ সমাস নির্ণয়
সাধিত শব্দ-ব্যাস বাক্য-সমাসের নাম
- অনাসক্ত-নয় আসক্ত-নঞ তৎপুরুষ সমাস
- অসময়-নয় সময়-নঞ তৎপুরুষ সমাস
- অনাচার-নয় আচার-নঞ তৎপুরুষ সমাস
- অচল-নয় চল-নঞ তৎপুরুষ সমাস
- অনাদর-নয় আদর-নঞ তৎপুরুষ সমাস
- অকুল-নাই কুল-নঞ তৎপুরুষ সমাস
- অন্যায়-নয় ন্যায়-নঞ তৎপুরুষ সমাস
- অনন্ত-নয় অন্ত-নঞ তৎপুরুষ সমাস
- অসুখ-সুখের অভাব-অব্যয়ীভাব সমাস
- অপয়া-নাই নঞ যার- বহুব্রীহি সমাস
- অকুল-কুলের অভাব-অব্যয়ীভাব সমাস
- অনুকূলে-কুলের যোগ্য-অব্যয়ীভাব সমাস
- অনুতাপ- তাপের পশ্চাৎ-অব্যয়ীভাব সমাস
- অনুসরণ-সরণের পশ্চাৎ-অব্যয়ীভাব সমাস
- অনুগমন-গমনের পশ্চাৎ-অব্যয়ীভাব সমাস
- অন্যায়-ন্যায়ের অভাব-অব্যয়ীভাব সমাস
- অবোধ-নাই বোধ যার- নঞ্ বহুব্রীহি সমাস
- অজ্ঞান-নাই জ্ঞান- নঞ্ তৎপুরুষ সমাস
- অজ্ঞান- নাই জ্ঞান যার-নঞ্ বহুব্রীহি সমাস
- অহিনকুল- অহি(সর্প) ও নকুল (নেউল)- দ্বন্দ্ব সমাস
- অষ্টাদশ- অষ্ট অদিক দশ-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- অধ্যাত্ব-আত্মাকে অধিকার করে-অব্যয়ীভাব সমাস
- অর্ধচন্দ্র-চন্দ্রের অর্থ-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- অকাল মৃত্যেু-অকালে মৃত্যেু-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- অনাথাশ্রম-অনাথের নিমিত্ত যে আশ্রয়-৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
- অরুণরাঙা-অরুণের ন্যায় রাঙা-উপমান কর্মধারয় সমাস
- আন্তরীপ-অন্তর্গত অপ যার-নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি সমাস
- অধ্যয়নরত-অধ্যয়নে রত-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- অজমূর্খ-অজের ন্যায় মূর্খ- উপমান কর্মধারয় সমাস
- আমরণ-মরণ পর্যন্ত-অব্যয়ীভাব সমাস
- আসমুদ্র-সমুদ্র পর্যন্ত-অব্যয়ীভাব সমাস
- আপাদমস্তক-পা হতে মাথা পর্যন্ত-৫মী তৎপুরুষ সমাস
- আগাগোড়া-আগা হতে গোড়া-৫মী তৎপুরুষ সমাস
- আনাগোনা-আনা ও গোনা-দ্বন্দ্ব সমাস
- আয়কর-আয়ের উপর অর্পিত কর- মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- আয়তলোচনা-আয়ত লোচন যার- বহুব্রীহি সমাস
- আশীবিষ-আশীতে বিষ যার- বহুব্রীহি সমাস
- আটপৌরে-আট প্রহরের উপযুক্ত-বহুব্রীহি সমাস
- আরাম কেদারা-আরামের নিমিত্ত কেদারা-৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
- আকাশবাণী-আকাশের বাণী- ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- আটচালা-আট চাল বিশিষ্ট যা- বহুব্রীহি সমাস
- আনাড়ী-নাই নাড়ী জ্ঞান যার- নঞ্ বহুব্রীহি সমাস
- অসমুদ্র হিমাচল-সমুদ্র হতে হিমালয় পর্যন্ত-অব্যয়ীভাব সমাস
- আমরা-আমি, তুমি ও সে- দ্বন্দ্ব সমাস
- আনুনী-নুনের অভাব-অব্যয়ীভাব সমাস
- আলু সিদ্ধ-সিদ্ধ যে আলু-কর্মধারয় সমাস
- আবাল-বৃদ্ধ বণিতা-আবাল, বৃদ্ধ ও বণিতা-দ্বন্দ্ব সমাস
- আটঘাট-আট ও ঘাট-দ্বন্দ্ব সমাস
- ইত্যাদি-ইতি হতে আদি-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- ইন্দ্রজিৎ-ইন্দ্রকে জয় করেছে যে-উপপদ তৎপুরুষ সমাস
- ইহকাল-ইহ যে কাল-কর্মধারয় সমাস
- ইতরভদ্র-ইতর ও ভদ্র-দ্বন্দ্ব সমাস
- ঈদগাহ-ঈদের নিমিত্তে গাহ-৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
- ঈগল পাখী-ঈগল নামের যে পাখী-মধ্যপদলোপী কর্মধায়ই সমাস
- উপকূল-কূলের সমীপে-অব্যয়ীভাব সমাস
- উপদ্বীপ-দ্বীপের সদৃশ-অব্যয়ীভাব সমাস
- উপগ্রহ-গ্রহের সমীপে-অব্যয়ীভাব সমাস
- উপনদ-নদীর উপ (ক্ষুদ্র)-অব্যয়ীভাব সমাস
- উশৃঙ্খল-শৃঙ্খলাকে উদগত বা অতিক্রান্ত-অব্যয়ীভাব সমাস
- উন্নিদ্র-নিদ্রাকে উদগত বা অতিক্রান্ত-অব্যয়ীভাব সমাস
- উড়োজাহাজ-উড়ো যে জাহাজ-কর্মধারয় সমাস
- উত্তরকায়-কায়ের উপর ভাগ- ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- উর্নাভ-উর্ণা নাভীতে যার-বহুব্রীহি সমাস
- ঊনবিংশ-ঊন (কম) বিংশ যা- বহুব্রীহি সমাস
- ঊনত্রিশ-ঊন (তম) ত্রিশ যা- বহুব্রীহি সমাস
- উর্ধ্বগামী-উর্ধ্বগামী যা-বহুব্রীহি সমাস
- ঊনিশ বিশ-ঊনিশ এবং বিশ-দ্বন্দ্ব সমাস
- কানাকানি-কানে কানে যে কথা-ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
- কোলাকোলি-কোলে কোলে যে মিলন-ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
- কোলাকানি-কোলার আকৃতির ন্যায় কান যে রমণীর-মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস
- কর্ণফুলী-কর্ণে ফুল আছে যার-বহুব্রীহি সমাস
- কক্সবাজার-কক্স সাহেবের নামে যে বাজার-বহুব্রীতি সমাস
- কবিশ্রেষ্ঠ-কবিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- কবিগুরু-কবিদের গুরু-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- কুন্দশুভ্র-কুন্দের ন্যায় শুভ্র-উপমান কর্মধারয় সমাস
- কৃষি প্রধান-কৃষিতে প্রধান-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- কৃতবিদ্যা-কৃত হয়েছে বিদ্যা যার-বহুব্রীহি সমাস
- কাটাচোখা-কাটা চোখ যার-বহুব্রীহি সমাস
- কাপড় কাঁচা-কাপড়কে কাঁচা-২য়া তৎপুরুষ সমাস
- কাঁচা কলা-কাঁচা যে কলা-কর্মধারয় সমাস
- কর-কমল-কর কমলের ন্যায়-উপমিত কর্মধারয়
- কাজী-পাড়া-কাজীদর পাড়া-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- কালান্তর-অন্যকাল-নিত্য সমাস
- কলের-জল-কলের জল-অলুক ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- কলের গান-কলের গান-অলুক ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- গৃহকর্তা-গৃহের যে (বা যিনি কর্তা)-কর্মধারয় সমাস
- গরমিল-মিলের অভাব-অব্যয়ীভাব সমাস
- গণ্যমান্য-গণ্য যিনি মান্যও তিনি-কর্মধারয় সমাস
- গায়ে হলুদ-গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে
- গ্রামান্তর-অন্য গ্রাম-নিত্য সমাস
- গণতন্ত্র-গণের তন্ত্র-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- গজমূর্খ-গজের ন্যায় মূর্খ- উপমিত কর্মধারয়
- গা ঢাকা- গাকে ঢাকা-২য়া তৎপুরুষ
- ঘোড়দৌড়-ঘোড়ার দৌড়- ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ
- ঘর বাড়ি-ঘর ও বাড়ি-দ্বন্দ্ব সমাস
- ঘি ভাজা-ঘি দ্বারা ভাজা-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- ঘি মাখা-ঘি দিয়া মাখা-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- ঘর মুখো-ঘরে দিকে মুখ যার-বহুব্রীহি সমাস
- ঘর খানা-এই ঘর-নিত্য সমাস
- জীয়ন কাঠি-জীয়নের নিমিত্তে যে কাঠি-৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
- জীবন বীমা-জীবনের বীমা-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- জনৈক-জন্ম যে এক-কর্মধারয় সমাস
- জনাকীর্ণ-জন দ্বারা আকীর্ণ-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- জনমানব-জন ও মানব-দ্বন্দ্ব সমাস
- জেল ফেরত-জেল থেকে ফেরত-৫মী তৎপুরুষ
- জলচর-জলে চরে যে-উপপদ তৎপুরুষ
- জলমাত্র-কেবল জল-নিত্য সমাস
- জল তোলা-জলকে তোলা-২য়া তৎপুরুস সমাস
- জলে কাদায়-জলে ও কাদায়-অনুক দ্বন্দ্ব
- জোরবরাত-জোর যে বরাত-কর্মধারয়
- ঝাটাপেটা-ঝাঁটা দ্বারা পেটা-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- টাককড়ি-টাকা ও কড়ি-দ্বন্দ্ব সমাস
- ঠাকুরঝি-ঠাকুরের ঝি-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- ডাকমাগুল-ডাকের মাগুল-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- ডুবু জাহাজ-ডুবু যে জাহাজ-কর্মধারয় সমাস
- ডাণ্ডাবাজ-ডাণ্ডাবাজী করে যে-উপপদ তৎপুরুষ সমাস
- ডাকপিয়ন-ডাক বিলি করে যে পিয়ন-কর্মধারয় সমাস
- ঢেঁকি ছাঁটা-ঢেঁকি দ্বারা ছাঁটা-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- তেলচিটে-তেল দ্বারা চিটে-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- তপোবন-তপের নিমিত্ত যে বন-৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
- তপোধন-তপের ধন-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- তেপায়া-তে(তিন) পায়ার সমাহার-সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস
- ত্রিফলা-ত্রি (তিন) ফলের সমাহার-দ্বিগু সমাস
- তেলে বেগুনে-তেল ও বেগুনে-দ্বন্দ্ব সমাস
- তালকানা-তালে কানা-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- তাস খেলা-তাস দ্বারা খেলা-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- তাসের ঘর-তাসের ঘর-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- তুষার ধবল-তুষারের ন্যায় ধবল-উপমান কর্মধারয়
- থানা কাউন্সিল-থানা পরিচালকের উদ্দেশ্য যে কাউন্সিল-কর্মধারয় সমাস
- দলছুট-দল হতে ছুট-৫মী তৎপুরুষ সমাস
- দুধেভাতে-দুধে ও ভাতে-দ্বন্দ্ব সমাস
- দশানন-দশ আনন যার-বহুব্রীহি সমাস
- দাগলাগা-দাগ লেগেছে যাতে-বহুব্রীহি সমাস
- দম্পতি-দম(জায়া) ও পতি-দ্বন্দ্ব সমাস
- দিনভর-সারা দিন-নিত্য সমাস
- দেশ প্রীতি-দেশের জন্য প্রীতি-৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
- দর্শনশাস্ত্র-দর্শন বিষয়ে যে শাস্ত্র-মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
- দ্রুতগামী-দ্রুত গমন করে যে-কর্মধারয় সমাস
- দ্বীপ-দুই দিকে অপ যার-বহুব্রীহি সমাস
- দ্বীপান্তর-অন্য দ্বীপ-নিত্য সমাস
- দেশান্তর-অন্য দেশ-নিত্য সমাস
- দূতাবাস-দূতের বাস-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- দিলদরিয়া-দিল রূপ দরিয়া-রূপক কর্মধারয় সমাস
- দুধসাগু-দুধ মিশ্রিত সাগু-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- দশচক্র-দশ চক্রের সমাহার-দ্বিগু সমাস
- দু নলা-দুটি নল যার-বহুব্রীহি সমাস
- ধামাধরা-ধামা ধরে যে-উপপদ তৎপুরুষ সমাস
- ধর্মঘট-ধর্ম রক্ষার্থে যে ঘট-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- ধনুশ্বর-ধনু ও শ্বর-দ্বন্দ্ব সমাস
- ধনাঢ্য-ধনে আঢ্য-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- নাতিদীর্ঘ-ন অতি দীর্ঘ-নঞ্ তৎপুরুষ সমাস
- নিমরাজি-নিম (অল্প) যে বাজি- কর্মধারয় সমাস
- নবরত্ন-নব রত্নের সমাহার-দ্বিগু সমাস
- নাত জামাই-নাতি পর্যায়ের যে জামাই-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- নৌকা ডুবি-নৌকায় ডুবি-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- নির্বিঘ্ন-নিঃ (নাই) বিঘ্ন-নঞ্ তৎপুরুষ সমাস
- নিমক হারাম-নিমক হারাম করে যে-উপপদ তৎপুরুষ সমাস
- নিলাজ-নিঃ (নােই) লাজ- নঞ্ তৎপুরুষ সমাস
- নীলকণ্ঠ-নীল কণ্ঠ যার-বহুব্রীহি সমাস
- নির্মল-নিঃ (নাই) মল যাতে-বহুব্রীহি সমাস
- নদীমাতৃক-নদী মাতা যার-বহুব্রীহি সমাস
- নীলাকাশ-নীল যে আকাশ-কর্মধারয় সমাস
- পস্কজ-পস্কে জন্মে যে-উপপদ তৎপুরুষ সমাস
- পৌণ-পোয়া পরিমাণে উন-তৎপুরুষ সমাস
- পলান্ন-পল মিশ্রিত অন্ন-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- পসুরী-পাঁচ সেরের সমাহার-দ্বিগু সমাস
- প্রতিচ্ছবি-ছবির সৃদশ-অব্যয়ীভাব সমাস
- প্রতিমূর্তি-মূর্তির সদৃশ-অব্যয়ীভাব সমাস
- প্রাণ পাখী-প্রাণ রূপ পাখী-রূপক কর্মধারয় সমাস
- পকেটমার-পকেট মারে যে-উপপদ তৎপুরুষ সমাস
- পাঠশালা-পাঠের নিমিত্ত যে শালা-৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
- পরাণ প্রিয়-পরাণের চেয়ে প্রিয়-৫মী তৎপুরুষ সমাস
- পূর্বরাত্র-রাত্রির পূর্ব ভাগ-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- পূজার্থ-পূজার নিমিত্ত অর্থ-৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
- প্রতিদিন-দিন দিন-নিত্য সমাস
- পাপ মতি-পাপে মতি যার-বহুব্রীহি সমাস
- ফুলতোলা-ফুলকে তোলা-২য়া তৎপুরুষ সমাস
- ফুল ঝুড়ি-ফুলের ন্যায় ঝুড়ি-উপমিত কর্মধারয় সমাস
- ফুলগাছ-ফুলের গাছ-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- ফুলকলি-ফুলের কলি-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- ফলাহার-ফল জাতীয় যে আহার-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- বর্ণ চোরা-বর্ণ চুরি করে যে-উপপদ তৎপুরুষ সমাস
- বহুব্রীহি-বহুব্রীহি আছে যার-বহুব্রীহি সমাস
- বহুরূপী-বহুরূপ ধারণ করে যে-কর্মধারয়/উপপদ তৎপুরুষ সমাস
- বাদুরচোষা-বাদুরের চোষা-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- বাহুলতা-বাহু লতার ন্যায়-উপমিত তৎপুরুষ সমাস
- বিষবৃক্ষ-বিষ সদৃশ বৃক্ষ-কর্মধারয় সমাস
- বেঈমান-বে (নাই) ঈমান যার-নঞ্ তৎপুরুষ সমাস
- বিয়ে পাগলা-বিয়ের জন্য পাগলা-৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
- বেতমিজ-তমিজ নাই যার-নর্ঞ্থক তৎপুরুষ সমাস
- বেতার-তার নাই যার-বহুব্রীহি সমাস
- বেসরকারি-বে (নয়) সরকারি যা- নঞ্ বহুব্রীহি সমাস
- বসতবাড়ী-বসতের নিমিত্ত বাড়ি-৪র্থী তৎপুরুষ সমাস
- বিজয় পতাকা-বিজয় সূচক পতাকা-কর্মধারয় সমাস
- বদমেজাজী-বদ মেজাজ যার-বহুব্রীহি সমাস
- বন্ধন মুক্ত- বন্ধন হতে মুক্ত-৫মী তৎপুরুষ সমাস
- মা হারা-মাকে হারা-২য়া তৎপুরুষ সমাস
- মহাজন-মহান যে জন-কর্মধারয় সমাস
- মেহেদী রাঙ্গা-মেহেদী দ্বারা রাঙ্গা-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- মনগড়া-মন দ্বার গড়া-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- মনমরা-মনে মরা-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- মেঘমুক্ত-মেঘ হতে মুক্ত-৫মী তৎপুরুষ সমাস
- মনমাঝি-মন রুপ মাঝি-রূপক কর্মধারয়
- মৌমাছি-মৌ (মধু) আশ্রিত যে মাছি-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- মায়েঝিয়ে-মায়ে ও বিয়ে-অলুন দ্বন্দ্ব সমাস
- মাথা ব্যাথা-মাথায় ব্যাথা-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- মিঠাকড়া-মিঠা ও কড়া-দ্বন্দ্ব সমাস
- মিঠা কড়া-মিঠা অথচ কড়াও-কর্মধারয় সমাস
- মনোবেড়ী-মন রূপ বেড়ী-রূপত কর্মধারয় সমাস
- মুড়ি মুড়কি-মুড়ি ও মুড়কি-দ্বন্দ্ব সমাস
- মেয়ে মানুষ-যিনি মেয়ে তিনি মানুষ-কর্মধারয় সমাস
- মাঝদরিয়া-দরিয়ার মাঝ-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- মিশকালো-মিশির মতো কালে-উপমান কর্মধারয় সমাস
- মোহনিদ্রা-মোহ রূপ নিদ্রা-রূপক কর্মধারয় সমাস
- মৌলভি সাহেব-যিনি মৌলভি তিনি সাহেব-কর্মধারয় সমাস
- মধ্যরাত্র-রাত্রির মধ্যভাগ-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- মহাতর্ক-মহান বা মহৎ যে তর্ক-কর্মধারয় সমাস
- যথারীতি-রীতেকে অতিক্রম না করে-অব্যয়ীভাব সমাস
- যুবজানি-যুবতী জায়া যার-বহুব্রীহি সমাস
- যা তা-যা এবং তা-দ্বন্দ্ব সমাস
- যে সে-যে ও সে-দ্বন্দ্ব সমাস
- রাজ কবি-কবিদের রাজা-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- রাজনীতি-রাজ্য সন্বন্ধীয় যে নীতি-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- রাতকানা-রাতে কানা-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- রত্নরাজি-রত্নের রাজি-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- রেলগাড়ি-রেলের উপরে চলে যে গাড়ি-মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
- রক্তকমল-রক্ত (লাল রঙের) যে কমল-কর্মধারয় সমাস
- রাজধানী-রাজার ধানী-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- রাজা উজির-রাজা ও উজির-দ্বন্দ্ব সমাস
- রক্তারক্ত-রক্তে রক্তে লেপন করে যে যুদ্ধ-ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
- রাঙ্গামাটি-রাঙ্গা মাটি যার-বহুব্রাহী সমাস
- রাজকুমার-রাজার কুমার-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ
- লালফুল-লাল যে ফুল-কর্মধারয় সমাস
- লালটুপি-লাল যে টুপি-কর্মধারয় সমাস
- লোকটি-একটি লোক-নিত্য সমাস
- লাঠালাঠি-লাঠিতে লাঠিতে যে লড়াই-ব্যতিহাস বহুব্রীহি
- লাট বাহাদুর-যিনি লাট তিনি বাহাদুর-কর্মধারয় সমাস
- শোকাতীত-শোকের অতীত-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ
- শোকার্ত-শোক দ্বারা আর্ত-৩য়া তৎপুরুষ
- শান্তশিষ্ট-যিনি শান্ত তিনিই শিষ্ট-কর্মধারয় সমাস
- শতাব্দী-শত অব্দের সমাহার-দ্বিগু সমাস
- শিশু বিভাগ-শিশুদের বিভাগ-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ
- শিক্ষামন্ত্রী-শিক্ষা বিষয়ক যে মন্ত্রী-মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
- শশব্যস্ত-শশকের ন্যায় ব্যস্ত-উপমান কর্মধারয়
- শান বাঁধানো- শান (পাথর) দ্বারা বাঁধানো-৩য়া তৎপুরুষ
- ষড়াসন-ষড় (ছয়) ধাতুর সমাহার- দ্বিগু সমাস
- সৎলোক- সৎ যে লোক-কর্মধারায় সমাস
- সজল-জলের সাথে বর্তমান-বহুব্রীহি সমাস
- পথকলি-পথের কলি-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- সলজ্জ-লজ্জার সাথে বর্তমান
- সতীর্থ-স (সমান) তীর্থ (শাস্ত্র) যাদের-বহুব্রীহি সমাস
- সপ্তাহ-সপ্ত অহের (দিনের) সমাহার-দ্বিগু সমাস
- সিংহাসন-সিংহ চিহ্নিত যে আসন-মধ্যপদলোপী কর্মধারায় সমাস
- সোনামুখ -সোনার তুল্য (বা সত্য) মুখ-উপমিত কর্মধারয়
- সোনার বাংলা-সোনার বাংলা-অলুক ৬ষ্ঠী
- সর্বনাশা-র্সবনাশ করে যে-উপপদ তৎপুরুষ
- সত্যবাদী-সত্য বলে যে-উপপদ তৎপুরুষ
- সহোদর-সত (সমান) উদর (মাতৃগর্ভ) যাদের-বহুব্রীহি সমাস
- সপত্নী-সহ (সমান) পত্নী যার-বহুব্রীহি সমাস
- সর্বশ্রেষ্ঠ-সর্ব হতে শ্রেষ্ঠ-পঞ্চমী তৎপুরুষ
- সেতার-সে (তিন) তারের সমাহার-দ্বিগু সমাস
- সুনজর-সু যে নজর-কর্মধারয় সমাস
- সুগন্ধ-সুগন্ধ যার (বা সুগন্ধ যুক্ত যা)-বহুব্রীহি সমাস
- সবান্ধব-বান্ধবের সাথে বর্তমান-বহুব্রীহি সমাস
- সমতল-সম (সমান) যে তল- কর্মধারয় সমাস
- স্বপ্নাতীত-স্বপ্নের অতীত-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
- সর্পদষ্ট-সর্পের দ্বারা দষ্ট-৩য়া তৎপুরুষ
- আরো পড়ুন: বাংলা নামের উৎপত্তি
- সাতসমুদ্র-সাত সমুদ্রের সমাহার-দ্বিগু সমাস
- সস্ত্রীক-স্ত্রীর সহিত বর্তমান-বহুব্রীহি সমাস
- সাতপাঁচ-সাত ও পাঁচ-দ্বন্দ্ব সমাস
- সশস্ত্র-অস্ত্রের সাথে বর্তমান-বহুব্রীহি সমাস
- স্বর্গভ্রূষ্ট-স্বর্গ হতে ভ্রষ্ট-৫মী তৎপুরুষ সমাস
- স্নেহসিক্ত-স্নেহ দ্বারা সিক্ত-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- হরতাল-তালের অভাব-অব্যয়ীভাব সমাস
- হাতেখড়ি-হাতে খড়ি-৭মী তৎপুরুষ
- হাতাহাতি-হাতে হাতে যে লড়াই-ব্যতিহাস বহুব্রীহি সমাস
- হাত-পায়ে-হাতে ও পায়ে-অলুক দ্বন্দ্ব সমাস
- হাসাহাসি-হাসিতে হাসিতে যে ক্রিয়া-ব্যতিহার বহুব্রীহি
- হলুদ বাটা-বাটা যে হলুদ-কর্মধারয় সমাস
- হাতে কলমে-হাতে ও কলমে-অলুক দ্বন্দ্ব সমাস
- হীনবল-বলে হীন-৭মী তৎপুরুষ সমাস
- হারামণি-হারিয়েছে যে মণি-কর্মধারয় সমাস
- হাতসর্বস্ব-হৃত হয়েছে সর্বস্ব যার-বহুব্রীহি সমাস
- হাভাত-ভাতের অভাব-অব্যয়ীভাব সমাস
- ক্ষুধিত পাষাণ-ক্ষুধিত যে পাষাণ-কর্মধারয় সমাস
- জ্ঞান বৃদ্ধ-জ্ঞান দ্বারা বৃদ্ধ-৩য়া তৎপুরুষ সমাস
- জ্ঞান তাপস-জ্ঞানের তাপস-৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
উপসংহার
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? এই টপিক সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। এ রকম আরো তথ্য মূলক পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা সবসময় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url