বাংলা বানানের কয়েকটি নিয়ম জেনে নিন

বানান রীতি ভাষাকে সুবিন্যস্ত করে। তাই প্রতিটি ভাষার ক্ষেত্রেই সুনিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল বানান পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। বস্তুত বানান হলো শব্দ মধ্যস্থ বর্ণসমূহের যথার্থ সংযোজন, বিশ্লেষণ বা ধারাবাহিক বর্ণনা। কিন্তু বানান সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে বক্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে অর্থগত অন্তরায় সৃষ্টি হয়। তাই লেখার ক্ষেত্রে পন্ডিত ও ভাষাবিজ্ঞানীদের দ্বারা স্বীকৃত বানান বা বানান রীতির অনুসরণ করা প্রয়োজন। 

বাংলা ভাষাভাষী শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকলেই বাংলা বলতে পারে কিন্তু লেখার সময় কেবলমাত্র শিক্ষিত লোকেরাই লিখতে পারে। অনেক সময় উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিরাও বানানে অগণিত ভুল করে থাকেন। এ ভুল সংশোধনের জন্য ব্যাকারণের প্রয়োজনীয়তা সর্বাগ্রে। তাই সঠিক বাংলা লিখনের জন্য ব্যাকরণভিত্তিক যে নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে তাকেই বাংলা বানানের নিয়ম বা রীতি বলে।
বাংলা বানানের কয়েকটি নিয়ম জেনে নিন
ভাষা ভাবের বাহন। সুদীর্ঘ বিবর্তনের পথ বেয়ে বাংলা ভাষা বর্তমান রূপ লাভ করেছে। বাংলা ভাষার শব্দভান্ডার বহু ভাষার শব্দ-সম্পদে পরিপুষ্ট। যদিও তৎসম শব্দের গঠনরীতি ও বানান সুনির্দিষ্ট। উল্লেখ্য যে, উনিশ শতকের পূর্ব পর্যন্ত বাংলা বানানের সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম প্রচলিত ছিল না। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ থেকে মধ্যযুদ পর্যন্ত সাহিত্য রচনার বিভিন্ন দিকদর্শন হাতের লেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আবার রচয়িতার নিজের হাতের লেখা ছিল দুর্লভ। তখন লিপিকার কর্তৃক অনুলিপির মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা প্রচার হতো; কারণ তখনো ছাপাখানা আবিষ্কার হয়নি।

বাংলা বানানের কয়েকটি নিয়ম

বানান ই ঈ, উ ঊ - এর ব্যবহার:

১। যেসব তৎসম শব্দের বানানে হ্রস্ব ও দীর্ঘ উভয় স্বর (ই ঈ, উ ঊ) অভিধানসিদ্ধ, সে ক্ষেত্রে এবং অতৎসম (তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র) শব্দের বানানে শুধু হ্রস্বস্বর ( ই, উ) হবে যেমনঃ

তৎসম শব্দে: অঙ্গুরি, অটবি, আবির, আশি্স, উষা, কিংবদন্তি, কুটির, গন্ডি, গ্রন্থাবলি, চিৎকার, করণি, তরি, দেশি, পদবি. বিদেশি, ভ্রু, শ্রেণি, সারণি।

অতৎসম শব্দে: আদমি, আপিল, আমিন, আলমারি, উকিল, উর্দু, কাজি, কারবারি, কারিগরি, কুমির, কেরানি, খ্রিষ্ট, খ্রিষ্টাব্দ, গরিব, গাজি, গাড়ি, গিন্নি, চাকরি, জরুরি, জানুয়ারি, ডিগ্রি, দরকারি, দাবি, দিঘি, ধুলো, নার্সারি, পড়শি, পদবি, বাড়ি, বাঁশি, বাঙালি, বে-আইনি, ভুতুড়ে, মিস্ত্রি, মুলো, মেয়েলি, যিশু, রেশমি, লটারি, লাইব্রেরি, শাশুড়ি, শিকারি, সবজি, সরকারি, সুন্নি, হাজি, হিজরি।

২। কয়েকটি স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে ঈ-কার হবে। যেমন: অভিনেত্রী, কর্ত্রী, কল্যাণী, কিশোরী, গাভী, চন্ডী, চতুর্দশী, ছাত্রী, জননী, তরুণী, দাসী, দুঃখিনী, দেবী, নারী, পত্নী, পিশাচী, বিদুষী, বুদ্ধিমতী, মাতামহী, মানবী, যুবতী, লক্ষ্মী, শ্রীমতী, সতী, সরস্বতী, হরিণী, হৈমন্তী।

৩। ভাষা ও জাতির নামের শেষে ই-কার হবে। যেমন: আফগানি, আরবি, ইরাকি, ইরানি, ইহুদি, কাশ্মিরি, জাপানি, তুর্কি, নেপালি, পাকিস্তানি, পাঞ্জাবি, ফরাসি, বাঙালি, সাঁওতালি, সিন্ধি, হিন্দি।

৪। বিশেষণবাচক ‘আলি’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন: চৈতালি, পুবালি, বর্ণালি, মিতালি, মেয়েলি, রুপালি, সোনালি।

বানানে ও - এর ব্যবহার

১। ক্রিয়াপদের বানানে পদান্তে ও - কার অপরিহার্য নয়। যেমন: আনব, করত, খেলব, চলব, দেখত, ধরব, নাচব, পড়ব, বলত, মরব, লড়ব, লিখব।

২। বর্তমান অনুজ্ঞার সামান্যরূপে পদান্তে ও - কার প্রদান করা যায়। যেমন: আনো, করো, খেলো, চলো, দেখো, ধরো, নাচো, পড়ো, বলো, মারো, লড়ো, লেখো।
৩। আনো প্রত্যয়ান্ত শব্দের শেষে ও - কার হবে। যেমন: করানো, খাওয়ানো, ঠ্যাঙানো, দেখানো, নামানো, পাঠানো, শোয়ানো।

৪। অর্থ বা উচ্চারণ বিভ্রান্তির সুযোগ থাকলে কিছু বিশেষ্য, বিশেষণ ও অব্যয় শব্দে ও - কার দেওয়া আবশ্যক। যেমন: কাল ( সময়), কালো ( কৃষ্ণ বর্ণ): কোন (কী, কে, কোনটি), কোনো (বহুর মধ্যে এক); ভাল (কপাল), ভালো (উত্তম)।

বানানে বিসর্গ এর ব্যবহার

১। পদান্তে বিসর্গ; থাকবে না। যেমন: ক্রমশ, দ্বিতীয়ত, প্রথমত, প্রধানত, বস্তুত, মূলত।

২। পদমধ্যস্থ বিসর্গ থাকবে। যেমন: অন্তঃস্থ, দুঃখ, দুঃসহ, নিঃশব্দ, পুনঃপুন, স্বতঃস্ফূর্ত।

৩। অভিধানসন্ধি হলে পদমধ্যস্থ বিসর্গ বর্জনীয়। যেমন: দুস্থ, নিশ্বাস, নিস্পৃহ, বহিস্থ, মনস্থ।

মুর্ধন্য-ণ ব্যবহারের নিয়ম

১। ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে দন্ত্য-ন ব্যবহৃত হয়ে যুক্ত ব্যঞ্জন গঠিত হলে সেক্ষেত্রে সব সময় মুর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: ঘণ্টা, লণ্ঠন, কান্ড, প্রচন্ড, কণ্টক, বণ্টন ইত্যাদি।

২। র, ষ-এর পরে মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: তৃণ, বর্ণ, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ইত্যাদি।

৩। র, ষ এর পরে স্বরধ্বনি, ষ য় ব হ ং এবং ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে পরবর্তী ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: হরিণ ( র-এর পরে ই, তার পরে ণ), লক্ষণ ( ক্+ষ্+অ+ণ্) প্রভৃতি। এরূপ- রামায়ণ, সাধারণ, নিবারণ ইত্যাদি।

৪। প্র, পরি, নির - এই তিনটি উপসর্গ ও অন্তর শব্দের পর নদ্, নম্, নহ্, নী, নু, নুদ্, অন্ ও হন্ ধাতুর দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: প্রণয়, পরায়ণ, প্রণাম, প্রণত, প্রণেতা, পরিণয়, পরিণাম, প্রণব, প্রণোদিত, পরিণত, পরিণতি, নির্ণীত ইত্যাদি।

৫। পর, উত্তর, চান্দ্র, নার, রাম শব্দের পর ‘আয়ন’ প্রত্যয় যুক্ত হলে আয়নের দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন, পরায়ন, উত্তরায়ণ, চান্দ্রায়ণ, নারায়ণ, রামায়ণ ইত্যাদি।

৬। প্র, পূর্ব, পরা, অপর - এগুলোর পর ‘অহ্ন’ শব্দ যুক্ত হলে ‘অহ্ন’ শব্দের দন্ত্য-ন মূর্ধন্য হয়। যেমন: প্র
অহ্ন = প্রাহ্ন, পূর্ব + অহ্ন = পূর্বাহ্ন, অপর + অহ্ন = অপরাহ্ন ইত্যাদি।

৭। ‘অগ্র’ ও ‘গ্রাম’ শব্দের পরবর্তী ‘নী’ ধাতুর দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন: অগ্রণী, গ্রামিণী প্রভৃতি।

মূর্ধন্য-ণ ব্যবহারের ব্যতিক্রম

১। তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে সর্বদা দন্ত্য-ন বসে। যেমন: কান, পরান, ইরান, কোরান, সোনা, মডার্ন, হর্ন, কার্নিশ, বার্নিশ, জার্মানি, সেকেন্ড, ফ্রন্ট, নজরানা, ফার্নিচার, প্রজেষ্ট, বন্ড ইত্যাদি।

২। ঋ, র, য-এর পর স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব, হ কিংবা ং ইত্যাদি ব্যতীত অন্য বর্ণ থাকলে মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন- বর্ধন, দর্শন, নর্তন, বিসর্জন ইত্যাদি।

৩। ত বর্গের ত, থ, দ, ধ -এর পূর্বে যুক্ত দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন: গ্রন্থ, বন্দুক, অন্ত, বৃন্ত, বৃদ্ধ, বন্ধু, ইত্যাদি।

৪। বাংলা ক্রিয়াপদে মূর্ধন্য হয় না। যেমন: করেন, ধরেন, মারেন, বলুন, শুনুন ইত্যাদি।

৫। সমাসবদ্ধ শব্দের পূর্বপদে ঋ, র, ষ থাকলেও পর পদে ‘ণ’ হয় না। যেমন: সর্বনাশ, অগ্রনায়ক, ত্রিনয়ন, মৃগনাভি, দুর্নাম, হরিনাম, বীরাঙ্গনা ইত্যাদি।

৬। সম্বোধন পদের অন্তস্থিত দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য হয় না। যেমন: হে ধর্মচারিন, হে শ্রীমান ইত্যাদি।

৭। ময়ট (ময়) প্রত্যয়ের ম্ যোগে ত্ স্থানে মূর্ধন্য ‘ণ’ হবে না। যেমন: মৃন্ময় (মৃৎ্ (ত) + ময়)।

৮। সাধারণত দক্ষিণ শব্দের পর ‘অয়ন’-এ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয় না। যেমন: দক্ষিণায়ন।

মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের নিয়ম

  • অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরের ষ-প্রত্যয়ের স থাকলে তা ষ হয়। যেমন - ভবিষ্যৎ ( ভ্+অ+ব+ই+ষ্+ব্ এর পরে ই-এর ব্যবধান) মুমূর্ষু, চক্ষুম্মান, চিকীর্ষা, জিগীষা, বর্ষ, বার্ষিক ইত্যাদি।
  • ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতকগুলো ধাতুতে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন বিসম>বিষম, অভিসেক> অভিষেক, সুসুপ্ত > সুষুপ্ত, অনুসঙ্গ > অনুষঙ্গ, প্রতিসেধক > প্রতিষেধক, প্রতিস্থান > প্রতিষ্ঠান, অনুস্থান > অনুষ্ঠান, সুসমা > সুষমা ইত্যাদি।
  • ঋ-কার ও র-কার এর পর মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন, কৃষক, তৃষ্ণা, ঋষি, উৎকৃষ্ট, বৃষ্টি, দৃষ্টি, কৃষ্টি, সৃষ্টি, বর্ষা, বর্ষণ ইত্যাদি।
  • ট ও ঠ এর সঙ্গে যুক্ত হলে দন্ত্য-স না হয়ে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন; কাণ্ঠ, কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, ওষ্ঠ ইত্যাদি।
  • নিঃ, দুঃ, আবিঃ, চতুঃ, প্রাদুঃ, বহিঃ এগুলোর পর, ক, খ, প, ফ থাকলে বিসর্গ স্থানে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: নিঃ+কর = নিষ্কর, নিঃ+ফল = নিস্ফল, নিঃ+কৃতি = নিষ্কৃতি, নিঃ+পাপ = নিষ্পাপ, নিঃ+প্রাণ = নিষ্প্রাণ, দুঃ+প্রাপ্য = দুষ্প্রাপ্য, দুঃ+ কৃতি = দুষ্কৃতি, আবিঃ + কার = আবিষ্কার, চতুঃ + পদ = চতুষ্পদ, বহিঃ + কার = বহিষ্কার ইত্যাদি।
  • সম্ভাষণসূচক শব্দে এ-কারের পর মূর্ধন্য-ষ ব্যবহৃতহ হয়। যেমন: প্রীতিভাজনের, বন্ধুবরেষু, প্রিয়বরেষু, কল্যাণীয়েষু, শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু, শ্রীচরণেষু, স্নেহাস্পদেষু, সুজনেষু ইত্যাদি।
  • সমাসবদ্ধ হয়ে দুটি পদ একপদে পরিনত হলে এবং প্রথম পদের শেষে ই, ঊ, ঋ থাকলে পরবর্তী পদে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন- যুধিষ্ঠির, গোষ্পদ, গোষ্ঠী ইত্যাদি।

মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের ব্যতিক্রম

  • অ, আ বর্ণে বিসর্গ থাকলে অতঃপর ক, খ, গ. ফ থাকলে সন্ধিতে বিসর্গ স্থলে দন্ত্য-স হয়। যেমন: তস্কর (তঃ + কর), মনস্কর, (মনঃ+কাম), নমস্কার (নমঃ+কার), ভাস্কর (ভাঃ+কর) ইত্যাদি।
  • তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে দন্ত্য-স ব্যবহৃত হয়। যেমন: ডাস্টার, স্টার, মাস্টার, আগস্ট, পোস্ট, স্টেশন, স্টল, স্টক, স্টেডিয়াম, স্টুডিও, স্টাইল, স্টিমার, এস্টেট, কোস্টার ইত্যাদি।
  • বাংলা ক্রিয়াপদের শেষে তুচ্ছার্থে দন্ত্য-স হয়। যেমন: মরিস, করিস, ধরিস ইত্যাদি।
  • সংস্কৃত, ‘সাৎ’ প্রত্যয়ের দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয় না। যেমন- ভূমিসাৎ, ধুলিসাৎ, অগ্নিসাৎ ইত্যাদি।
  • সম্ভাষণসূচক স্ত্রীবাচক শব্দে আ-কারের পর দন্ত্য-স হয়। যেমন- মাননীয়াসু, সুপ্রিয়াসু, কল্যাণীয়াসু, সুজনীয়াসু, পূজনীয়াসু, সুচরিতাসু ইত্যাদি।
  • ‘স্পৃহ’ ও ‘স্ফুট’ ধাতুর দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয় না। যেমন নিস্পৃহ, নিস্পন্দ ইত্যাদি।
  • সাধারণত ‘স্ফুট’ ধাতুর দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয় না। যেমন- বিস্ফোরণ, পরিস্ফুট ইত্যাদি।
  • দুটি পদ সমাসবদ্ধ হয়ে একপদে পরিণত হলে ‘ষ’ হয় না। যেমন: শত্রু+সেনা = শত্রুসেনা।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি বাংলা বানানের কয়েকটি নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। এ রকম আরো তথ্য মূলক কনটেন্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা সবসময় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url