সূরা আন-নাস বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে সূরা আন-নাস বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে সূরা আন-নাস বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সূরা আন-নাস বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ বিস্তারিত জেনে নিন
সূরা আন-নাস হলো পবিত্র কুরআনের ১১৪তম এবং শেষ সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং মোট ৬টি আয়াত নিয়ে গঠিত। এই সূরাটি মূলত মানুষের সুরক্ষা ও আশ্রয়ের জন্য মহান আল্লাহর প্রতি প্রার্থনার একটি সুন্দর দোয়া।

“আন-নাস” শব্দের অর্থ "মানুষ"। এই সূরায় মানুষকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে শেখানো হয়েছে, যাতে তারা শয়তানের কুমন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা পায়। শয়তান শুধু জিনদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং মানুষের মধ্যেও এমন কেউ থাকতে পারে, যারা ধোঁকাবাজি, মিথ্যা ও বিভ্রান্তির মাধ্যমে অন্যদের বিপথগামী করে।

সূরা আন-নাসের ফজিলত

সূরা আন-নাস পবিত্র কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা, যা মানুষের আত্মরক্ষা ও শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য বিশেষভাবে নাজিল হয়েছে। এই সূরার ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বহু বর্ণনা পাওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সূরা আন-নাস এবং সূরা আল-ফালাক হল আশ্রয়ের সূরা, যা মানুষের জন্য দুর্ভাগ্য, অশুভ শক্তি ও শয়তানের কুমন্ত্রণার বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করে।

এই সূরাটি প্রতিদিন সকাল-বিকাল তিনবার পড়ে নিলে আল্লাহর হিফাজতে থাকা যায়। বিশেষত, রাতে ঘুমানোর আগে সূরা আন-নাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করে শরীরে দম করলে তা সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে। রাসূল (সা.) নিজেও অসুস্থ হলে এই সূরাগুলো পড়ে নিজের উপর দম করতেন এবং সাহাবীদেরও এটি পাঠ করার উপদেশ দিয়েছেন।

এছাড়াও, এই সূরাটি কালো জাদু, বদনজর, এবং অশুভ শক্তির কুপ্রভাব থেকে আত্মরক্ষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ দোয়া। নিয়মিত এই সূরাটি পাঠ করলে মনের শান্তি, আল্লাহর রহমত ও নিরাপত্তা লাভ করা যায়। তাই, আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর আশ্রয় কামনার জন্য সূরা আন-নাস পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূরা আন-নাস বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

(০) আরবি: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বাংলা অর্থ: পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

(১) আরবি: قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ

বাংলা উচ্চারণ: কুল আউযু বিরাব্বিন নাস।

বাংলা অর্থ: বলুন, আমি আশ্রয় চাই মানুষের রবের কাছে।

(২) আরবি: مَلِكِ النَّاسِ

বাংলা উচ্চারণ: মালিকিন নাস।

বাংলা অর্থ: যিনি মানবমন্ডলীর বাদশাহ বা অধিপতি।

(৩) আরবি: إِلَٰهِ النَّاسِ

বাংলা উচ্চারণ: ইলাহিন নাস।

বাংলা অর্থ: যিনি মানুষের ইলাহ (উপাস্য)।

(৪) আরবি: مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ

বাংলা উচ্চারণ: মিন শররিল ওয়াস ওয়াসিল খান্নাস।

বাংলা অর্থ: সে কুমন্ত্রণা দানকারীর অনিষ্ট থেকে, যে লুকিয়ে থাকে।

(৫) আরবি: الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাযি ইউওয়াস উইসু ফি-সু দূরিন নাস।

বাংলা অর্থ: যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়।

(৬) আরবি:مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ

বাংলা উচ্চারণ: মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।

বাংলা অর্থ: সে জিনের মধ্যে হতে বা মানুষের মধ্যে হতে।

সূরা আল-ফালাক বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

(০) আরবি: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

বাংলা অর্থ: শুরু করছি আল্লাহর নামে, যিনি পরম দয়ালু, অতি দয়াবান।

(১) আরবি: قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ

বাংলা উচ্চারণ: কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক।

বাংলা অর্থ: বলুন, আমি আশ্রয় চাই প্রভাতের প্রতিপালকের কাছে।

(২) আরবি: مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

বাংলা উচ্চারণ: মিন শররি মা খালাক।

বাংলা অর্থ: তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে।

(৩) আরবি: وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ

বাংলা উচ্চারণ: ওয়া মিন শররি গাসিকিন ইযা ওয়াকাব।

বাংলা অর্থ: আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে, যখন তা ছেয়ে যায়।

(৪) আরবি: وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ

বাংলা উচ্চারণ: ওয়া মিন শররি নাফ্ফাসাতি ফিল উকাদ।

বাংলা অর্থ: এবং গ্রন্থিতে (গিঁটে) ফুঁ দেওয়া জাদুকারিণীদের অনিষ্ট থেকে।

(৫) আরবি: وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

বাংলা উচ্চারণ: ওয়া মিন শররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।

বাংলা অর্থ: এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।

সূরা আল-ফালাকের ফজিলত

সূরা আল-ফালাক কুরআনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা, যা মানুষের উপর আপতিত বিভিন্ন অনিষ্ট ও বিপদ থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক অসাধারণ আশ্রয়। এই সূরাটি 'মুআওয়িযাতাইন' এর অংশ, যা দোয়া ও সুরক্ষার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিভিন্ন ক্ষতি, জাদু, শয়তানি কুমন্ত্রণা এবং হিংসার কবল থেকে বাঁচার জন্য সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস পাঠ করার তাগিদ দিয়েছেন। 

হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) যখন অসুস্থ হতেন, তখন নিজে এই সূরাগুলো পড়ে শরীরের ওপর ফুঁ দিতেন এবং নিজের হাত দিয়ে শরীর মাসেহ করতেন। আবার, রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে-সন্ধ্যায় এই সূরা তিনবার পাঠ করা সুন্নত, যা মানুষকে সারাদিনের যাবতীয় ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
এছাড়াও, বিভিন্ন হাদিসে বলা হয়েছে, এই সূরাটি নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের কুমন্ত্রণা, জাদু, বদনজর এবং সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে হেফাজত করেন। এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার করে পাঠ করবে, সে সারা দিন-রাত যাবত সমস্ত ক্ষতি ও বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।” (তিরমিজি, আবু দাউদ) 

তাই, প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সূরা আল-ফালাক পাঠ করা উচিত, বিশেষ করে ফজর ও মাগরিবের পর, রাতে ঘুমানোর আগে এবং বিপদের সময়। এটি এক শক্তিশালী দোয়া, যা আল্লাহর রহমত ও সুরক্ষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।

সূরা আল-ক্বিয়ামাহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহকারে

(০) আরবি: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

অর্থ: পরম করুণাময়, অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

(১) আরবি: لَا أُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيَامَةِ

লা উকসিমু বিইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ।

অর্থ: আমি কেয়ামতের দিনের শপথ করছি।

(০২) আরবি: وَلَا أُقْسِمُ بِالنَّفْسِ اللَّوَّامَةِ

ওলা উকসিমু বিন্-নাফসিল লাওয়ামাহ।

অর্থ: এবং আমি আত্মগজর্নকারী নফসের শপথ করছি।

(৩) আরবি: أَيَحْسَبُ الْإِنسَانُ أَلَّن نَّجْمَعَ عِظَامَهُ

আইয়াহসাবুল ইনসানু আল্লান নাজমা’ ইয’আমাহু।

অর্থ: মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করব না?

(৪) আরবি: بَلَىٰ قَادِرِينَ عَلَىٰ أَن نُّسَوِّيَ بَنَانَهُ

বালা ক্বাদিরীনা ‘আলা আন নুসাওইয়া বানানাহু।

অর্থ: অবশ্যই (করব), বরং আমি তার আঙুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত পুনর্গঠন করতে সক্ষম।

(৫) আরবি: بَلْ يُرِيدُ الْإِنسَانُ لِيَفْجُرَ أَمَامَهُ

বাল ইউরিদুল ইনসানু লিইয়াফজুরা আমামাহু।

অর্থ: কিন্তু মানুষ চায় পাপাচারে লিপ্ত থাকতে সামনে (কেয়ামতের কথা ভুলে)।

(৬) আরবি: يَسْأَلُ أَيَّانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ

ইয়াসআলু আয়্যানা ইয়াওমুল ক্বিয়ামাহ।


অর্থ: সে জিজ্ঞেস করে, ‘কবে হবে কেয়ামতের দিন?’

(০৭) আরবি: فَإِذَا بَرِقَ الْبَصَرُ

ফাইযা বারিকাল বাসার।

অর্থ: যখন চক্ষু বিস্ফারিত হবে।

(৮) আরবি: وَخَسَفَ الْقَمَرُ

ওয়া খাসাফাল ক্বামার।

অর্থ: আর চাঁদ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাবে।

(৯) আরবি: وَجُمِعَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ

ওয়া জুমিআশ শামসু ওয়াল ক্বামার।

অর্থ: এবং সূর্য ও চাঁদ একত্র করা হবে।

(১০) আরবি: يَقُولُ الْإِنسَانُ يَوْمَئِذٍ أَيْنَ الْمَفَرُّ

ইয়াকুলুল ইনসানু ইয়াওমাইযিন আয়নাল মাফার।

অর্থ: সেদিন মানুষ বলবে, ‘কোথায় পালাব?’

(১১) আরবি: كَلَّا لَا وَزَرَ

কাল্লা লা ওয়াজার।

অর্থ: কখনো না! (সে দিন) কোনো আশ্রয়স্থল নেই।

(১২) আরবি: إِلَىٰ رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمُسْتَقَرُّ

ইলা রাব্বিকা ইয়াওমাইযিনিল মুস্তাক্বার।

অর্থ: সেদিন একমাত্র তোমার প্রতিপালকের কাছেই (সবার) ফিরে যাওয়া হবে।

(১৩) আরবি: يُنَبَّأُ الْإِنسَانُ يَوْمَئِذٍ بِمَا قَدَّمَ وَأَخَّرَ

ইউনাব্বাউল ইনসানু ইয়াওমাইযিন বিমা ক্বাদ্দামা ওয়া আখখার।

অর্থ: সেদিন মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে যা সে অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং যা সে পশ্চাতে রেখে গেছে।


(১৪) আরবি: بَلِ الْإِنسَانُ عَلَىٰ نَفْسِهِ بَصِيرَةٌ

বালিল ইনসানু ‘আলা নাফসিহি বাসিরাহ।

অর্থ: বরং মানুষ নিজেই তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত।

(১৫) আরবি:. وَلَوْ أَلْقَىٰ مَعَاذِيرَهُ

ওয়া লাও আলক্বা মা'যিরাহ।

অর্থ: যদিও সে নানা অজুহাত উপস্থাপন করুক।

(১৬) আরবি: لَا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ

লা-তুহাররিক বিহী লিছা-নাকা লিতা জালা বিহ।

অর্থ: তুমি কুরআন শেখার জন্য তাড়াহুড়া করে তোমার জিহ্বা নাড়িও না।

(১৭) আরবি: إِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهُ وَقُرْآنَهُ

ইন্না ‘আলাইনা জাম’আহু ওয়া কুরআনাহ।

অর্থ: নিশ্চয়ই একত্র করা এবং পাঠ করানো আমাদের দায়িত্ব।

(১৮) আরবি: فَإِذَا قَرَأْنَاهُ فَاتَّبِعْ قُرْآنَهُ

ফাইযা ক্বারআনাহু ফাত্তাবি’ কুরআনাহ।

অর্থ: অতঃপর যখন আমি এটি পাঠ করব, তখন তুমি এর তিলাওয়াত অনুসরণ করো।

(১৯) আরবি: ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ

সুম্মা ইন্না ‘আলাইনা বায়ানাহ।

অর্থ: তারপর অবশ্যই এর ব্যাখ্যা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

(২০) আরবি: كَلَّا بَلْ تُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ

কাল্লা বাল তুহিব্বূনাল ‘আজিলাহ।

অর্থ: কখনো না! বরং তোমরা পার্থিব জীবনকে ভালোবাসো।

(২১) আরবি: وَتَذَرُونَ الْآخِرَةَ

ওয়া তাযারূনাল আখিরাহ।

অর্থ: এবং আখিরাতকে পরিত্যাগ করো।

(২২) আরবি: وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ

উজূহুন ইয়াওমাইযিন নাযিরাহ।

অর্থ: সেদিন অনেক মুখ উজ্জ্বল হবে।

(২৩) আরবি: إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٌ

ইলা রাব্বিহা নাযিরাহ।

অর্থ: তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।

(২৪) আরবি: وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ بَاسِرَةٌ

ওয়া উজূহুন ইয়াওমাইযিন বাসিরাহ।

অর্থ: এবং সেদিন অনেক মুখ মলিন হবে।

(২৫) আরবি: تَظُنُّ أَن يُفْعَلَ بِهَا فَاقِرَةٌ

তাযুন্নু আন ইউফ’আলা বিহা ফাক্বিরাহ।

অর্থ: তারা ধারণা করবে, তাদের ওপর এক ভয়ানক বিপদ আপতিত হতে যাচ্ছে।

(২৬) আরবি: كَلَّا إِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِيَ

কাল্লা ইযা বালাগাতিত তারাক্বি।

অর্থ: কখনো না! যখন প্রাণ কণ্ঠাগত হবে।

(২৭) আরবি: وَقِيلَ مَنْ رَاقٍ

ওয়াক্বিলা মান রাক্ব।

অর্থ: এবং বলা হবে, ‘কোনো ঝাড়ফুঁককারী আছে কি?’

(২৮) আরবি: وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ

ওয়া জান্না আন্নাহুল ফিরাক।

অর্থ: এবং সে (মৃত্যুপথযাত্রী) বুঝে যাবে যে, এটি বিদায়ের মুহূর্ত।

(২৯) আরবি: وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ

ওয়ালতাফ্ফাতিস সাকু বিস্ সাক।

অর্থ: এবং এক পায়ের সাথে আরেক পা জড়িত হবে।

(৩০) আরবি: إِلَىٰ رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمَسَاقُ

ইলা রাব্বিকা ইয়াওমাইযিনিল মাসাক।

অর্থ: সেদিন তোমার প্রতিপালকের কাছেই (তোমাকে) নিয়ে যাওয়া হবে।

(৩১) আরবি: فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلَّىٰ

ফালা সাদ্দাক্বা ওলা সাল্লা।

অর্থ: কিন্তু সে (অবিশ্বাসী) না বিশ্বাস করেছিল, না সালাত আদায় করেছিল।

(৩২) আরবি: وَلَٰكِن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ

ওয়ালাকিন কায্দ্দাবা ওয়াতাওয়াল্লা।

অর্থ: বরং সে মিথ্যা বলেছিল এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।

(৩৩) আরবি: ثُمَّ ذَهَبَ إِلَىٰ أَهْلِهِ يَتَمَطَّىٰ

সুম্মা জাহাবা ইলা আহলিহি ইয়াতামাত্তা।

অর্থ: তারপর সে নিজ পরিবারে গর্বভরে ফিরে গিয়েছিল।

(৩৪) আরবি: أَوْلَىٰ لَكَ فَأَوْلَىٰ

আউলা লাকা ফা আউলা।

অর্থ: ধ্বংস তোমার জন্য, হ্যাঁ, ধ্বংস তোমার জন্যই!

(৩৫) আরবি: ثُمَّ أَوْلَىٰ لَكَ فَأَوْلَىٰ

সুম্মা আউলা লাকা ফা আউলা।

অর্থ: এরপরও ধ্বংস তোমার জন্য, হ্যাঁ, ধ্বংস তোমার জন্যই!

(৩৬) আরবি: أَيَحْسَبُ الْإِنسَانُ أَن يُتْرَكَ سُدًى

আইয়াহসাবুল ইনসানু আন্নু ইউতরাকা সুদা।

অর্থ: মানুষ কি মনে করে যে, তাকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ছেড়ে দেওয়া হবে?

(৩৭) আরবি: أَلَمْ يَكُ نُطْفَةً مِّن مَّنِيٍّ يُمْنَىٰ

আলাম্ ইয়াকু নুতফাতাম্ মিম মানিয়্যিম্ ইউমনা।

অর্থ: সে কি এক প্রবাহিত বীর্যের বিন্দু ছিল না?

(৩৮) আরবি: ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوَّىٰ

সুম্মা কানা ‘আলাক্বাতাম ফাখালাকা ফাসাওয়া।

অর্থ: অতঃপর সে জমাট রক্ত ছিল, তারপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করলেন এবং সুবিন্যস্ত করলেন।

(৩৯) আরবি: فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنثَىٰ

ফাজা’আলা মিনহুজ্ জাওজাইনিজ্ জাকারা ওয়াল উনসা।

অর্থ: অতঃপর তিনি তার থেকে সৃষ্টি করলেন নারী ও পুরুষের যুগল।

(৪০) আরবি: أَلَيْسَ ذَٰلِكَ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَن يُحْيِيَ الْمَوْتَىٰ

আলাইসা যালিকা বিক্বাদিরিন ‘আলা আন ইউহইয়াল মাউতা।

অর্থ: তাহলে কি তিনি মৃতদের পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম নন?

উপসংহার

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে সূরা আন-নাস সূরা আল-ফালাক ও সূরা আল-ক্বিয়ামাহ এসব সূরা গুলোর আরবি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। এ রকম আরো তথ্য মূলক পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা সবসময় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url