অপারেটিং সিস্টেম কি? বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে অপারেটিং সিস্টেম কি? এই টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে বা অপারেটিং সিস্টেম কি? তা বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অপারেটিং সিস্টেমের ইতিহাস
প্রাথমিক অবস্থায় অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিলো মেইন ফ্রেম কম্পিউটারের জন্য ১৯৫১ সালে। অপারেটিং সিস্টেমটি যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মোটর রিসার্চ ল্যাবরেটরি কতৃক আইবিএম কর্পোরেশনের জন্য তৈরি করা হয়েছিলো। পার্সোনাল কম্পিউটার বা মাইক্রোকম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হতে থাকে ১৯৭১ সাল থেকে। এই অপারেটিং সিস্টেমের নাম ছিল সিপি/এম। বহুল ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম গুলো হলো: MS-DOS, PC-DOS, MS Windows 95,98,2000, ME, XP, UNIX, Linux, Xenix, Mac Os, Solaies, Os/2 Warp, MS Windows NT, MS Windows Vista।
অপারেটিং সিস্টেম কি?
অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) মূলত একটি সিস্টেম সফটওয়্যার। যে সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কম্পিউটারের সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়ারগুলো পরিচালনা করে থাকে। অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম সফটওয়্যার যা কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রন করে এবং সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট-আউটপুট নিয়ন্ত্রণ, হিসাবরক্ষণ, কম্পাইলেশন, মেমোরি ব্যবস্থাপনা, ডেটা ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণ প্রভৃতি কাজ করে থাকে।
অপারেটিং সিস্টেমের কার্যাবলি
অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করে। এটা কম্পিউটার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করে।অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমেই ব্যবহারকারী কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে ও এর মধ্যবর্তী ব্যবহারিক সফটওয়্যার সমূহ চালাতে সক্ষম হয়। কাজেই অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কম্পিউটার একটি ধাতব যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই না।
অপারেটিং সিস্টেমের কাজ: কম্পিউটারের আকার, গঠন ও প্রয়োগের উপর নির্ভর করে অপারেটিং সিস্টেমের গঠন, আকার ছোট বা বড় এবং কাজের পরিধি কম বা বেশি হয়। নিম্নে অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান কাজ গুলো ব্যাখ্যা করা হলো।
ইউজার ইন্টারফেস: ইউজার ইন্টারফেস অপারেটিং সিস্টেমের এমন একটি অংশ যা ব্যবহারকারীর সাথে বিভিন্ন সফটওয়্যারের সংযোগ, সমন্বয় সাধন, পরিচালনা ও নির্দেশ গ্রহণে সহায়তা প্রদান করে। তাছাড়া সফটওয়্যার গুলো নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন প্রোগ্রাম লোড করা ও কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে থাকে। অপারেটিং সিস্টেমের সাধারণত তিন ধরনের ইউজার ইন্টারফেস দেখা যায়। যথা কমান্ড চালিত, মেনু চালিত ও ইউজার ইন্টারফেস।
রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট: অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার কে সচল ও ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। এটি কম্পিউটারের বিভিন্ন রিসোর্ট যেমন, ইমপোর্ট ও আউটপুট ডিভাইস ও অন্যান্য ডিভাইস গুলোর নিয়ন্ত্রণ, ত্রুটি ও অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং সমন্বয় সাধন করে। তাছাড়া মেমোরি ম্যানেজমেন্ট করে কম্পিউটারে দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
সিকিউরিটি: অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের রিসার্চকে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহারকারীর হাত থেকে রক্ষা করে। এটা ডেটা ও ইনফরমেশন চুরি রোধেও সহায়তা করে।
টাস্ক ম্যানেজমেন্ট: অপারেটিং সিস্টেমের টাচ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহারকারীর নির্দেশ গ্রহণ, বিশ্লেষণ এবং ব্যাচ প্রসেসিং করে।করে এতে সিপিইউ এর টাইম স্লাইসকে বিভিন্ন টাক্সের মধ্যে বন্টন করে এবং ইন্টারাপ্ট কন্ট্রোল করে যাতে সকল কাজই সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।
ফাইল ম্যানেজমেন্ট: অপারেটিং সিস্টেম ফাইলে ম্যানেজমেন্ট, যেমন ফাইল তৈরি, ফাইল ডিলিট, এক্সেস, কপি,মুভ, সংরক্ষণ ইত্যাদি কাজ করে থাকে। তাছাড়া ডেটা ও প্রোগ্রাম ম্যানিপিউলেশন যেমন, ডেটা আদন-প্রদান ,স্থানান্তর ও সংরক্ষণের কাজ করে থাকে।
ইউটিলিটিস: অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা যেমন ফাইল ডিফ্রাগমেন্টেশন, ডেটা কম্প্রেশন, ব্যাকআপ, ডাটা রিকভারি, এন্টিভাইরাসা ইউটিলিটিস ইত্যাদি প্রদান করে।
অপারেটিং সিস্টেমের শ্রেণিবিভাগ
মেমোরি সংগঠন, বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালানো বা কার্যকরীকরণ এবং সেকেন্ডারি বা সহায়ক মেমরি ডিভাইস গুলোর উপর নির্ভর করে সাধারণত অপারেটিং সিস্টেমগুলোকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায় যথা,ব্যাস প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম,ইন্টারঅ্যাকটিভ মোড বা অনলাইন অপারেটিং সিস্টেম, মাল্টি প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম, মাল্টি প্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম, রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম, টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম, ইত্যাদি।
ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম: যে অপারেটিং সিস্টেম একটি পর আরেকটি প্রোগ্রাম পর্যায়ক্রমে পরিচালনা করে তাকে ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম বলে। ব্যাচ প্রসেসিং এর বৈশিষ্ট্য হল একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটি শুধু একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে পারে। এখানে মাল্টি প্রোগ্রামিং বা টাইম শেয়ারিং এর কোন সুযোগ নেই।
০০১আরো পড়ুন: সিস্টেম ইউনিট কি
এটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো একটি প্রোগ্রাম যখন পরিচালনা করা শুরু হয়, তখন সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য প্রোগ্রাম তার কার্যক্রম শুরু করতে পারে না। এই অপারেটিং সিস্টেমটি মেইনফ্রেম ও মিনি কম্পিউটারে প্রাথমিক অপারেটিং সিস্টেম ছিল। মাইক্রোকম্পিউটারে ব্যবহৃত সিপি, এমএস ডস, এবং পিসি ডস গুলোও ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম।
ইন্টার অ্যাক্টিভ মোড বা অনলাইন অপারেটিং সিস্টেম: অনলাইন অপারেটিং সিস্টেম মূলত এটি ভার্চুয়াল অপারেটিং সিস্টেমের উন্নত সংস্করণ। এই সিস্টেমের সাহায্যে ব্যবহারকারী তার কম্পিউটারের সমস্ত তথ্য অনলাইন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সংরক্ষণ করতে পারে, যার ফলে ব্যবহারকারী যদি তার নিজস্ব কম্পিউটারের নিকট নাও থাকে, তবুও বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সে তার কম্পিউটারকে ব্যবহার করতে পারবে।
মাল্টি প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম: মাল্টি প্রসেসিং বলতে দুই বা ততোধিক নির্দেশনা সমান্তরালভাবে দুই ততাধিক কেন্দ্রীয় প্রসেসর বা সিপিইউ কর্তৃক পরিচালিত হওয়া বোঝায়। এসব সিপিইউ একই সমূহে কোন প্রোগ্রামের আলাদা নির্দেশ পালন করে কিংবা সম্পন্নভাবে আলাদা আলাদা প্রোগ্রামও নির্বাহ করতে পারে। মাল্টি প্রসেসিং পদ্ধতিতে কাজের গতি অত্যন্ত দ্রুত হয়। এ পদ্ধতিতে একাধিক প্রসেসর ব্যবহৃত হয় বলে এর ওপর বেশি নির্ভরশীল হওয়া যায়, কারণ একটি প্রসেসর খারাপ হয়ে গেলেও কাজ একেবারে বন্ধ হয়ে যায় না।
মহাকাশযান, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও বড় কলকারখানা এসব ক্ষেত্রে মাল্টির প্রসেসিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। যেহেতু এ পদ্ধতিতে একাধিক প্রসেসর থাকে তাই প্রোগ্রাম প্রসেস করতে না পারে সেজন্য একই ব্যবস্থা থাকে যাকে সিনক্রোনাইজেশন বলে। মাল্টি প্রসেসিং এ প্রতিটি প্রোগ্রামের সাথে একটি ফ্ল্যাগ বিট যুক্ত থাকে। কোন প্রোগ্রামের ফ্ল্যাগ বিট ০ হলেও কোন প্রসেসর সেই প্রোগ্রাম করে এবং ফ্লাটবিট এক করে রাখে। সুতরাং যে প্রোগ্রামের ফ্ল্যাগ বিট ১ ওই প্রোগ্রাম কোন প্রসেসর প্রসেস করবে না।
মাল্টি প্রোগ্রামিং বা মাল্টি টাক্সিং অপারেটিং সিস্টেম: মাল্টি প্রোগ্রামিং বা মাল্টিটাক্সিং অপারেটিং সিস্টেমে একটি কম্পিউটার একসাথে অনেকগুলো প্রোগ্রাম চালাতে পারে বা ডেটা প্রসেসিং করতে পারে। ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেমে একটি প্রোগ্রাম প্রসেসিং এরপর আরেকটি প্রোগ্রাম প্রসেসিং করে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, কম গতি সম্পন্ন ইনপুট আউটপুট পেরিফেরাল ডিভাইস সমূহ যখন ডেটা আদান-প্রদানে ব্যস্ত থাকে তখন অপেক্ষা কৃত উচ্চতর গতি সম্পন্ন সিপিইউ অলস হয়ে বসে থাকে।
কিন্তু মাল্টি প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে রেমে একাধিক প্রোগ্রাম সঞ্চিত থাকে। সিপিইউ যখন কোন একটা প্রোগ্রাম প্রসেসিং করতে থাকে তখন ইনপুট আউটপুট পেরিফেরাল ডিভাইস সমূহ একই প্রোগ্রাম বা অন্য আরেকটি প্রোগ্রামের ইনপুট নেওয়া কিংবা আউটপুট দেওয়ার কাজে হাত দেয়। আর এই সময়ে সিপিইউ অন্য আরেকটি প্রোগ্রামের processing শুরু করে। সুতরাং সিপিইউ এমনকি ইনপুট আউটপুট পেরিফেরাল ব্যবস্থা কখনোও অবস্থায় থাকে না। মাল্টি প্রোগ্রামিং এ একই সাথে একই সময়ে এবং একসঙ্গে চার পাঁচটি প্রোগ্রাম কম্পিউটারের প্রধান মেমোরিতে থাকে।
যার ফলে মেমোরি অনেক বড় হতে হয়। মেমোরিটি কয়েকটি অংশে ভাগ করা হয়। এই ভাগকে পার্টিশন বলে। প্রধান মেমোরির এইসব পার্টিশনের ভিন্ন ভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে যাতে একই জায়গায় একাধিক প্রোগ্রাম না লেখা হয়। এভাবে মেমোরি প্রটেকশন এর ব্যবস্থা করা হয়। এই পদ্ধতিতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রোগ্রাম প্রসেস হয়। উচ্চ প্রাইরটির প্রোগ্রামগুলো প্রধান মেমরির ফরগ্রাউন্ড পার্টিশনে থাকে এবং এ প্রোগ্রামগুলোকে ফরগ্লাউন্ড প্রোগ্রাম বলে।
রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম: রিয়েল টাইম সিস্টেমে কম্পিউটারকে ভালোভাবে সংজ্ঞায়িত ও সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রসেসিং এর কাজ সমাধান করে ফলাফল দিতে হয় যাতে ব্যবহারকারীর কোন ক্ষতি না হয়। এ পদ্ধতিও একপ্রকার অনলাইন প্রসেসিং। তবে অনলাইন প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে ফলাফল বা আউটপুট দিতে সামান্য দেরি হলেও ব্যবহারকারীর তেমন অসুবিধা হয় না। কিন্তু রিয়েল টাইমের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবশ্যই ফলাফল দিতে হবে নতুবা ব্যবহারকারীর বিরাট ক্ষতি হয়।
টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম: টাইম শেয়ারিং পদ্ধতিতে অনেক ব্যবহারকারী একসঙ্গে নিজ নিজ টার্মিনালের সাহায্যে মূল কম্পিউটারে কাজ করে। মূল কম্পিউটারের প্রসেসর পর্যায়ক্রমিক ভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রত্যেক ব্যবহারকারীর কাজ সম্পাদন করে। অর্থাৎ এ জাতীয় অপারেটিং সিস্টেম প্রসেসিং সময়কে বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা ব্যবহারকারীর মধ্যে বন্টন করে।
ভার্চুয়াল স্টোরেজ/ মেশিন অপারেটিং সিস্টেম: প্রধান মেমোরির স্বল্পতা বা সীমাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং সহায়তার জন্য ভার্চুয়াল স্টোরেজ বা ভার্চুয়াল মেশিন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে সেকেন্ডারি স্টোরেজের একটি জায়গায় সরাসরি প্রবেশ করতে প্রোগ্রামকে সহায়তা করে এবং অনুমতি দেয়। এ ক্ষেত্রে ঐ জায়গাটি প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস অর্থাৎ মূল মেমোরির মতোই কাজ করে। ভার্চুয়াল স্টোরেজ পদ্ধতিতে একসাথে ২০০ এর অধিক প্রোগ্রাম নির্বাহ করা যায়। এই পদ্ধতিতে সিপিইউ-এর সাথে সংযুক্ত প্রধান মেমোরিকে রিয়েল স্টোরেজ এবং হার্ড বা ফ্লপি ডিস্কের সাথে সংযুক্ত মেমোরিকে ভার্চুয়াল স্টোরেজ বলে।
ডেডিকেটেড অপারেটিং সিস্টেম: কোনো সুনির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করার জন্য যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয় তাকে ডেডিকেটেড অপাটিং সিস্টেম বলে। যেমন- কোনো অফিসের কাজের জন্য উপযোগী করে তৈরিকৃত অপারেটিং সিস্টেম যা শুধুমাত্র ঐ অফিসের কাজেই ব্যবহার করা হয়।
ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম: ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম হচ্ছে কমিনিউকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্ত কতকগুলো প্রসেসর যা মেমোরি বা ক্লক কোনোটিই শেয়ার করে না। প্রতিটি প্রসেসরের নিজস্ব লোকাল মেমোরি থাকে যা হাই-স্পিড বাস বা অন্য কোনো কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। কম্পিউটিং এর আধুনিক ধারা হলো ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং। ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেমে প্রসেসর এর সাইজ ও কাজ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কমিউনিকেশনের মাধ্যমে সাইট সি এর ক্লায়েন্ট সাইট এ সার্ভারের রিসোর্স ব্যবহার করতে পারে। অনুরুপভাবে এক সাইটের রিসোর্স অন্য সাইটের ব্যবহারকারী শেয়ার করতে পারে।
ইন্টারফেস ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ
অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে কাজ করার পরিবেশ এবং ইন্টারফেসের উপর ভিত্তি করে এদেরকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- বর্ণ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম এবং চিত্র-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম।
বর্ন ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম: বর্ণ-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে কী-বোর্ডের সাহায্য বিভিন্ন বর্ণ টাইপ করে এবং কী-বোর্ডের বিভিন্ন বোতাম ব্যবহার করে কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করা হয়। ডিস্ক ফরমেটিং থেকে শুরু করে ফাইল ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ব্যবহারের সকল পর্যায়েল কাজই করতে হয় কী-বোর্ডের সাহায্যে বিভিন্ন বর্ণ টাইপ করে এবং কী-বোর্ডের বিভিন্ন বোতাম ব্যবহার করে।
চিত্র-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম: চিত্র-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে ডিস্ক ফরমেটিং থেকে শুরু করে ফাইল ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ব্যবহারের সকল পর্যায়ের কাজই করতে হয় বিভিন্ন প্রকার আইকন এবং পুল ডাউন মেন্যু কমান্ড ব্যবহার করে। আইকন এবং পুল ডাউন মেন্যু কমান্ড নির্বাচন, ব্যবহার এবং কার্যকর করা হয় মাউসের সাহায্য।
চিত্র-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে কম্পিউটার চালু করার পর পর্দার উপরে বা ডেস্কটপে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আইকন বা প্রতীকী চিত্র থাকে। প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের আইকনের উপর মাউস পয়েন্টার দিয়ে ডাবল-ক্লিক করলেই প্রোগ্রামটি চালু হয়ে যায়। চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে কোনো কমান্ড মুখস্থ করে রাখার প্রয়োজন হয় না।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে অপারেটিং সিস্টেম কি এই টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। এ রকম আরো তথ্য মূলক পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা সবসময় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url