কোষ বিভাজন কাকে বলে? বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে কোষ বিভাজন কাকে বলে এই টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে কোষ বিভাজন কাকে বলে তা বিস্তাািরত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।প্রতিটি জীব দেহ কোষ দিয়ে তৈরি। একটিমাত্র কোষ দিয়ে প্রতিটি জীবের জীবন শুরু হয়। বিভাজনের মাধ্যমে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। কোষ জীবদেহের একটি স্বাভাবিক এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কোনো কোনো জীবের দেহ একটিমাত্র কোষ দিয়ে গঠিত। এদের বলা হয় একককোষী জীব, যেমন ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা, প্লাজমোডিয়াম ইত্যাদি। এককোষী জীব বিভাজনের মাধ্যমেই একটি থেকে অসংখ্য এককোষী জীব উৎপন্ন করে। আবার অনেক জীব একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত।
কোষ বিভাজন কাকে বলে
যে প্রক্রিয়ায় জীব কোষের বিভাজনের মাধ্যমে একটি থেকে দুটি বা চারটি কোষের সৃষ্টি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে। এটি জীবের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং জনন প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, কোষ বিভাজন দুই ধরনের হয়: মাইটোসিস এবং মিয়োসিস । মাইটোসিসের মাধ্যমে একটি অভিভাবক কোষ সমান সংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ট দুটি নতুন কোষ তৈরি করে, যা দেহকোষের বৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় একটি কোষ চারটি কোষে বিভক্ত হয়, যেখানে ক্রোমোজোম সংখ্যা অভিভাবক কোষের অর্ধেক থাকে।
মাইটোসিস
এই কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় প্রকৃত বা সুকেন্দ্রিক কোষ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষে পরিণত হয়। মাইটোসিসে নিউক্লিয়ার প্রায় সমানভাবে একবার বিভাজিত হয়। নিউক্লিয়াসের প্রতিটি ক্রোমোজও একবার করে বিভাজিত হয়। সাইটোপ্লাজমও একবারই বিভাজিত হয়।
তাই মাইটোসিস বিভাজনে কোষের মাতৃকোষ এবং অপত্য কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা, তথা ডিএনএ এর পরিমাণ সমান থাকে। শুধু যে পরিমাণ একই থাকে তা নয় মাতৃ কোষের ডিএনএ এর প্রায় হুবহু অনুলিপি অপত্য কোষে পাওয়া যায়। একে সমীকরণিক বিভাজনও বলে। এই বিভাজন প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত জীবের দেহ কোষ হয়ে থাকে এবং বিভাজনের ফলে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে পানি ও উদ্ভিদ দৈর্ঘ্য এবং, প্রস্থ বৃদ্ধি পায়।
প্রাণীর দেহকোষে এবং উদ্ভিদের বর্ধনশীল অংশের ভাজক টিস্যু, যেমন, কাণ্ড ও মূলের অগ্রভাগ, ভ্রুণমুকুল এবং ভ্রুণমুল, বর্ধনশীল পাতা, মুকুল ইত্যাদিতে মাইটোটিস প্রক্রিয়ায় বিভাজন হয়। নিম্ন শ্রেণীর উদ্ভিদ এবং প্রাণীর অযৌন জননের সময়ও এ ধরনের বিভাজন হয়।
মাইটোসিসের পর্যায় সমূহ: মাইটোসিস কোষ বিভাজন একটি অবিচ্ছিন্ন বা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই বিভাজনে প্রথমে ক্যারিওকাইনেসিস অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের বিভাজন ঘটে এবং পরবর্তীকালে সাইটোকাইনেসিস অর্থাৎ সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ঘটে। বিভাজন শুরুর আগে কোষের নিউক্লিয়াসে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ হয়।
এ অবস্থাকে ইন্টারফেস পর্যায় বলে। গণনার সুবিধার জন্য মাইটোসিসের নিউক্লিয়াসের বিভাজন প্রক্রিয়াকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়ে থাকে, প্রফেজ, প্রো মেটাফেজ, অ্যানাফেজ এবং টেলোফেজ।
প্রোফেজ কাকে বলে
প্রোফেজ হলো কোষ বিভাজনের প্রথম ধাপ, যেখানে কোষ বিভাজনের জন্য বিভিন্ন গঠনগত পরিবর্তন ঘটে। এই পর্যায়ে ক্রোমাটিন তন্তুগুলো সংকুচিত হয়ে সুস্পষ্ট ক্রোমোজোমে রূপান্তরিত হয়, যা অনুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা যায়। প্রতিটি ক্রোমোজোম দুটি অনুরূপ সিস্টার ক্রোমাটিড দ্বারা গঠিত হয়, যা সেন্ট্রোমিয়ার অংশে সংযুক্ত থাকে। প্রাণী কোষে, সেন্ট্রোসোম দুটি মেরুর দিকে সরে যায় এবং সেখান থেকে মাইটোটিক স্পিন্ডল
নামক তন্তুগুলো গঠিত হয়, যা পরে ক্রোমোজোমকে সঠিকভাবে বিভক্ত করতে সাহায্য করে। একই সময়ে, কোষের নিউক্লিয়াসের আবরণ (nuclear envelope) ধীরে ধীরে ভেঙে যায় এবং নিউক্লিওলাস অদৃশ্য হয়ে যায়। প্রোফেজ ধাপটি কোষ বিভাজনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নিশ্চিত করে যে ক্রোমোজোমগুলো সঠিকভাবে সংগঠিত হয়েছে এবং বিভাজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
প্রো-মেটাফেজ কাকে বলে
প্রো-মেটাফেজ হলো মাইটোসিস বিভাজনের দ্বিতীয় ধাপ, যা প্রোফেজের পরে এবং মেটাফেজের আগে সংঘটিত হয়। এই পর্যায়ে, নিউক্লিয়ার এনভেলপ (nuclear envelope) সম্পূর্ণরূপে ভেঙে যায়, ফলে ক্রোমোজোমগুলো সাইটোপ্লাজমে মুক্তভাবে অবস্থান করতে পারে। একই সঙ্গে, স্পিন্ডল তন্তু (spindle fibers) ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার অংশে থাকা কিনেটোকোর (kinetochore)-এর সাথে যুক্ত হয়।
এই সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি নিশ্চিত করে যে ক্রোমোজোমগুলো সঠিকভাবে সাজানো থাকবে এবং সমানভাবে বিভক্ত হতে পারবে। প্রো-মেটাফেজের সময় ক্রোমোজোমগুলো ধীরে ধীরে কোষের কেন্দ্রের দিকে চলে আসে, যা পরবর্তী মেটাফেজ ধাপের জন্য প্রস্তুতি নেয়।
যদি কোনো ক্রোমোজোম ভুলভাবে স্পিন্ডল তন্তুর সাথে সংযুক্ত হয়, তবে কোষ বিভাজনে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা জিনগত অস্বাভাবিকতা বা ক্যান্সারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। তাই প্রো-মেটাফেজ ধাপটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়া কোষ বিভাজনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মেটাফেজ কাকে বলে
মেটাফেজ হলো মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোষ বিভাজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে ক্রোমোজোমগুলো কোষের কেন্দ্রস্থলে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করে। প্রো-মেটাফেজের পর, স্পিন্ডল তন্তুগুলো ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার অঞ্চলে থাকা কিনেটোকোর এর সঙ্গে সংযুক্ত হয় এবং তাদের কোষের মধ্যবর্তী অঞ্চলে (মেটাফেজ প্লেট) স্থাপন করে।
এই অবস্থান নিশ্চিত করে যে পরবর্তী অ্যানাফেজ ধাপে প্রতিটি ক্রোমাটিড সমানভাবে বিভক্ত হয়ে নতুন কোষে সঠিকভাবে বণ্টিত হতে পারে। মেটাফেজ ধাপটিকে কোষ বিভাজনের সবচেয়ে স্থিতিশীল এবং সুগঠিত ধাপ হিসেবে ধরা হয়, কারণ এই সময়ে ক্রোমোজোমগুলো সুস্পষ্টভাবে দেখা যায় এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য বিশ্লেষণ করা হয়।
যদি ক্রোমোজোমগুলোর সঠিকভাবে সংযুক্তি বা বিন্যাসে কোনো ত্রুটি ঘটে, তবে বিভাজন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে, যা জিনগত অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, মেটাফেজ কোষ বিভাজনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যা সঠিক জিনগত বণ্টন নিশ্চিত করে।
অ্যানাফেজ কাকে বলে
প্রতিটি ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়, ফলে ক্রোমোটিভ দুটি আলাদা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় প্রতিটি ক্রোমোটিডকে অপত্য ক্রোমোজোম বলে এবং এতে একটি করে সেন্ট্রোমিয়ার থাকে। অপত্য ক্রোমোজোম গুলো বিষুবীয় অঞ্চল থেকে পরস্পর বিপরীত দিকে সরে যেতে থাকে। অর্থাৎ ক্রোমোজোম গুলোর অর্ধেক একদিকে এবং বাকি অর্ধেক অন্যের দিকে অগ্রসর হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর ক্লান্ত হয়
অভিমুখী চলনে সেন্ট্রোমিয়ার অগ্রগামী থাকে এবং বাহুদ্বয় অনুগামী হয়। সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুযায়ী ক্রোমোজোম গুলো ভি, এল, জে বা আই এর মতো আকার ধারণ করে। এদেরকে যথাক্রমে মেটাসেন্টিক,সাবমেটাসেন্ট্রিক, অ্যাক্রোসেন্টিক বা টেলোসেন্টিক বলে। অ্যানাফেজ পর্যায়ের শেষের দিকে ক্রোমোজোম গুলো স্পিন্ডল যন্ত্রের মেরু প্রান্তে অবস্থান নেয় এবং ক্রোমোজোমের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি হতে থাকে।
টেলাফেজ কাকে বলে
টেলাফেজ হলো মাইটোসিস এবং মিয়োসিস বিভাজনের চূড়ান্ত পর্যায়, যেখানে কোষ বিভাজনের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়ে যায়। এই ধাপে, স্পিন্ডল তন্তুগুলো (spindle fibers) ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হতে শুরু করে এবং বিভক্ত হওয়া ক্রোমাটিডগুলো (chromatids) বিপরীত মেরুর দিকে চলে যায়। এরপর প্রতিটি মেরুতে নতুন নিউক্লিয়ার এনভেলপ (nuclear envelope) গঠিত হয়, যা নতুন কোষের নিউক্লিয়াস তৈরি করে।
ক্রোমোজোমগুলো আবার ক্রোমাটিন অবস্থায় ফিরে যায় এবং কোষের নিউক্লিয়াস স্বাভাবিক আকৃতি লাভ করে। এই ধাপটি কোষ বিভাজনের সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়, যেখানে দুটি নতুন নিউক্লিয়াস তৈরি হয়ে যায় এবং কোষ বিভাজনের চূড়ান্ত ধাপে প্রবেশ করে, যা সাইটোকাইনেসিস (cytokinesis) নামে পরিচিত।
যদি টেলাফেজ সঠিকভাবে না ঘটে, তবে নতুন কোষগুলোর জিনগত গঠনে ত্রুটি দেখা দিতে পারে, যা বিভিন্ন কোষীয় ব্যাধির কারণ হতে পারে। তাই, টেলাফেজ ধাপটি কোষ বিভাজনের সফল সমাপ্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মাইটোসিসের গুরুত্ব
মাইটোসিসের গুরুত্ব জীবের বৃদ্ধি, বিকাশ ও টিস্যুর পুনর্গঠনের জন্য অপরিহার্য। এটি এমন একটি কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া যেখানে একটি অভিভাবক কোষ থেকে দুটি অভিন্ন কন্যা কোষ উৎপন্ন হয়, যা সমান সংখ্যক ক্রোমোজোম বহন করে। মাইটোসিসের মাধ্যমে বহুকোষী জীবের বৃদ্ধি ঘটে, যেমন শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রক্রিয়ায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও, এটি আঘাত বা কোষীয় ক্ষতির পর টিস্যুর পুনর্গঠনে সহায়তা করে, যেমন কাটা বা ক্ষত সারানোর ক্ষেত্রে। মাইটোসিসের মাধ্যমে মৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত কোষ প্রতিস্থাপিত হয়, যা দেহের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখে। এছাড়া, কিছু এককোষী জীব মাইটোসিসের মাধ্যমে অপত্য কোষ উৎপন্ন করে, যা তাদের বংশবিস্তার নিশ্চিত করে। পোস্ট সূচিপত্র
যদি মাইটোসিস প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত না থাকে, তবে ক্যান্সারের মতো অসংযত কোষ বিভাজন ঘটতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে। সুতরাং, মাইটোসিস শুধুমাত্র জীবের বৃদ্ধি ও বিকাশে নয়, দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং সুস্থতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে
মিয়োসিস কোষ বিভাজন হলো এক ধরনের বিশেষায়িত কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি অভিভাবক কোষ থেকে চারটি কন্যা কোষ তৈরি হয়, যেখানে প্রতিটি কন্যা কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা অভিভাবক কোষের অর্ধেক থাকে। এটি মূলত যৌন জননকারী জীবদের গ্যামেট (ডিম্বাণু ও শুক্রাণু) উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মিয়োসিস দুইটি ধাপে বিভক্ত: মিয়োসিস-I ও মিয়োসিস-II। প্রথম ধাপে ক্রোমোজোম সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায় এবং দ্বিতীয় ধাপে মাইটোসিসের মতো বিভাজন ঘটে, যার ফলে মোট চারটি নতুন কোষ উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো জিনগত বৈচিত্র্য সৃষ্টি, যা ক্রসিং ওভার (crossing over) এবং স্বাধীন ক্রোমোজোম বিন্যাসের (independent assortment) মাধ্যমে ঘটে।
মিয়োসিসের ফলে একই অভিভাবক থেকে উৎপন্ন সন্তানদের মধ্যে জিনগত পার্থক্য থাকে, যা প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং বিবর্তনের জন্য অপরিহার্য। যদি মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি ঘটে, তবে ডাউন সিনড্রোম, টার্নার সিনড্রোম ইত্যাদি জিনগত রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং, মিয়োসিস যৌন জননের মাধ্যমে প্রজাতির টিকে থাকা ও বিবর্তনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে কোষ বিভাজন কাকে বলে এই টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। এ রকম আরো তথ্য মূলক পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা সবসময় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url