যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে? বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে এই টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে তা বিস্তারিত জানতে পারবেন।সংখ্যা মূলত তিন প্রকার ১.বাস্তব সংখ্যা ২.কাল্পনিক সংখ্যা ও ৩. জটিল সংখ্যা। যে সকল সংখ্যা দৈনন্দিন জীবনে গণনা কাজে অর্থাৎ বাস্তবে ব্যবহার করা হয় তাকে বাস্তব সংখ্যা বলে। আবার ঋণাত্মক সংখ্যার বর্গমূলকে কাল্পনিক সংখ্যা বলে। সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে গণনা কাজে অর্থাৎ বাস্তবে ব্যবহার করা হয়। আবার যে সকল সংখ্যা বাস্তব সংখ্যা ও কাল্পনিক সংখ্যার সমন্বেয়ে গঠিত হয়, তাদেরকে জটিল সংখ্যা বলে। পোস্ট সূচিপত্র
যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে?
একের চেয়ে বড় যে পূর্ণ সংখ্যা এক এবং ঐ সংখ্যা ছাড়া অন্য সংখ্যা দ্বারাও বিভাজ্য তাকে যৌগিক সংখ্যা বলে। যেমন ৪, ৬, ৮।
জোড় ও বিজোড় সংখ্যা কি
যে স্বাভাবিক সংখ্যা ২ দ্বারা বিভাজ্য তাকে জোড় সংখ্যা বলে। যেমন: ২, ৪, ৬ ইত্যাদি। যে স্বাভাবিক সংখ্যা ২ দ্বারা বিভাজ্য নয় তাকে বিজোড় সংখ্যা বলে। যেমন: ১, ৩, ৫ ইত্যাদি।
গাণিতিক অর্থনীতি কাকে বলে
অর্থনৈতিক তত্বের গাণিতিক বিশ্লেষণই গাণিতিক অর্থনীতি। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অর্থশাস্ত্রের ভাষার পরিবর্তে গণিতের উপাদানের সাহায্যে ব্যখ্যা, বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন করাকে গাণিতিক অর্থনীতি বলে। অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন গাণিতিক কৌশল ব্যবহার করা হয়। যেমন: সমীকরণ, অপেক্ষক, অন্তরীকরণ, ম্যাটিক্স, সমাকলন, অন্তরক সমীকরণ, অন্তর সমীকরণ ইত্যাদি।
বর্তমানে ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতি, আন্তজার্তিক অর্থনীতি, সরকারি অর্থব্যবস্থা, স্বাস্থ্য অর্থনীতি, নগর অর্থনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গানিতিক অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। উদাহারণ: কোনো দ্রব্যের চাহিদা ঐ দ্রব্যের দাম, আয় রুচি, ক্রেতার সংখ্যা ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল।
মূলদ ও অমূলদ সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য
মূলদ ও অমূলদ সংখ্যা উভয়ই বাস্তব সংখ্যা। তথাপি তাদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে তা উল্লেখ করা হলো: যে সকল সংখ্যাকে দুটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত হিসাবে প্রকাশ করা যায় তাকে মূলদ সংখ্যা বলে। এবং যে সকল সংখ্যাকে দুটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত হিসাবে প্রকাশ করা যায় না তাকে অমূলদ সংখ্যা বলে। মূলদ সংখ্যাকে Q প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অমূলদ সংখ্যাকে R প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুন: মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে
মূলদ সংখ্যা পৌন:পুুনিক দশমিক সংখ্যা হতে পারে। অমূলদ সংখ্যা অপৌন:পুনিক দশমিক সংখ্যা। মূলদ সংখ্যাকে দশমিকে প্রকাশ করা হলে তা সসীম হবে তবে অসীম হলে তা পৌন:পুনিক হবে। অমূলদ সংখ্যা দশমিকে প্রকাশ করা হলে তা অসীম হবে তবে পৌন:পুনিক হবে না। ১ দ্বারা বিবেচ্য সংখ্যা ব্যতিত মূলদ সংখ্যার অন্য কোন উৎপাদক থাকে না। ১ এবং বিবেচ্য সংখ্যা ব্যতিত অমূলদ সংখ্যার অন্য কোন উৎপাদক থাকতে পারে।
মৌলিক সংখ্যা ও যৌগিক সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য
একের চেয়ে বড় যে পূর্ণ সংখ্যা কেবলমাত্র এক এবং ঐ সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য তাকে মৌলিক সংখ্যা বলে। এবং একের চেয়ে বড় যে পূর্ণ সংখ্যা এক এবং ঐ সংখ্যা ছাড়া অন্য সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য তাকে যৌগিক সংখ্যা বলে। সবংনিম্ন মৌলিক সংখ্যা ২। সর্বনিম্ন যৌগিক সংখ্যা ৪।
মৌলিক সংখ্যা গুলোর মধ্যে জোড় সংখ্যা একটি তা হল ২। যৌগিক সংখ্যা গুলোর মধ্যে একাধিক জোড় সংখ্যা রয়েছে। ২ ছাড়া অন্য সকল সংখ্যা বিজোড়। যৌগিক সংখ্যা জোড় ও বিজোড় উভয় ধরনের হয়ে থাকে। মৌলিক সংখ্যা গুলো হলো: ২, ৩, ৫, ৭, ১১, ১৩, ১৭, ১৯ ইত্যাদি। যৌগিক সংখ্যা গুলো হলো: ৪, ৬, ৮, ৯, ১০, ১২, ১৪, ১৫ ইত্যাদি।
বাস্তব সংখ্যা ও কাল্পনিক সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য
সকল মূলদ ও অমূলদ সংখ্যাকে বাস্তব সংখ্যা বলে। ঋণাত্মক সংখ্যার বর্গমূলকে কাল্পনিক সংখ্যা বলে। বাস্তব সংখ্যা দৈনন্দিন গণনা কাজে ব্যবহার করা হয়। কাল্পনিক সংখ্যা দৈনন্দিন গণনা কাজে ব্যবহার করা হয় না। বাস্তব সংখ্যাকে জ্যামিকতিক উপায়ে প্রকাশ করা সম্ভব। কাল্পনি সংখ্যাকে জ্যামিতিক উপায়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বাস্তব সংখ্যার অস্তিত্ব রয়েছে। কাল্পনিক সংখ্যার অস্তিত্ব নেই। বাস্তব সংখ্যার বর্গ করলে ধনাত্মক সংখ্যা পাওয়া যায়। যেমন ২ বা -২ এর বর্গ হচ্ছে ৪। কাল্পনিক সংখ্যার বর্গ করলে ঋণাত্মক সংখ্যা পাওয়া যায়।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে যৌগিক সংখ্যা কাকে বলে এই টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন। এ রকম আরো তথ্য মূলক পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা সবসময় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url