শেখ হাসিনা পদত্যাগের ৩০ মিনিট পূর্বে কি ঘটেছিলো? বিস্তারিত জানুন

শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট ২০২৪ সালের সোমবার দুপুর ১২ টায় পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায়। প্রথমত শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে চায়নি বলে জানা যায় গোপন সুত্র মতে। শেখ হাসিনার সাথে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা। 
শেখ হাসিনা পদত্যাগের ৩০ মিনিট পূর্বে কি ঘটেছিলো? বিস্তারিত জানুন
শেখ হাসিনা  এবং শেখ রেহানা কে বাংলাদেশের সামরিক হেলিকপ্টারে করে গনভবণ থেকে উড়ে যেতে দেখা যায়। তার কিছুক্ষণ পরপরই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জানান যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।

গোপন সুত্র মতে জানা গেছে মাত্র ৪৫ মিনিটের নোটিশে তিনি দেশে ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। একটি সূত্র জানিয়েছে, হাসিনাকে কেন্দ্র করে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মূলত, জুনিয়র অফিসার এবং 'প্রভাবশালী' বেশ কয়েকজন সাবেক সেনাকর্তা হাসিনার অপসারণের পক্ষে জোর দেন। এমনকি জাতির উদ্দেশে ‘শেষ বার্তা’ দেয়ার অনুমতি পর্যন্ত তাকে দেয়নি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গোপন সু্ত্রমতে জানা যায়।

৫ আগষ্ট ২০২৪ সালের সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ডাকা হয়েছিলো বলে জানা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলো কেন পরিস্থিতি সামালানো যাচ্ছে না। তিন বাহিনীর প্রধান জবাব দিয়েছিলেন বলে জানা যায় যে, দেশের ৮০ ভাগ মানুষই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। তখন আইজিপি জানান, পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় এ রকম কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়।

গোপণ সূত্র জানায় যে হাসিনাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বলপ্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না। তবে তিনি তা মানতে চাইছিলেন না। তখন শেখ রেহানার সাথে অন্য কক্ষে আলোচনা করেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা। তাকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। রেহানা বোঝালেও অবস্থানে অনড় থাকেন হাসিনা। শেষমেশ বিদেশে থেকে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথেও ফোনে কথা বলেন এক শীর্ষ কর্মকর্তা। এরপর জয় তার মায়ের সাথে কথা বলেন। অবশেষে পদত্যাগে রাজি হন বাংলাদেশর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন।

জানা গেছে, হাসিনাকে কেন্দ্র করে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। মূলত, জুনিয়র অফিসার এবং ‘প্রভাবশালী’ বেশ কয়েকজন সাবেক সেনাকর্তা হাসিনার অপসারণের পক্ষে জোর দেন। সেনাবাহিনীর মধ্যেই সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সমস্যার সমাধান খুঁজতে সোমবার বেলা ১টা নাগাদ বৈঠকে বসে সেনার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। আলোচনায় রণে ভঙ্গ দিতে হয় হাসিনাপন্থীদের। তারপরই হাসিনাকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয় যে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়া হাজার হাজার আন্দোলনকারীদের আটকাবে না তারা। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর হুকুমে মাত্র ৪৫ মিনিটের নোটিশেই বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। জাতির উদ্দেশে ‘শেষ বার্তা’ দেয়ার অনুমতি পর্যন্ত তাকে দেয়নি সেনাবাহিনী।

উল্লেখ্য, সোমবার হাসিনার পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। চলতি বছরের জুন মাসে তিন বছরের জন্য তিনি সেনাপ্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। তার বাবা জেনারেল মোহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানও ছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন মুস্তাফিজুর

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এর রকম আর্টিকেল বা পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url