গৃহপালিত পশু গরুর রচনা বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে গৃহপালিত পশু গরুর রচনা টি বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে গৃহপালিত পশু গরুর রচনা বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
গৃহপালিত পশু গরুর রচনা বিস্তারিত জেনে নিন
যে সব পশু আমরা গৃহে লালন-পালন করে থাকি তাদেরকে গৃহপালিত পশু বলে। গৃহপালিত পশু গুলো আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। বাংলাদেশের গৃহপালিত পশু গুলো হলো, গরু, মহিষ, ভেড়া, ছাগল, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি। তাদের মধ্যে গরু সবচেয়ে উপকারী। আমাদের কৃষি প্রধান দেশে প্রায় প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে গরু আছে। গরু দুধ দিয়ে মানব শিশুর জীবন রক্ষা করে। গরু হাল চাষ করে, গাড়ি টানে। আমরা গরুর মাংস খাই। গরুর চামড়া দিয়ে জুতা, সুটকেশ, ব্যাগ ইত্যাদি তৈরি হয়। গরুর শিং ও হাড় দিয়ে চিরুনী, ছাতা, ছুরির বাট তৈরি হয়। গরুর দুধ দিয়ে দই, মাখন, ঘি প্রভৃতি উৎকৃষ্ট খাবার তৈরি হয়। গরুর গোবর সার ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই গরু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকারে আসে।

গৃহপালিত পশু গরুর রচনা

সূচনাঃ গরু আমাদের অত্যন্ত উপকারী পশু। বনচারী মানুষ যে দিন থেকে ঘর-দোর বেঁধে পারিবারিক জীবনের সূত্রপাত করেছিল, সেদিন থেকেই সম্ভবতঃ গরু মানুষের পরিবারের অন্যতম সাহায্যকারী পশু হিসেবে মানুষের বাড়িতে স্থান করে নিয়েছিল।

আকৃতিঃ গরুর চারটি পা আছে। পায়ের খুরগুলো মাঝখান থেকে দুভাগে বিভক্ত। আত্মরক্ষার জন্যে গরুর মাথার দুপাশে দুটি শিং রয়েছে। গরুর গোল গোল দুটি চোখ আছে। গরুর কান দুটি বেশ লম্বা। গরুর কান দুটি শুনতে আর লেজ মশা মাছি তাড়াতে কাজে লাগে। গরুর লেজ বেশ লম্বা। লেজের শেষে আছে মশা-মাছি তাড়াবার জন্য এক গোছা লম্বা চুল রয়েছে। এর সারা শরীর ছোট মসৃণ পশমে আবৃত থাকে। একটি গরুর উচ্চতায় সাধারণত চার ফুট থেকে পাঁচ ফুট আর দৈর্ষ্য পাঁচ ফুট থেকে সাত ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এরা বাচ্চা দিতেও সক্ষম। গরু খুব শান্ত প্রাণী।

প্রাপ্তিস্থানঃ গরু পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায়। তবে মরুভূমি আর তুন্দ্রা অঞ্চলে গরু পাওয়া যায় না। কোন কোন অঞ্চলের গরু বেশ বড়সড় হয়। এরা দুধও বেশি দেয়।

খাদ্যঃ গরু তৃণভোজী প্রাণী। এরা খড়, খৈল, ভুষি, গাছের লতাপাতা, আখ ও ভুট্টা গাছ ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে। ভাতের মাড় গরুর প্রিয় খাদ্য।

উপকারিতাঃ মানুষের পোষা পশুর মধ্যে গরুই সর্বাপেক্ষা বেশি উপকারী। গরুর দুধ ও মাংস আমাদের প্রিয় খাদ্য। গরুর দুধ দ্বারা নানা উপাদেয় ও মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয়। গরুর চামড়া দ্বারা থলে, জুতা, ব্যাল্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরি করা হয়। গরুর হাড় দিয়ে উত্তম সার আর শিং দিয়ে চিরুনি, বুতাম, চুরির বাঁট ইত্যাদি তৈরি হয়। গরুর গোবর উত্তর সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গরু লাঙ্গল ও গাড়ি টানে। তৈলের ঘানি টানাতেও গরু ব্যবহৃত হতো। পৃথিবীর অনেক দেশ গরুর দুধ ও গোশত রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।

উপসংহারঃ গরু আমাদের উপকারী প্রাণী ও অপরিহার্য বন্ধু তাই আমাদের গরুর যত্ন নিতে হবে। এমন উপকারী ও নিরীহ প্রাণীটির প্রতি আমাদের সহানুভূতিশীল হওয়া একান্ত কর্তব্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url