ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনি এই রচনাটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি যদি এই রচনাটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনার খুটি-নাটি বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
সূচনাঃ
ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো এমন একটি স্বপ্ন, এমন একটি প্রত্যয় যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি বা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে দেশের প্রতিটি খাতকে আধুনিক, উন্নত এবং সমৃদ্ধ করা হয়েছে বা এখনো সেই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিরাট এক পরিবর্তন ও ক্রান্তিকালের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে এখন বর্তমান বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে এগিয়ে চলছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটি মূলত ২০০৮ সালে গঠিত "ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০২১" পরিকল্পনার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পায়। এর মূল লক্ষ্য হলো তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করা। যেখানে সরকারি ও বেসরকারি সেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, ও বাণিজ্য খাতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
প্রথমেই, শিক্ষা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাস, ই-বুক, ডিজিটাল লাইব্রেরি এবং ভার্চুয়াল লার্নিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসেই মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য খাতেও ডিজিটাল সুবিধার ছোঁয়া লেগেছে। টেলিমেডিসিন, ই-হেলথ রেকর্ড এবং অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ সহজে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের পোশাক শিল্প রচনা
ব্যবসা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে ই-কমার্স এবং মোবাইল ব্যাংকিং একটি বড় পরিবর্তন এনেছে। আজকাল মানুষ ঘরে বসেই পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং অর্থ লেনদেন করতে পারছে, যা অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করেছে। কৃষিক্ষেত্রেও স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ফসলের তথ্য, আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য পেতে কৃষকরা বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করছে।
তবে, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতার জন্য সাইবার নিরাপত্তা, ইন্টারনেট সুবিধা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। সবমিলিয়ে বলা যায় যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে হলে সরকার এবং জনগণের যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্থ
ডিজিটাল বাংলাদেশ কি এই বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে একটি দেশ কিভাবে ডিজিটাল দেশে পরিণত করা যায়। একটি দেশকে ডিজিটাল করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একটি দেশকে তখনই ডিজিটাল দেশ বলা যাবে যখন তা ‘ই-স্টেট’-এ পরিণত হবে। অর্থাৎ ঐ দেশের যাবতীয় কার্যবলি যেমন; সরকার ব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি প্রভৃতি কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
তাই আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে তখনই ডিজিটাল বাংলাদেশ বলা যাবে যখন মাতৃভূমি বাংলাদেশের সকল প্রকার কার্যবলি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে পরিচালনা হবে। ইতো মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় সকল প্রকার কার্যবলি ডিজিটালে পরিণত হয়েছে। তাই বলা যায় ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্থ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সকল কার্যবলি কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালনা করা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি
"একটি ডিজিটাল সমাজ গড়ে তুললে আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজের পথে এগিয়ে যেতে পারব। এখানে সরকারি, আধা-সরকারি এবং বেসরকারি সব খাতে তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে, যাতে সব কাজ অনলাইনের মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।" তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ নিশ্চয়তা দেবে দ্রুত ও কার্যকর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সুশাসিত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার। এ ক্ষেত্রে শক্তিশালী তথ্য প্রযুক্তি কাঠামো মূলভিত্তি। কঠিন বাস্তবতাকে অতিক্রম করে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে গেলে এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। যেমন: বিদ্যুৎ ঘাটতি দূরা করা, নেটওয়ার্ক-কাঠামো, ইন্টারনেট ব্যবহার, ইংরেজী শিক্ষার হার, সমুদ্রের তলদেশের সাবমেরিন ক্যাবল ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিদ্যুৎ ঘাটতি
২০১১ সালের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় বাংলাদেশের ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার ক্ষেত্রে দৈনিক ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির মুখোমুখি হতে হয়। এ কথা জেনে রাখতে হবে যে, একটি পরিপূর্ণ তথ্য প্রযুক্তি কাঠামো গড়ে ওঠার জন্য চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। কারণ প্রযুক্তিনির্ভর যেকোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদ্যুৎ একটি মৌলিক প্রয়োজন। অথচ আমাদের দেশে এখনও অনেক অঞ্চল বিদ্যুৎ ঘাটতির সমস্যায় ভুগছে, যা ডিজিটাল কার্যক্রম বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইন্টারনেট, কম্পিউটার, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার নির্ভর করে বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর। তাই বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকলে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রথমেই বিদ্যুৎ ঘাটতি নিরসন করতে হবে। তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে নানা ধরণের উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন, গ্রিড সম্প্রসারণসহ নানা প্রকল্প হাতে নিতে হবে সেই প্রকল্পের কাজগুলো তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে। কারণ বিদ্যুৎ ঘাটতি ডিজিটাল বাংলাাদেশ গড়ার প্রধান বাধা।
নেটওয়ার্ক-কাঠামো
ঢাকার বাইরে এখন পর্যন্ত খুবই কমসংখ্যক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কাঠামো উন্নয়নের ধারায় আসতে পেরেছে। ঢাকা শহরের বাইরের কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করে তথ্য পাওয়া গেছে যে, বেশির ভাগ LAN ঢাক কেন্দ্রিক। এই পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের পার্থক্যকে প্রতীয়মান করে।
ইংরেজী শিক্ষার হার
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে ইংরেজীতে শিক্ষিতের হার খুবই কম যেখানে ভারত ও পাকিস্তানে এর পরিমাণ যথাক্রমে ৬০ এবং ২০ শতাংশ। মূলত ইংরেজী ভাষা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার বিশ্বায়নকে ত্বরান্বিত করেছে। অন্যদিকে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশেকে আমারা প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারি না। এ জন্যেই আমাদের দেশে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন করতে ইংরেজী শিক্ষা অত্যান্ত প্রয়োজনীয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, এদের সমৃদ্ধির পিছনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযক্তিগত উন্নয়ন অনকে বড় ভূমিকা পালন করেছে। এই খাতে প্রচুর বিনিয়োগ বেড়েছে মূলধন এবং প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বেড়েছে বহুগুনে। ইউরোপীয় এবং উন্নত দেশগুলোর জিডিপি অর্থাৎ গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অর্থনীতির গবেষকগণ টেলিকমিউনিকেশন খাতের উন্নয়নকে চিহ্নিত করে থাকলেও সিংগাপুর, কোরিয়ার মতো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণ হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নকেই চিহ্নিত করেছেন।
উন্নয়ন প্রক্রিয়া : গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে, উন্নয়নশীল দেশেগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংঘটনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিচে উল্লিখিত প্রক্রিয়ায় কাজ করে থাকে:
- শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও বেকারত্ব দূরীকরণের ক্ষেত্রে সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ।
- সহজ পদ্ধতিতে তথ্য প্রাপ্তির ব্যবস্থাকরণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সক্ষমতা সৃষ্টি।
- মানসম্মত কিন্তু তুলনামূলকভাবে কম দামের আইসিটি দ্রব্যের সহজলভ্যতা।
- দেশের সর্বস্তরে ই-নর্ভর্নেন্সে চালুর মাধ্যমে সরকারি আমলাতন্ত্র হ্রাস।
- প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বৃহৎ বাজার-সুবিধা প্রদান এবং স্টোক হোল্ডারদের মধ্যে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা মনোভাব তৈরি।
জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি: আইসিটির উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে জন্ম নিচ্ছে নতুনতর অর্থনীতি, যার নাম জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি বা নলেজ ইকোনমি। জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি বিকাশের সাথে সাথে আমেরিকা, ইউরোপ কিংবা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রসেসিং বা প্রক্রিয়াকরণের। যার ফলে উন্নয়নশীল দেশসমূহ আইসিটি এনাবল্ড সার্ভিস গুলোকে কাজে লাগিয়ে অর্জন করেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন নয়, এর ফলে বিপুল সংখ্যক প্রশিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রেক্ষিত: বাংলাদেশের অর্থনীতি পৃথিবীর দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি। বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য দেশের তুলনায় World Economic Forum-এর উন্নয়ন সূচকে আমরা ৩৪ তম অবস্থানে রয়েছি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই অবস্থান ২৪ তম হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নের সূচকে পৃথিবীর পরবর্তী এগারোটি দেশের একটি দেশ বিবেচনা করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুইভাবে অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। একটি সরাসরি সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির নানা ধরনের কর্মকান্ডের মাধ্যমে।
আরো পড়ুন: মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা
অন্যটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে নানা ধরনের সুযোগ সৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সেবা দিয়ে অর্থনীতির উন্নয়নের মাধ্যমে এদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে দেশীয় মোট উৎপাদনের ৮% (শতকরা আট) ভাগ প্রবৃদ্ধি আইসিটি খাতের অবদান বলে অনুমান করা হয়। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট-এর মতে বিশ্বের মধ্যে অনলাইন কর্মীর সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি: ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে ৮০০ (আট শত) রেজিস্টার্ড সফটওয়্যার কোম্পানি রয়েছে, অনুমান করা হয় এর পাশাপাশি অনিবন্ধিত আরো অনেক সফটওয়্যার কোম্পানি দেশে কাজ করছে। সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে ৩০ হাজার থেকে বেশি পেশাজীবী কাজ করছেন এবং এর মোট রাজস্বের পরিমাণ ২৫০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৬-২০১৭ সালে এই খাতে বাংলাদেশের আয় ছিল ৮০০ (আট শত) মিলিয়ন ডলার।
তথ্য প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব
শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, প্রকাশনা, শিল্প-সংস্কৃতি ইত্যাদি সমাজের সর্বক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বহুমুখী প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয়ে আসছে। আইসিটির প্রভাবাধীন উল্লিখিত বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলো:
শিক্ষা ক্ষেত্রে: তথ্য প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ দ্বারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন, ফি ইত্যাদি পরিশোধ, ভর্তি, ফলাফল তৈরি ও প্রকাশ, রেজিস্ট্রেশন বা পরীক্ষার ফরম পূরণ, বিভিন্ন ফলাফল বিশ্লেষণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নির্ধারণ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সঠিক ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি কাজে অত্যন্ত সহজ, দ্রুত ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া, দেশে অবস্থান করেও শিক্ষার্থীগণ বিশ্বসেরা বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, পড়াশুনা ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণেই।
বিজ্ঞান ও চিকিৎসাক্ষেত্র: আমরা জানি, বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতির ধারায় তথ্য প্রযুক্তি বর্তমান উৎকর্যতায় উন্নীত হয়েছে। ঠিক একইভাবে, তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমেই কিন্তু বিজ্ঞানের বহুমাত্রিক অগ্রগতিকে বহুগুণে ত্বরান্বিত করে চলছে। অন্যান্য সেক্টর তো রয়েছেই, শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্র পর্যালোচনা করলে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের সুফল বলে শেষ করা যাবে না। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে ও নিখুঁতভাবে রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবা দেয়া, ঘরে বসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গণের পরামর্শ ও সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি জানা, সর্বশেষ আবিষ্কৃত ওষুধ সংগ্রহ ও ব্যবহারে সক্ষমতা এনে দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে: ব্যাংকে অর্থ জমা-উত্তোলন, ক্লিয়ারিং হাউস বা আন্তঃব্যাংক লেনদেন, রেমিট্যান্স আদান-প্রদান, স্মার্ট কার্ড ব্যবহারে এটিএম বুথের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিল গ্রহণ, দীর্ঘ বা স্বল্পমেয়াদি ঋণ অনুমোদন, ঋণের অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ, সুদের হার নির্ণয়, মেয়াদ নির্ধারণ, শেয়ার কেনা-বেচা ইত্যাদি বহুবিধ কার্যক্রম তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আজকাল অতি সহজেই সম্পন্ন করা যাচ্ছে। মোট কথা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহকসেবায় স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা প্রশ্নাতীত।
অফিস-আদালতে: আজকের বিশ্ব ব্যবস্থায় প্রায় সবধরনের প্রতিষ্ঠানের অফিস ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা, সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ একটি অনিবার্য বিষয়। প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরি, কর্মী ব্যবস্থাপনা, টেন্ডার সংক্রান্ত কার্যক্রম, বেতন-ভাতা নির্ধারণ থেকে শুরু করে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ-বিতরণে টেলিফোন, কম্পিউটার, প্রিন্টার, ইন্টারনেট প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার হয়ে আসছে। তাছাড়া, বিচারিক কার্যক্রমেও একজন বিচারপ্রার্থী অনলাইনে মামলা দায়েরসহ সাক্ষ্যপ্রমাণাদি সেখানে উপস্থাপন করতে পারছেন, যার ফলে বিচার প্রক্রিয়াতেও গতিশীলতা বেড়েছে অনেকাংশে।
শিল্প ক্ষেত্রে: বিশ্ব বাজার অনুসন্ধানের মাধ্যমে কলকারখানার কাঁচামাল সংগ্রহ, পণ্যের ডিজাইন, উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণে উন্নত যন্ত্রাপাতি সংগ্রহ ও ব্যবহার, ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রতিকূল পরিবেশে নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র রোবটের ব্যবহার, জীবাণুমুক্ত খাদ্যপণ্য তৈরির ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা নিরূপণ, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, বাজার ব্যবস্থাপনা, মজুদ ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, উৎপাদিত পণ্য ক্রেতা সাধারণের কাছে আকর্ষনীয়ভাবে উপস্থাপন, অনলাইনে অর্ডার গ্রহন, পণ্য সরবরাহ, বিশ্ববাজার অর্থনীতির সাথে ভারসাম্য রক্ষা, বিশ্ববাজার প্রতিযোগিতায় প্রবেশ, প্রাধান্য বিস্তার ইত্যাদি শিল্পসংশ্লিষ্ট প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
কৃষি ক্ষেত্রে: কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশের কৃষি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বহু পূর্বেই। জমির ধরন, মাটির গুণগতমান, স্থানীয় আবহাওয়ার ধরন, শস্যবীজ প্রাপ্তি, দেশি বা বিশ্ববাজারে চাহিদানুযায়ী সকল তথ্য জেনে লাভজনক শস্য নির্বাচন সম্ভব তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে। বীজ বপনের সময় নির্ধারণ ও তার পদ্ধতি, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির কৌশল, জমি তৈরি প্রক্রিয়া, পোকামাকড় আক্রমণের ধরন, পোকার প্রকৃতি র্নিণয় ও নিধন, রোগ নির্ণয় ও নিধন, রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা, ইত্যাদি কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে সম্ভব হচ্ছে।
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা: আজকাল তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্তা কল্পনাও করা যায় না। ব্যক্তিগত তথ্য যোগাযোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন পর্যন্ত সর্বস্তরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগে ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ই-মেইল, ই-কমার্স, টেলিকমিউনিকশন, ওয়্যারলেস যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নততর যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।
শিল্প সংস্কৃতি ও বিনোদনের ক্ষেত্রে: তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্বে শিল্প-সংস্কৃতি ও বিনোদনের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। অবাধ তথ্য প্রবাহের কারণে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বিনোদনের নব নব মাত্রা সংযুক্তি মানব জীবনকে আয়েশি করে তুলেছে। সেই সাথে যুগোপযোগী ভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে তদনুযায়ী দেশীয় সংস্কৃতির মূলধারার পাশাপাশি এর মনোন্নয়নও ঘটানো সম্ভব হচ্ছে। আজকাল দর্শক-শ্রোতাদের চাহিদানুযায়ী আমাদের দেশেই বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংখ্যা অনেক।
তথ্য প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব
আসক্তি: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণহীন অবাধ ব্যবহারের ফলে পারিবারিক, সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নেতিবাচক অবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন: ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহারের তীব্র আসক্তির ক্ষতিকারক প্রভাব আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেড়ে যাচ্ছে। এর ফেলে অল্পবয়সী শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় অমনোযোগী, নৈতিক-অর্থনৈতিকতার তফাত শনাক্ত করতে না পারা, শুদ্ধাচারে অনীহাসহ নানা অসামাজিকতার লিপ্ততা তাদের পেয়ে বসেছে।
অভিভাবকগণও এর আসক্তি থেকে নিস্কৃতি পাচ্ছেন না; যার দরুন কর্মক্ষেত্রে শ্রমঘণ্টা নষ্ট, অনৈতিক কার্যকলাপে অর্থহীনভাবে সময়ক্ষেপণ, স্বাভাবিক পারিবারিক নিয়মাচারে ব্যত্যয়, সন্তানদের সময় না দেয়া বা তাদের প্রতি যত্নবান না হওয়ায় অনেক অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম হচ্ছে। অনলাইনে গেমসের আসক্তি আরো ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে সামাজিক জীবনে।
আরো পড়ুন: কম্পিউটার রচনা
ঘণ্টার পর ঘণ্টা এতে কালক্ষেপণ মাদকাসক্তির মতো ভয়ংকর নেশাগ্রস্ততায় নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছে সমাজের একটি বিরাট অংশ। এসব গেমসের জন্য নিজের সন্তান বিক্রির মতো চরম অনৈতিক ঘটনাও সংঘটনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইন গেমস আসক্ত হয়ে ব্যবহারকারীদের মৃ্ত্যুমুখে পতিত হওয়ার মতো ঘটনাও বিভিন্ন দেশে ঘটেছে।
অপরাধ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আসক্তির কারণে কোমলবতি শিশু-কিশোরসহ সমাজের এক বৃহদংশ বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। মত লব বাজ হ্যাকাররা নানা কৌশলে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য চুরি/পাচার, সাইবার হামলা, নেতিবাচক প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে দিয়ে সমাজে অস্থিতিশীল পরিবেশের জন্ম দিচ্ছে।
স্বাস্থ্যগত সমস্যা: তথ্য ও যোগাযোগ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি বিশেষত কম্পিউটারের অত্যধিক ব্যবহারের ফলে চোখের উপর চাপ পড়ে, মাথা ব্যাথা, হাত ব্যাথা, ঘাড় ও পিঠের সমস্যায় আক্রান্ত হতে দেখা যায় অনেককেই। রাত জেগে মোবাইল ফোন ব্যবহার, কম্পিউটার বা ইন্টারনেট সময় কাটানোর কারণে স্নায়বিক ও মস্তিস্কের নানাবিধ অসুস্থতাও পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ
ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণকে বোঝায়, যার মূল দায়িত্বটি পালন করতে হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দেশে বিদেশে টাকা পাঠানো অনেক সহজ হয়েছে। ইন্টারনেট দিয়ে নানা ধরনের বিল প্রদান করা যায়, এমনকি আয়কর পরিশোধ করা যায়। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় দেশে টেলিমেডিসিন ব্যাপকভাবে ব্যবহার শরু হয়েছিলো।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা
আমাদের দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য একসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ স্থাপনের কাজ চালু হয়েছে। এত করে তৃণমূল পর্যায়ের প্রশাসনিক ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সরকারি সবধরনের পরিষেবার তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, সাব-পোস্ট অফিসে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করে সরকারি সবধরনের ডিজিটাল সার্ভিস সেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
শিল্প ও উৎপাদন: বাংলাদেশের প্রধান শিল্প গার্মেন্টস যেখানে ২০১৮ সালে ৩৬.৬৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি বাণিজ্য হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে সমগ্র বিশ্বে নতুন বাজার ধরা, রপ্তানিযোগ্য পণ্য নির্বাচন কিংবা প্রয়োজনে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে আলাপ-আলোচনা সবকিছুই আজকাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পাদন হয়। গার্মেন্টস ছাড়াও রপ্তানি বাণিজ্য জাহাজ নির্মাণ, মৎস্য, পাট, চামড়া শিল্প এবং ওধুধ শিল্পে বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রেখেছে এবং এ সবগুলোর বিকাশেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বড় ভূমিকা রাখা সম্ভব।
দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থান: এক সময়ে আশঙ্কা করা হতো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারের কারণে অনেকের চাকুরি চলে গিয়ে বেকারত্ব বাড়বে। বাস্তবে এর সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটনা ঘটেছে এবং যার ফলস্বরূপ লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-যবতীর কর্মসংস্থান হয়েছে। সে কারণে আইসিটি প্রফেশনালদের চাহিদা দেশে-বিদেশে বেড়েই চলছে। অতীতের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, বিশ্বে প্রায় তিন মিলিয়ন আইটি পেশাজীবির প্রয়োজন ছিল। বর্তমানে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি দাঁড়িয়েছে।
যদি বিশ্ব চাহিদার প্রেক্ষিতে আমাদের দেশের প্রায় ৫০ হাজার আইটি প্রফেশনাল সরবরাহ করতে পারি তবে বর্তমান রেমিটেন্স বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। আমাদের দেশের প্রায় এক কোটি লোক বিদেশে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে এবং তাদের পাঠানো রেমিটেন্স আমাদের জিডিপি-এর প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করে থাকে। যদি এই শ্রমিকদের তথ্য প্রযুক্তিতে নূন্যতম প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠানো সম্ভব হয় তাহলেও তারা শুধু যে উন্নতর জীবন যাপন করতে পারবে তাই নয়, আমাদের অর্থনীতিতেও অনেক বেশি অবদান রাখতে পারবে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হতে পেরছেন। এ রকম আরো তথ্য মূলক পোস্ট পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমরা সবসময় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এই পোস্টটি পুরো মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url